বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বেহাল দশা শ্রমবাজারের

বিদেশে কর্মী পাঠানোর দরজা খুলছে না

শামসুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ২৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:১৭ এএম

দূতাবাসের ঘুষ বাণিজ্য বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা
আরব আমিরাতের কপাট বন্ধ ৭ বছর
সউদী থেকে শত শত কর্মী ফিরছে

দেশের রেমিট্যান্সের প্রধান উৎস প্রবাসী শ্রমিকদের ডলার আর গার্মেন্টস পণ্য রফতানি। ৪০ লাখ নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান করা গার্মেন্টস শিল্পের অবস্থা ভালো নয়। বিদেশে গিয়ে শ্রমিকরা যে ডলার পাঠায়; সেই জনশক্তি রফতানিতেও ভাটার টান চলছে। বিশেষ করে সউদী আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়া বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। ৬০ লাখ শ্রমিক কাজ করতেন। ওই সব দেশে জনশক্তি রফতানি তলানিতে পড়েছে; অন্যদিকে শ্রমিকরা ফেরত আসছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসের লেবার উইংগুলো শ্রমবাজার সম্প্রসারণে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে না পারায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে মুসলিম দেশ হিসেবে যে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন এতোদিনেও সেটা সম্ভব হয়নি।

জানতে চাইলে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান গত মঙ্গলবার ইনকিলাবকে বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজার চালুর আনুষ্ঠানিক কোনো প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি। তবে শ্রমবাজার চালুর জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজার চালুর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

বিদেশে বাংলাদেশের বন্ধ শ্রমবাজারগুলো খুলছে না। জনশক্তি রফতানির দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে দীর্ঘ সাত বছর ধরে কর্মী নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। বাহরাইন ও মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের দুয়ার খুলছে না। বিদেশ গমনেচ্ছুদের দূতাবাস থেকে ভিসা পেতে অনৈতিক চাহিদা মেটাতে বাধ্য হওয়ায় অভিবাসন ব্যয় দফায় দফায় বাড়ছে। ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ উঠছে। বাংলাদেশী শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় শ্রম বাজার সউদী আরব। ওই দেশ থেকে প্রায়ই শ্রমিকরা ফেরত আসছে। নারী শ্রমিক পাঠানো নিয়ে চলছে বিতর্ক।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে প্রায় এক কোটি প্রবাসী শ্রমিক (নারী-পুরুষ) কঠোর পরিশ্রম করে রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছে। জনশক্তি রফতানির এ খাত তথা প্রবাসী শ্রমিকদের রেমিট্যান্স জিডিপিতে প্রায় ১২% অবদান রাখছে। ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতার পর দুই একটি দেশে কর্মী নেয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও তা বাস্তবায়নে কোনো সাড়া মিলছে না। বিদেশে শ্রমবাজার সম্প্রসারণে বাস্তবমুখী উদ্যোগ নেয়া সম্ভব না হলে জনশক্তি রফতানিতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। জনশক্তি রফতানির একাধিক সূত্র এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

তেল সমৃদ্ধ দেশ সউদী আরবে ১৫ লক্ষাধিক নারী-পুরুষ কর্মী কঠোর পরিশ্রম করে প্রচুর রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে। প্রবাসী সচিব মো. সেলিম রেজার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগদানের জন্য বর্তমানে সউদী আরবে সফরে রয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অর্থনৈতিক মন্দা এবং সউদীর ভিশন ২০৩০ এর কর্ম-পরিকল্পনায় অভিবাসী কর্মীদের কর্মসংস্থান হ্রাস পাচ্ছে। জনশক্তি রফতানির সর্ব বৃহৎ শ্রমবাজার সউদী আরব থেকে প্রতিমাসেই প্রায় দুই থেকে তিন হাজার কর্মী খালি হাতে দেশে ফিরছে। এদের মধ্যে নানা নির্যাতনের শিকার হয়ে মহিলা গৃহকর্মীরাও দেশে ফিরছে। দেশে ফেরত আসাদের মধ্যে বৈধ আকামাধারী কর্মীও রয়েছে।

ঢাকাস্থ সউদী দূতাবাসে কথিত এ ক্যাটাগরি ও বি-ক্যাটাগরির বেড়াজালে হাজার হাজার কর্মী বৈধ চাহিদাপত্র পেয়েও ভিসার পাসপোর্ট জমা দিতে পারছে না। তাদের মোফার (ভিসার) মেয়াদও শেষ হয়ে যাচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক জানান, সউদী দূতাবাসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের নির্ধারিত অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রায় ঘুষ না দিলে কোনো ভিসা মিলছে না। এ বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেট। তাদের মতে, পরিস্থিতি এমন দিকে গড়াচ্ছে যে, এসব দেখার কেউ নেই। ঢাকাস্থ কুয়েত দূতাবাসেও ভিসা পেতে একই অবস্থা।

হাবের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মুজদালিফা অ্যাভিয়েশনের স্বত্বাধিকারী মো. হেলাল গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, সউদীর ভিসা পাওয়া এখন সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। মার্কিন ডলারের নির্ধারিত ঘুষ ব্যতীত অধিকাংশ সউদীর ভিসা মিলছে না। রাতের বেলা কফি হাউসগুলোতে আড্ডায় বসে দূতাবাসের অসাধু কর্মকর্তারা দালাল চক্রের কাছ থেকে ভিসা ইস্যুর ঘুষের অর্থ লেনদেন করছে। তিনি অবিলম্বে ঢাকাস্থ সউদী দূতাবাসের অসাধু কর্মকর্তাদের ঘুষ বাণিজ্য বন্ধ ও বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের অহেতুক হয়রানি রোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অন্যথায় জনশক্তি রফতানিতে ধস নেমে আসার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। হাবের সাবেক ঐ নেতা সউদী দূতাবাসের ভাবমর্যাদা রক্ষা এবং দেশটির অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে রাজকীয় সউদী বাদশাহর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বিদেশে বাংলাদেশি লেবার উইংগুলো শ্রমবাজার সম্প্রসারণে বাস্তবমুখী ভূমিকা রাখতে পারছে না। প্রবাসী কর্মীরা অনেকাংশেই কনস্যুলেট সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কোনো কোনো কনস্যুলেটের কতিপয় কর্মকর্তা নানা অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে পাড় পেয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।

বিএমইটির সূত্র জানায়, ১৯৭৬ সন থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৩ লাখ ৭০ হাজার ৯৫৬ জন কর্মী চাকরি লাভ করেছে। ২০১১ সনে দেশটিতে ২ লাখ ৮২ হাজার ৭৩৯ জন বাংলাদেশি কর্মী চাকরি লাভ করেছে। ২০১২ সনের ২ লাখ ১৫ হাজার ৪৫২ জন কর্মী চাকরি লাভ করেছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের কেউ কেউ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ায় এবং দেশটির নিরাপত্তা সুরক্ষার লক্ষ্যে ২০১২ সনের আগস্ট মাসে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দেয়া হয়।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান গত মঙ্গলবার ইনকিলাবকে বলেন, ভ্রাতৃ প্রতীম আমিরাতের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি দেশটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকালে দীর্ঘদিনের বন্ধ শ্রমবাজার উন্মুক্তকরণে একটা ভালো ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, শ্রমবাজার চালুর আনুষ্ঠানিক কোনো প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি। তবে শ্রমবাজার উন্মুক্ত করতে আমরাও বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। বর্তমানে আরব আমিরাতের সেনা বাহিনীর একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত ইমরান বলেন, দেশেটি বিভিন্ন কারাগারে বর্তমানে সাত শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি আটক রয়েছে। দেশটিতে প্রচুর বাংলাদেশি কর্মীর চাহিদা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্টারে পাঁচ দিনব্যাপী শুরু হওয়া দুবাই এয়ার শো ২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ফাঁকে সৌজন্য সাক্ষাতে আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন আরব আমিরাতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধ থাকার বিষয়টি উল্লেখ করলে শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। ক্রাউন প্রিন্স প্রধানমন্ত্রীকে আরব আমিরাতে পুনরায় সফরের আগে এ বিষয়ে আর বলতে হবে না বলেও আশ্বাস্ত করেন। দেশটির সাধারণ ক্ষমার আওতায় প্রায় ৪৫ হাজার অবৈধ বাংলাদেশিরা ২০১৮ সনের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৈধতা লাভের সুযোগ পেয়েছে। দেশটিতে বিপুলসংখ্যক অবৈধ বাংলাদেশী কর্মীও পালিয়ে পালিয়ে কাজ করছে।
এদিকে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ গত ১৬ অক্টোবর আবুধাবী ডায়ালগের ৫ম মিনিষ্ট্রিয়াল কনসালটেশনে যোগ দিতে সরকারি সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান। সফরকালে প্রবাসী মন্ত্রী ইমরান আহমদও সংযুক্ত আরব আমিরাতের হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ইমিরাটাইজেশন মন্ত্রীর সাথে বৈঠকে শ্রমবাজার চালুর অনুরোধ জানান।

বাহরাইনেও শ্রমবাজারের দুয়ার বন্ধ। কুয়েত, কাতার, ওমান, জর্ডান ও লেবাননে স্বল্প সংখ্যক কর্মী যাচ্ছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বন্ধ থাকা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্তকরণের লক্ষ্যে গত ৬ নভেম্বর মালয়েশিয়ার পুত্রাজায়ায় উভয় দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে দেশটিতে কর্মী নিয়োগে উভয় দেশ সম্মত হয়েছে। গত ২৪ ও ২৫ নভেম্বর দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের ঢাকায় সফরে আসার কথা থাকলেও তা’ অজ্ঞাত কারণে বাতিল করা হয়েছে। মানবসম্পদ মন্ত্রী ঐ সময়ে দিল্লী সফরে যান। পরবর্তী বৈঠক কবে নাগাদ হবে সে সম্পর্কে কিছু বলতে পারেননি প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তকর্তারা।

দশ সিন্ডিকেটের অনৈতিক কর্মকা-ের দরুণ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহথির মোহাম্মদ গত বছর বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়া বন্ধ করে দেন। মালয়েশিয়া সরকার ঘোষণা দেয় আর কোনো সিন্ডিকেট নয়; শ্রমবাজার চালু হলে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিই কর্মী নিয়োগের সুযোগ পাবে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদও মালয়েশিয়ায় সিন্ডিকেটবিহীন শ্রমবাজার চালুকরণে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছেন।

জনশক্তি রফতানির গতি বাড়াতে এবং বন্ধ শ্রমবাজার পুনরুদ্ধারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তৎপরতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বায়রার সাবেক সভাপতি গোলাম মুস্তাফা। তিনি শ্রমবাজার সম্প্রসারণে বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে পর্যাপ্ত জনবল বৃদ্ধি এবং প্রবাসীদের সেবা নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তেলের দাম কমে যাওয়ায় সউদীসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কর্মীর চাহিদা কমেছে। তিনি বলেন, সউদী থেকে প্রায় প্রতিদিন কি কারণে প্রবাসী কর্মীরা দেশে ফিরছে সে সম্পর্কে করণীয় কি এ জন্য একটি গবেষণা উইং চালু করতে পারলে সৃষ্ট সঙ্কট অনেকটা নিরসন সম্ভব হবে।

ফিমেল ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ফোরাব)-এর সভাপতি টিপু সুলতান ইনকিলাবকে বলেন, আমিরাতের সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার পুনরায় চালু করতে উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক উদ্যোগকে কাজে লাগাতে হবে। তিনি কোনো প্রকার সিন্ডিকেট ছাড়া আমিরাতের বন্ধ শ্রমবাজার চালুর লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ রফিকুল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার তার দপ্তরে এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজার চালু করতে সরকারি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, দেশে ৭০টি টিটিসির মাধ্যমে দক্ষ কর্মী গড়ে তোলা হচ্ছে। সরকার অদক্ষ কর্মীর চেয়ে বেশি বেশি দক্ষ কর্মী বিদেশে পাঠাতে নানামুখী উদ্যোগ নিচ্ছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৭০টি রিক্রুটিং এজেন্সির সার্ভার ব্লক করা হয়েছে। নানা অনিয়মের বিষয়গুলো সুরাহা করলেই পর্যায়ক্রমে এসব সার্ভার খুলে দেয়া হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (12)
Kamrul Hasan ২৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৩৭ এএম says : 0
সৌদিআরবের যে এখন কি পরিস্থিতি এটা যারা এখন সৌদিতে আছে শুধু তারাই বুঝে।
Total Reply(0)
Md.Abdul Khaleque ২৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৩৯ এএম says : 0
জাপানের শ্রমবাজার আমাদের জন্য খুবই আকর্ষনীয়।তবে সেখানে টিকতে হলে কর্মিকে - ১।ভাল কর্মি হতে হবে। ২। ভাল মানুষ হতে হবে। ৩। জাপানি ভাষা ভাল জানতে হবে। অন্যথায় বাজার হাতছাড়া হয়ে যাবে।জাপানিরা খুবই নিয়মনিষ্ঠ ও রক্ষনশীল। তারা অর্থনীতিকে যেমন গুরুত্ব দেয় তেমনি সামাজিক মুল্যবোধকেও সমান গুরুত্ব দেয়।
Total Reply(0)
mahfooz ২৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৪০ এএম says : 0
আমরা ব্যাপক হারে দরিদ্র জনসংখ্যা তৈরী করবো আর বেকার বাংলাদেশীদের কর্মসংস্হানের জন্য পাঠিয়ে দিবো প্রবাসের জ্বলন্ত আগুনে।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৪১ এএম says : 0
শুধু বাংলাদেশি ছাড়া আর সবাই সুখে আছে বাংলাদেশের কোন নিয়ম কানুন ঠিক নেই সরকার প্রবাসীদের ভালোবাসে না শুধু ডলার কে ভালোবাসে আর তা ছাড়া অযোগ্য লোকদের কে মন্ত্রীর দায়িত্ত দিলে কষ্ট না পেয়ে সুখ কোথায় পাবে প্রবাসীরা
Total Reply(0)
Gourav Duary ২৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৪১ এএম says : 0
'শ্রমিকেরা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করলে তখন জানা যাবে, কেন তাঁরা ফিরছেন।’ হাহাহাহা। অভিযোগ জানানোর উপায় কী? অভিযোগ জানাতে কোথায় কার কাছে যাবো? সে কি আগ্রহ নিয়ে আমার বক্তব্য শুনবে?
Total Reply(0)
ছিদ্দিক ২৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৪১ এএম says : 0
সৌদি যে পথে হাঁটছে এবং প্রবাসী শ্রমিকদের উপর যে স্টাইলে কর আরোপ করা হচ্ছে ২০১৯ এর ভিতর ৮০% সৌদি প্রবাসী দেশে ফের আসতে বাধ্য হবে এবং ওদের চিন্তা ভাবনার নতুন কোন পরিবর্তন না হলে ২০২০ এর ভিতর অভার অল ৯৯% ই ফিরে আসবে । ওমানের অর্থনীতি আমাদের দেশের চেয়েও বাজে , আমিরাত আমাদের ভিসা দিচ্ছে না ।
Total Reply(0)
PITO ২৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৪২ এএম says : 0
জাপানে যেতে সবচেয়ে বড় বাধা ভাষা । টাকা নিয়ে জাপানি ভাষা যারা শেখায় তারাও ভালো শেখায় না । জাপানি ভাষা কম টাকায় সরকারি ভাবে শেখানোর সুযোগ করা উচিৎ ।
Total Reply(0)
Golam Kibria ২৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৪২ এএম says : 0
দেশেই যেখানে দক্ষ শ্রমিকের তীব্র অভাব, সেখানে বিদেশে শ্রমিক পাঠানো নিয়ে এতো তোড়জোড়ের কোনো কারণ দেখছি না।
Total Reply(0)
Farhan Lannister ২৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৪২ এএম says : 0
দেশপ্রেমিক..... বিদেশ যাওয়ার কি দরকার?
Total Reply(0)
আরিফ ২৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৪২ এএম says : 0
সরকার কে আর ও আন্তরিক হতে হবে। আর জারা দেশের বাহিরে আছে, তাদের ও খোজ নেয়া দরকার।খোজ নেয়ার বেপারে সরকার অনেক উদাসীন।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৩ এএম says : 0
অদক্ষ শ্রমিক বিদেশে পাঠানোর উপর ভিত্তি করে কতদিন একটি দেশ চলতে পারে। বরং দেশে ব্যক্তিউদ্যোগে কাজ করার ভাল। যে টাকায় বিদেশে যায় সেটা দিয়ে দেশে খামার করে অনেক যুবক ভাল থাকছে।
Total Reply(0)
Nasim ২৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৩ এএম says : 0
প্রবাসে শ্রমিক রপ্তানির সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রশিক্ষিত শ্রমিক রপ্তানির বিষয়টি আমলে নিয়ে কাজ শুরু না করলে অদূর ভবিষতে শ্রমিক রপ্তানির স্ংখ্যা শুন্যের কোঠায় নেমে আসবে। মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমিক রপ্তানিতে বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলো চাহিদানুসারে অনেক আগে থেকে স্কিল্ড লেবার রপ্তানি শুরু করে এবং তাদের অবস্তান একরকম মোটামোটি পাকা ব্যাতিক্রম শুধু বাংলাদেশ।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন