যশোরের হাশিমপুরে চায়ের দোকানে শনিবার ১১টার দিকে হোসেন আলী তরফদার (৫৫) নামে এক আনসার সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলী করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
হোসেন আলী হাশিমপুর গ্রামের তরফদারপাড়ার আরশাদ আলী তরফদারের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, হোসেন আলী তরফদার চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। ওইসময় কয়েকজন তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। একটি গুলি তার মাথায়, আরেকটি তার বুকের বামপাশে বিদ্ধ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। সূত্র জানায়,, হোসেন আলী তরফদার একসময় নিষিদ্ধঘোষিত চরমপন্থী দলের সদস্য ছিলেন। ১৯৯৯ সালে সরকারের সাধারণ ক্ষমার আওতায় অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরেন তিনি। এরপর সরকার তাকে আনসার বাহিনীতে চাকরি দেয়।
খবর পেয়ে যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
নিহতের বোন শরীফা বেগম ও মেয়ে জুলি জানান, আনসার বাহিনীর সদস্য হোসেন আলী তরফদার ঢাকার মিরপুরে কর্মরত ছিলেন। তিনদিন আগে ছুটিতে তিনি বাড়ি এসেছেন। সকালে যশোর সদরের ভেকুটিয়া এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তারা শুনতে পান- হোসেন আলী হাশিমপুরে বাজারে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
পুলিশ সুপার মঈনুল হক ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, আনসার বাহিনীর বিশেষ সদস্য হোসেন আলী তরফদারের খুনিরা বাজারের আশেপাশেই ছিল। তিনি আসার পর হত্যা করে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে মিশে খুনিরা পালিয়ে যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন