মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নৌযান শ্রমিক ধর্মঘট চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অচলাবস্থা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধসহ ১১ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সারাদেশে কর্মবিরতি (ধর্মঘট) শুরু করেছেন নৌযান শ্রমিকরা। এতে বিপাকে পড়েছেন নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীরা। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে এ কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। কর্মবিরতির ফলে যাত্রী, পণ্য ও জ্বালানিবাহীসহ দেশের সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ। এতে নৌপথে যোগাযোগে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে ইনকিলাবের ব্যুরো ও জেলা সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর।

সদরঘাটে নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা : বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য দেশব্যাপী নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি কর্মসূচি চলাকালীন সময়ে রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। এসব ভোগান্তিতে পড়া যাত্রীদের বেশিভাগই এই কর্মসূচি সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
শুক্রবার মধ্য রাত থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। গতকাল সকালে কম দূরত্বে যাতায়াতকারী কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে গেলেও দূরপাল্লার কোন লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়নি। অন্যত্র থেকে টার্মিনালে কোনো নৌযান এসে পৌঁছায়নি।
সরেজমিন দেখা যায়, সকাল থেকেই সদরঘাট টার্মিনালে লঞ্চগুলো সারিবদ্ধভাবে ভীড়ানো রয়েছে। বেশিরভাগ লঞ্চের প্রধান ফটকটি বন্ধ রয়েছে। কিছু লঞ্চের প্রধান ফটক খোলা রয়েছে। টার্মিনালে ভেড়ানো লঞ্চে মালিক পক্ষের কিছু লোকজন দেখা গেলেও লঞ্চের মাস্টার, সুকানী, লস্কর, বাবুর্চি, ড্রাইভার ও ওয়েলম্যানদের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়নি। নিত্যদিনের মতো সদরঘাটের সেই চিরচেনা চেহারাটি চোখে পড়েনি
বেলা ৩টায় টার্মিনালে লঞ্চের জন্য অপেক্ষারত হুইল চেয়ারে বসা সুমন ফরাজী নামে এক পঙ্গু যাত্রীর সাথে আলাপ হয়। তিনি জানান, রাজধানীর আদাবরে তিনি চা বিক্রি করতেন। ব্যবসা গুটিয়ে স্ত্রী সুমি বেগমকে সাথে নিয়ে ঝালকাঠির উজিরপুরের রতনকান্দী নিজ বাড়িতে যাবেন। কিন্তু লঞ্চ বন্ধ থাকায় তিনি চরম বিপদে পড়েছেন।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম জানান, তাদের ১১ দফা দাবি মালিকপক্ষ মেনে না নেয়া পর্যন্ত তাদের কর্মবিরতি চলবে। বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, লঞ্চের মালিকপক্ষ তাদের কিছু লোকজন দিয়ে কিছু কিছু লঞ্চ চালানোর চেষ্টা করছে। কিন্ত সফল হচ্ছে না। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে লঞ্চের শ্রমিকরা কর্মবিরতি দিয়ে অনেকেই লঞ্চ থেকে নেমে গিয়েছে।
বিআইডবিøউটিএ সদরঘাট নদীবন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ন পরিচালক মো. আলমগীর কবীর জানান, সদরঘাট টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন ৮০/৮৫টি লঞ্চ বিভিন্ন নদীপথে চলাচল করে। নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে লঞ্চ চলাচল কমে গেছে। সকালেও চাঁদপুর, নড়িয়াসহ কয়েকটি এলাকায় ১৩টি লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ছেড়ে গেছে। তবে শিগগিরই মালিকদের সাথে নৌযান শ্রমিকদের আলোচনার মাধমে এই সমস্যাটি মিটে যাবে।

চট্টগ্রাম ব্যুরো : নৌ শ্রমিকদের ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। চট্টগ্রাম থেকে নৌপথে পণ্য পরিবহন ও বহির্নোঙরে পণ্য খালাস কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। গত শুক্রবার রাত ১২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডাকে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন।

লাইটারেজ জাহাজগুলো পণ্য খালাসের জন্য না যাওয়ায় বহির্নোঙরে অলস বসে আছে বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য নিয়ে আসা ৭৮টি মাদার ভ্যাসেল। বড় ধরনের ব্যবসায়িক ক্ষতির আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা।

বন্দর সচিব জানান, বন্দরের ভেতরে জেটিতে কাজ স্বাভাবিক রয়েছে। ইয়ার্ড থেকে কন্টেইনার খালাস হচ্ছে। জাহাজে কন্টেইনার ওঠানামা স্বাভাবিক আছে। তবে আউটারে কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। খালাস বন্ধ থাকায় পণ্য নিয়ে লাইটারেজগুলোও কোথাও যাচ্ছে না।

গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে কোনো লাইটারেজ জাহাজ বহির্নোঙরে যায়নি। এমনকি আগে থেকে পণ্য খালাসে নিয়োজিত থাকা জাহাজগুলোও খালাস শেষ না করেই ঘাটে ফিরে এসেছে। এদিকে বহির্নোঙরে পণ্যবাহী ৭৮টি বড় জাহাজের মধ্যে ৪৯টি জাহাজ পণ্য খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। বাকি ২৯টি জাহাজ পণ্য খালাসের শিডিউল নেয়ার অপেক্ষায় আছে। কর্ণফুলী নদীর ১৬টি ঘাটে অলস বসে আছে শত শত লাইটারেজ জাহাজ ও অয়েল ট্যাঙ্কার।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের ঘোষিত ১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছেঃ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারীদের খোরাকি ভাতা ফ্রি করতে হবে ও ন্য‚নতম মজুরি ২০ হাজার টাকা করতে হবে। মাস্টার ড্রাইভারশিপ পরীক্ষায় ও ডিপিডিসি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সব অনিয়ম বন্ধ করতে হবে এবং কোর্স চলাকালে শ্রমিকদের ছুটি বাধ্যতামূলক করতে হবে।

নৌ শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসালয় করতে হবে। নৌপথে মোবাইল কোর্টের নামে হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নৌ শ্রমিকের মৃত্যু হলে ১২ লাখ টাকা মৃত্যুকালীন ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ভারতগামী শ্রমিকদের লোকাল এজেন্টের মাধ্যমে ল্যান্ডিং পাস সার্ভিস ভিসা ও জাহাজের ফ্রিজিং ব্যবস্থা না থাকায় তাদের (শ্রমিকদের) সুবিধা মতো স্থানে বাজার ও অন্যান্য কাজের জন্য আলাদা নৌকার ব্যবস্থা করতে হবে।

বরিশাল ব্যুরো : নৌযান শ্রমিকদের ১১ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের রেশ ধরে নদ-নদী নির্ভর দক্ষিণাঞ্চলেও নৌ যোগাযোগ মারাত্মক বিপর্যয়ের কবলে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় মারাত্মক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। তবে গতকাল সকাল ৮টায় ঢাকার সদরঘাট থেকে গ্রীনলাইনের ক্যাটামেরন এমভি গ্রীনলাইন-৩ যাত্রা করে দুপুর দেড়টায় বরিশালে পৌঁছে। দুপুর ৩টার দিকে আবার ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। ৬শ’ যাত্রী বহনক্ষম নৌযানটিতে উভয় যাত্রায়ই প্রায় সাড়ে ৭শ’ যাত্রী ভ্রমণ করেন।

বরিশাল নদীবন্দরের টার্মিনালে নৌ পুলিশ ছাড়াও বন্দর এলাকায় বিএমপি’র বিপুল সংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বরিশাল বন্দরের টার্মিনাল থেকে ছোট-বড় সবগুলো নৌযানই সরিয়ে রেখেছে শ্রমিকরা। দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ বরিশাল নদীবন্দরসহ দক্ষিণাঞ্চলের শতাধিক লঞ্চঘাটে অন্তত ২৫ হাজার যাত্রী আটকা পড়েছেন এ ধর্মঘটের ফলে।

শুক্রবার রাত ১২টা থেকে ধর্মঘট শুরু হলেও ওই দিন রাত ৯টার দিকে বরিশাল ও ঢাকা নদীবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া সবগুলো নৌযানই গতকাল সকালে গন্তব্যে পৌঁছে। ধর্মঘটের ফলে দক্ষিণাঞ্চলের ১৯টি রুট থেকে ঢাকামুখী প্রায় ৭০টি নৌযান বন্ধ হয়ে গেছে। পণ্য ও জ্বালানিবাহী নৌযানগুলোও বন্ধ রয়েছে।

তবে এ বিপর্যয়ের মধ্যেও রাষ্ট্রীয় নৌ বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বিআইডবিøউটিসি’র একমাত্র রকেট স্টিমার সার্ভিসটি চলছে কোনমতে। সংস্থার ৪টি প্যাডেল হুইল জাহাজের ১টি বিনা দরপত্রে ইজারা দেয়া হয়েছে। অপর তিনটির মধ্যে গড়ে ১টি বিকল থাকছে। বছর চারেক আগে সংগ্রহ করা ২টি স্ক্র-হুইল নৌযানও কারিগরি ত্রুটি ছাড়াও বিপুল জ্বালানি ব্যয়ের কারণে অনেকটা বসিয়ে রাখা হচ্ছে। ফলে বেসরকারি নৌযানের এ ধর্মঘটের মধ্যে সরকারি নৌযানসমূহ যাত্রী দুর্ভোগ লাঘবে তেমন কোন ভ‚মিকা রাখতে পারছে না।

নৌপরিবহন অধিদফতরের মতে দেশে বর্তমানে যাত্রী, পণ্য ও জ্বালানিবাহী নিবন্ধিত নৌযানের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। এর মধ্যে যাত্রীবাহী ১ হাজার ৬১, পণ্যবাহী ২ হাজার ২১৩, ফেরি ৫০, তেলবাহী ২৬০, টাগ ৮৯, ডাম্ব বার্জ ২১৬, স্পিডবোট প্রায় আড়াইশ’, ইনেসপেকশন বোট ৪৪ এবং বালুবাহী প্রায় ৪ হাজার, লোড/আনলোড ড্রেজার প্রায় ৯০০ ছাড়াও অন্য ৬ শতাধিক নৌযান রয়েছে।

এ ধর্মঘটের ফলে যাত্রী, পণ্য ও জ্বালানি পরিবহন ছাড়াও অন্য পরিবহনও মারাত্মক বিপর্যয়ের কবলে। বরিশাল নদীবন্দর এলাকায় বিপুল সংখ্যক যাত্রীবাহী নৌযান ছাড়াও পণ্য ও জ্বালানিবাহী নৌযান নোঙরে রয়েছে।

খুলনা ব্যুরো : নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটে খুলনাঞ্চলে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে খুলনা ও মোংলা বন্দরে পণ্য ওঠানামার কাজও বন্ধ হয়ে গেছে। নৌপরিবহন ধর্মঘটের দোহাই দিয়ে বাজারে নিত্যপণ্যের দামও বেড়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘট শুরুর পর থেকে খুলনার বিআইডব্লিউটিএ’র ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ঘাট এবং রুজভেল্ট জেটিতে অবস্থানরত কোনো জাহাজ ও কার্গো থেকে পণ্য খালাস হয়নি। এ ছাড়া খুলনা বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চঘাট থেকে কোনো নৌযান চলাচল করেনি। মোংলা বন্দর থেকে যশোরের নওয়াপাড়া বাণিজ্য কেন্দ্র পর্যন্ত কোথাও কোনো নৌযান চলেনি। ফলে এসব ঘাটে ছোট-বড় সহস্রাধিক নৌযান নোঙ্গর ফেলে পণ্য ওঠানামার জন্য অবস্থান করছে।

জানা গেছে, খুলনা ও যশোরের নওয়াপাড়ার কার্গোবার্জ থেকে পণ্য নেয়ার জন্য শত শত ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকলেও নৌযান শ্রমিকরা কাজ না করায় শিল্প নগরী খুলনা ও মোংলা বন্দরে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ধর্মঘটের ফলে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য বন্দরের জেটিতে আনা নেয়া এবং বন্দর থেকে নদীপথে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পরিবহন বন্ধ রয়েছে।

এদিকে নিত্যপণ্যের বাজারেও এ ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে। মালামাল আনা নেয়া হচ্ছে না এমন অজুহাত দেখিয়ে আলু, পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্যের দাম কেজিপ্রতি আরও ৫ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি করেন ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের খুলনা জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, কেন্দ্রের ডাকা এ ধর্মঘট খুলনা ও মোংলায় সর্বাত্মকভাবে পালিত হচ্ছে। নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট শুরু হওয়ায় শিল্পনগরী খুলনা ও মোংলা বন্দরে অবস্থানরত সব ধরনের দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্যবোঝাই-খালাস ও পরিবহন কাজ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া খুলনা ও মোংলা বন্দরের সঙ্গে সারাদেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন বলেন, গতকাল সকাল ৮টার পর থেকে মোংলা বন্দরের নৌশ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখেছেন। লাইটারেজ, কার্গো, বার্জ, অয়েল ট্যাঙ্কার, কোস্টার থেকে শুরু করে সব ধরনের জাহাজি নৌযানের শ্রমিকরা একযোগে এ ধর্মঘট পালন করছেন। ফলে বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামা এবং দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে নদীপথে চলাচল সম্প‚র্ণ বন্ধ রয়েছে।

পটুয়াখালী : সারাদেশের মতো পটুয়াখালীতেও নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি চলছে। শনিবার সকাল থেকে পটুয়াখালী নদী বন্দর থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। অভ্যন্তরীণ সব রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

ঢাকাগামী ডাবল ডেকার লঞ্চের একাধিক শ্রমিক ও মাস্টার জানান, সবার প্রভিডেন্ট ফান্ড ও ওয়েলফেয়ার ফান্ড আছে। নৌযান শ্রমিকদের কোনো প্রভিডেন্ট ফান্ড ও ওয়েলফেয়ার ফান্ড নেই। কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই মালিকপক্ষ আমাদের চাকরি থেকে ছাঁটাই করে। শ্রমিক লীগ নেতারা অহেতুক আমাদের মারধর করে। যতক্ষণ আমাদের ১১ দফা দাবি সরকার না মানবে আমরা কাজ করবো না। পটুয়াখালী নদী বন্দরের কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর রহমান বলেন, এটা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।

চাঁদপুর : নৌ ধর্মঘটে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে চাঁদপুর লঞ্চঘাট। চাঁদপুর থেকে রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, শরীয়তপুরসহ সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। যাত্রীরা বিকল্প পথে বাসে যাতায়াত করছেন।

রাজবাড়ী : সারাদেশে নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারীদের কর্মবিরতি চললেও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। গতকাল শনিবার ভোর থেকে এ রুটে অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিকভাবে ফেরি, লঞ্চসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল করতে দেখা গেছে।

দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের সুপারভাইজার মো. মোফাজ্জেল হোসেন জানান, সারাদেশে নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট চললেও দৌলতদিয়ায় কোনো ধর্মঘট নেই। স্বাভাবিকভাবে লঞ্চে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।

বিআইডবিøউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে কোনো ধর্মঘট নেই। অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিকভাবে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল করছে। বর্তমানে এ রুটে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
চাদের আলো ১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৩ এএম says : 0
যে সমস্ত লোক আন্দোলন করে মালিকপক্ষ তাদেরকে বাদ দিয়ে নতুন লোক নিয়োগ দেওয়া হোক
Total Reply(0)
Shahadat Khan ১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৪ এএম says : 0
ব্যর্থ যোগাযোগমন্ত্রী বাণিজ্যমন্ত্রী অবিলম্বে পদত্যাগ করার জন্য রেডি হয়ে যাও
Total Reply(0)
Md Alamgir Hossain ১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৫ এএম says : 0
ধর্মগাট শেষ হবে কবে
Total Reply(0)
Tanvir ১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৫ এএম says : 0
ধর্মঘট আর ধর্ঘমট। এক ধর্মঘট শেষ না হতেই আরেক ধর্মঘট শুরু। কৃষকদের মধ্যে ধর্মঘট ‍নেই। এ ছাড়া সব জায়গায় একই চিত্র।
Total Reply(0)
Khurshid Alam ১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৬ এএম says : 0
দুনিয়ার মজদুর এক হও
Total Reply(0)
Mmk Mithu Rafiq ১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৬ এএম says : 0
নৌপথে সন্ত্রাসী চাদাবজি বন্ধ কর করতে হবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন