টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির জনতার হাতে আটক তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার তাদের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে সখিপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে।
মামলায় গ্রেফতার তিন পুলিশ সদস্য ছাড়াও আরও দুই পুলিশ সদস্যসহ মোট ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতার তিন পুলিশ সদস্য হলো বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির এ এস আই রিয়াজুল, কনস্টেবল গোপাল সাহা ও রাসেল। এছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলো ফাঁড়ির কনস্টেবল হালিম ও মোজাম্মেল এবং সোর্স রাজাবাড়ি গ্রামের আলামিন।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মির্জাপুর থানার বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির এ এস আই রিয়াজুলের নেতৃত্বে ৫ সদস্য সাদা পোশাকে সখীপুর উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের হতেয়া-রাজাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় যান। সেখানে তারা হতেয়া ভাতকুড়া এলাকার মো. ফরহাদের ছেলে মো. বজলু মিয়ার (২৬) পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে তাকে জোর করে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বজলু চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে অটোরিকশা আটক করে। পরে বজলু উপস্থিত লোকজনকে পুলিশ তার পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে অটোরিকশায় তুলেছে একথা জানালে জনতা উত্তেজিত হয়ে তাদের আটক করে। পরে তাদের পকেট তল্লাশি করে কয়েক প্যাকেট ইয়াবা উদ্ধার করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা তাদেরকে পিটুনি দিতে থাকলে কনস্টেবল হালিম ও মোজাম্মেল এবং তাদের সোর্স আলামিন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও এ এস আই রিয়াজুলসহ কনস্টেবল গোপাল সাহা ও রাসেলকে দোকান ঘরে আটকে রাখা হয়। পরে মির্জাপুর ও সখীপুর থানা পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল সখীপুর থানাধীন হওয়ায় আটককৃতদের সখীপুর থানায় সোর্পদ করা হয় বলে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার দীপঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন। সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক এস আই আইনুল হক বাদি হয়ে গভীর রাতে তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করেছে।
সখীপুর থানার ওসি মো. আমির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করা হবে বলেও তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন