বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেছেন, যে সকল রোগীর রোগ নিরাময় যোগ্য নয় তাঁদের তাদের জন্য প্যালেয়েটিভ কেয়ার সেবা। যাতে আমৃত্যু তাঁরা ব্যথামুক্ত যন্ত্রনাহীন কাটাতে পারেন। এসকল রোগীদের সেবাদানের মহতী উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্যালিয়েটিভ সেবা চালু করা হয়েছে। এ বিষয়ে এমডি কোর্স চালু করা হয়েছে। রাজধানীর গুলশানের কড়াইল বস্তি এবং নারায়ণগঞ্জেও এই সেবা চালু করা হয়েছে। প্যালিয়েটিভ সেবার পরিধি বাড়াতে ও উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন সব সময় সহায়তা দিয়ে আসছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) শাহবাগের জাতীয় যাদুঘর এর নলিনীকান্ত ভট্টশালী মিলনায়তনে বিশ্ব ‘হসপিস এন্ড প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবস’ উপলক্ষে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডা. কনক কান্তি বড়–য়া। সোসাইটির সভাপতি সৈয়দ সাদেক মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. নিজামউদ্দীন আহমদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. মাকসুদ আলম।
বক্তারা বলেন, যেসব দেশে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেবা সমৃদ্ধি লাভ করেছে সেসব দেশে বাড়িতে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। কেননা প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেবার মাধ্যমে যন্ত্রনাহীন, ভোগান্তিমুক্ত মৃত্যু সম্ভব। বর্তমানে দেশের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিভাগের মাধ্যমে এ ধরণের সেবা দেয়া অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন