শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

নতুন স্মার্ট অস্ত্র পরীক্ষা পাকিস্তানের অপারেশন হক-আই সম্পন্ন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

পাকিস্তান বিমান বাহিনী ঘরোয়াভাবে তৈরী নতুন এক সম্প্রসারিত পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষা করেছে। তারা একে ‘স্মার্ট অস্ত্র’ হিসেবে অভিহিত করেছে। তারা দৃঢ়ভাবে বলেছে, যেকোনো বিদেশি আগ্রাসনের শিকার হলে তারা ‘পূর্ণ শক্তি দিয়ে’ জবাব দেবে। অস্ত্রটি সম্ভবত বিমান থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র। এটি চীন-পাকিস্তান মাল্টিরোল জঙ্গিবিমান জেএফ-১৭ থান্ডারে মোতায়েন করা হয়েছে। পাকিস্তান বিমান বাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটির কোনো বৈশিষ্ট্যের কথাই প্রকাশ করা হয়নি। কেবল বলা হয়েছে, এর পাল্লা বেশি এবং এটি ‘স্মার্ট অস্ত্র’। পরীক্ষার একটি সংক্ষিপ্ত সময়ের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, একটি জঙ্গিবিমান ক্ষেপণাস্ত্রটি মোতায়েন করছে, যা নির্দিষ্ট টার্গেটে আঘাত হেনেছে। ফুটেজে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সৃষ্ট গর্তও দেখানো হয়েছে। নতুন অস্ত্রের আবিষ্কার ও সফলভাবে তা পরীক্ষার ঘটনার উচ্ছ¡সিত প্রশংসা করেছেন বিমানবাহিনীর প্রধান মুজাহিদ আনোয়ার খান। তিনি এই কৃতিত্বের জন্য দেশটির প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানীদের প্রশংসা করেন। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, পাকিস্তান শান্তিপ্রেমি দেশ। তবে এই দেশ যদি শত্রæর আগ্রাসনের শিকার হয়, তবে প‚র্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দেবে। সাউথ এশিয়ান মনিটর এ খবর জানায়। অপর এক খবরে বলা হয়, পাকিস্তান বিমান বাহিনী ‘হক-আই’ নামের কমান্ড লেভেল অপারেশন সম্পন্ন করার কথা ঘোষণা করেছে। এতে তিনটি আঞ্চলিক কমান্ডের সবগুলো অংশ নেয়। পিএএফ জানায়, হক-আই অপারেশনে সব ধরনের বিমান ব্যবহার করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে জঙ্গি বিমান ও ফোর্স মাল্টিপ্লায়ার্স ছিলো। শেষোক্ত গ্রæপে এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং এন্ড কন্ট্রোল (এইডবিøউএন্ডসি) এয়ারক্রাফট ও এয়ার-টু-এয়ার রিফুয়েলিং (এএআর) ট্যাঙ্কার বা ইলেক্ট্রনিক এ্যাটাক (ইডবিøউ) সম্পদ থাকতে পারে। বিশেষ বাহিনী তথা স্পেশাল সার্ভিস উইং (এসএসডবিøউ)অপারেশনে অংশ নেয়। প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায় যে এসএসডবিøউ অপারেটিভরা সি-১৩০ বা সি-২৩৫ ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট থেকে প্যারাসুটে জাম্প দিচ্ছে। পিএএফের প্রেসবিজ্ঞপ্তির বক্তব্য থেকে মনে হয়, হক-আই অপারেশনের দুটি চ‚ড়ান্ত লক্ষ্য রয়েছে: বিভিন্ন ধরনের সম্পদকে স্বল্প সময়ের নোটিশে অপারেশনের জন্য প্রস্তুত করা ও পিএএফের আক্রমণ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন যেন সময়কালে নিশ্চিত করা যায়। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, পিএএফ শুধু মিরেজ ও এফ-১৬ জঙ্গিবিমানকে তার আক্রমণাত্মক সম্পদ বলে মনে করছে না, এই তালিকায় জেএফ-১৭ও যোগ হয়েছে। জেএএফ-১৭-এর প্রধান এয়ার-টু-সারফেস অস্ত্র হলো রেঞ্জ এক্সটেনশন কিট (আরইকে) ও সি-৮০২ এন্টিশিপ ক্রুজ মিসাইল (এএসসিএম)। আরইকে হলো এমকে ৮০-সিরিজ জেনারেল পারপাস বোমার জন্য একটি গøাইডিং প্রিসিসন-গাইডেড বম্ব (বিপিবি) কিট। উচ্চতার ভিত্তিতে আরইকে ১০০ কিলোমিটার পাল্লার মধ্যে এমকে-৮১, এমকে-৮২ এবং এমকে-৮৩ জিপিবি নিক্ষেপ করতে পারে। ২০১৭ সালের মার্চেই আরইকে-কে জেএফ-১৭ জঙ্গিবিমানে ব্যবহারের উপযোগী করেছে পাকিস্তান এরোনটিক্যাল কমপ্লেক্স (পিএসি)। এসএএম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Shams Tibriz ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:১০ এএম says : 1
পাকিস্তানের ব্যাক্তিগত ব্যাপার
Total Reply(0)
MD Tanvir ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
নতুন আস্ত্র তৈয়ার করলে বা মোতায়ন করলেই অন্য দেশের বিরুদ্ধে উত্তেজনা তৈয়ারি হয়না।শুধু মাত্র সে দেশের সামরিক বাহিনির সক্ষমতা বারে,যদি না দুই দেশ সেই মুহুর্তে যুধে জড়িত না থাকে।
Total Reply(0)
Hasanuzzaman Hasan ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 1
ভারতকে ধ্বংস করে দেয়া হোক।
Total Reply(0)
Dipankar Das ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
প্রায় ৫ মাস হয়ে গেল ভারত ৩৭০ হাঠিয়ে দিয়েছে। নিয়াজী খান অনেক লাফালাফি করে এখন চুপ মেরে গেছে।
Total Reply(0)
Sajid Mahmud ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
পাকিস্থানের আর একটি প্ল্যান আছে যে, তারা বিদেশি ট্যাংক আক্রমণের শিকার হলে প্রথমে তারা ট্যাঙ্ক গুলিকে তাদের ভূখণ্ডের কিছুটা ভিতর যেতে দেবে এবং তারপর লাইট অ্যাটম ওয়ারহেড দিয়ে সেগুলিকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে দেবে, আন্তর্জাতিক মহল তাহলে বলতে পারবে না যে পাকিস্থান আগ বাড়িয়ে কাউকে আক্রমণ করেছে, বরং তারা বলবে পাকিস্থানের সার্বভৌমত্বের ভিতরে আঘাত করার যোগ্য জবাব দিয়েছে।
Total Reply(0)
আবু আব্দুল্লাহ ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১১:৪০ এএম says : 0
PAKISTAN ZINDABAD
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন