যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একের পর এক ঘটনা ঘটছেই। এবার ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে এক গৃহকর্মীকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করার ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ডরমেটরি ভবনে বসবাসরত ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক শাহানাজ আক্তারের স্বামী যশোর পূবালি ব্যাংক শাখার সিনিয়র অফিসার মাজাহারুল ইসলাম মিঠু গত শনিবার গৃহকর্মীকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। আহত গৃহকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার শিক্ষককে পরিবারসহ ৭২ ঘন্টার মধ্যে ক্যাম্পাস থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. দীপক কুমার মন্ডল জানান, তাকে খুবই খারাপ ভাবে আঘাত করা হয়েছে। লাঠির আঘাতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত জমাট বেধেছে এবং টিস্যু খুবই খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আহত সখিনা খাতুন বলেন, আমাকে প্রায়ই গালিগালাজ করতেন মাজহারুল ইসলাম। এক পর্যায়ে আমি কাজ ছেড়ে দিবো বলে সিদ্ধান্ত নিই। যার প্রেক্ষিতে তিনি আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন।
এ বিষয়ে যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলা হয়, গৃহকর্মী নির্যাতনের যে ঘটনাটি ঘটেছে এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি, একইসাথে ৭২ ঘণ্টার ভেতর তাদেরকে ডরমিটরি ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
সখিনার পিতা আবুল হোসেনের বলেন, মারধরের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ভুক্তভোগী গৃহকর্মীর পিতা ও অভিভাবকদের নিয়ে শিক্ষক ডরমিটরিতে প্রথমে ২০ হাজার টাকা দিয়ে মীমাংসার চেষ্টা চালান, তারা প্রস্তাবে রাজি না হলে পরবর্তীতে টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে ৩০ হাজার পর্যন্ত করা হয়। নির্যাতনের শিকার সখিনা খাতুন যশোর জেলার চৌগাছা থানার ফুলসারা ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে।
দুই সন্তানের জননী সখিনার স্বামী মৃত মাহামুদুল হাসান মারা যাবার পর সাংসারিক অসচ্ছলতার কারণে প্রায় দুই বছর ধরে তিনি ওই শিক্ষকের বাসায় কাজ করতেন।
প্রভাষক শাহানাজ আক্তার বলেন, তার স্বামীর সাইকো প্রবেলেম। এ ঘটনায় তিনি দু:খ প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় থানায় এখনও মামলা হয়নি। তবে গৃহকর্মীর বাবা আবুল হোসেন জানান, তারা মামলা করবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন