মাগুরায় একাধিক ডাকাতি ও খুনসহ চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদঘাটনে সফলতার পরিচয় দিয়ে পুলিশ বিভাগে নিজেকে একজন সফল পুলিশ অফিসার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন মাগুরার এএসপি আবির সিদ্দিকী শুভ্র।তিনি প্রমাণ করেছেন আন্তরিক হলে কঠিন কাজ সহজে করা সম্ভব। তার আন্তরিক তৎপরতায় মামলার রহস্য উৎঘাটনসহ অপরাধের কাজে ব্যবহৃত অবৈধ্য অস্ত্র, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল সেট উদ্ধারসহ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার সম্ভব হয়েছে।
তথ্যানুসন্ধান ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২ মে ইংরাজি তারিখে সনৎ কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বাদী ও তার প্রতিবেশী সুনীল ঘোষের বাড়িতে ০১/০৫/১৯ ইং তারিখে দিবাগত রাত পৌনে ১ টার দিকে একদল সন্ত্রাসী অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে বাড়ির প্রাচীরের দরজা ভাঙ্গীয়ে বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে বাদিকে মাথায় আঘাত করে ও বাড়িতে থাকা লোকদের দড়ি দিয়ে বেধে ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল সেট নিয়ে যায়। প্রতিবেশী সুনীল ঘোষের বাড়িতেও একই উপায়ে নগদ টাকা, মোবাইল ও স্বর্ণালংকার সহ ৭ লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
২৩/০৬/১৯ ইং তারিখে ধর্মদাহ গ্রামের কামরুল ইসলাম বাদি হয়ে মাগুরা সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় তিনি উলেখ্য করেন, মাগুরা ঢাকারোড় এলাকা থেকে মহেন্দ্রযোগে ৯ জন যাত্রী নিয়ে মহম্মদপুর থানাধীন ঘুলিয়া চৌবাড়িয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ভায়না-নড়াইল সড়কের ছোট মান্দার তলা গোয়ালখালী কাচা রাস্তার মোড়ে পৌছালে রাস্তার উপর একটি খেজুর গাছ পড়ে থাকতে দেখে চালক গাড়ি থামিয়ে দেয়। এ সময় ৯/১০ জন অজ্ঞাত নামা ডাকাতদল ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে দিয়ে মহেন্দ্র চালক ও যাত্রীদের পিটিয়ে আহত করে নগদ ৩৯ হাজার১ শো টাকা,২ টি স্বর্ণের চেইন, ২ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল ও বিভিন্ন মডেলের ৯ টি মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে যায়।
২৭/০৬/১৯ ইং তারিখে রাত আড়াই টার দিকে ৮/১০ জন ডাকাত দল বাদির বসত বাড়ির গেটের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে ঘুমিয়ে থাকা সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৪০ হাজার ৬ শো টাকা, ১৭ ভরি স্বর্নে আংটি, কানের দুল, সিতাহার, কন্ঠ হার, বালা ও ৮ ভরি রুপার গহনা সহ ১০ লাখ ৫১ হাজার ৬শো টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে এজাহারে উলেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শালিখা-সার্কেল) মোঃ আবির সিদ্দিকী শুভ্র জানান, চলতি বছরের ঘটে যাওয়া ডাকাতির মামলা গুলো পুলিশ সুপার খাঁন মুহম্মদ রেজোয়ান (পিপিএম) স্যারের নির্দেশে তদন্ত ভার গ্রহন করে প্রযুক্তির সহায়তায় দীর্ঘ তদšের পর ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও তাদের স্বীকারোক্তী অনুযায়ী বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অবৈধ্য অস্ত্র, লুটকৃত স্বর্ণালংকার, মোবাইল সেট, উদ্ধার করা হয়। এ চক্রের সদস্যরা সুবিধামত জায়গায় ট্রাক পিকআপভ্যান থামিয়ে ডাকাতি করে অন্য জেলায় গিয়ে আত্নগোপন করতো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন