শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

‘কৃত্রিম বুদ্ধিসম্পন্ন’ সঙ্কেত বাতি সড়কে বসছে

যানজট নিরসনে নতুন উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত ঢাকার সবচেয়ে প্রকট ও জটিল সমস্যাটি হলো যানজট। যানজট নিরসনে নানা উদ্যোগ বিভিন্ন সময় নেয়া হলেও এ সমস্যার সমাধান কোনোভাবেই হচ্ছে না বরং তা আরও প্রকট হচ্ছে।
রাজধানীর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে চার দফায় স্বয়ংক্রিয় ও আধা-স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সংকেতের ব্যবস্থা চালু করেছিল সিটি কর্পোরেশন। যদিও রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহার না হওয়ায় সবগুলোই একপর্যায়ে মুখ থুবড়ে পড়ে। শৃঙ্খলা ফেরাতে এবার রাজধানীর সড়কে বসানো হচ্ছে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সংকেতবাতি’।

পরীক্ষামূলকভাবে এ সংকেত বাতি রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ চারটি স্থানে বসানোর কাজ সম্পন্ন করেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। এ বাতি নিজ থেকে গাড়ির সংখ্যা শনাক্ত করে সংকেতের জন্য সময় নির্ধারণ করবে। গাড়ির সংখ্যা বুঝে ট্রাফিক সিগন্যাল চালু ও বন্ধের সংকেতও দেবে ডিভাইসটি। ২০২০ সালের ফেব্রæয়ারিতে এটা চালুর কথা।
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, জাইকার অর্থায়নে পাইলট প্রজেক্টের আওতায় চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে এ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সংকেত বাতি। ডিটিসিএ প্রদত্ত প্রকল্পটির পরিচালক এ এস এম ইলিয়াস শাহ বলেন, গুলশান-১, মহাখালী মোড়, পল্টন মোড় ও ফুলবাড়িয়া মোড়ে আধুনিক এ সংকেতের ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। এতে খরচ হচ্ছে তিন কোটি টাকা। ইন্টিগ্রেটেড ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের আওতায় জাইকা এ খাতে অর্থায়ন করছে। ২০১৫ সালের দিকে প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়। বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি।

নতুন এ ব্যবস্থা কার্যকর হলে ট্রাফিক সিগন্যাল মেইনটেইনের জন্য পুলিশ লাগবে না। তবে এটা নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ। কন্ট্রোল রুম থেকে তারা সবকিছু মনিটরিং করবে। ভিআইপি মুভমেন্টের কারণে সড়কে যানচলাচল বন্ধের প্রয়োজন হলে ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ হস্তক্ষেপ করতে পারবে।

গত ফেব্রুয়ারিতে অনলাইনভিত্তিক জরিপ প্রতিষ্ঠান ‘নামবিও’ প্রকাশিত ট্রাফিক ইনডেক্স-২০১৯-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে যানজটের শহর এখন ঢাকা। এর পরই রয়েছে ভারতের কলকাতা শহর। তৃতীয় অবস্থানে নয়াদিল্লি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যানজটের কারণে শুধু ঢাকায় দৈনিক ৪০ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে, যার আর্থিক ক্ষতি বছরে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা। যানজটের পরিস্থিতি দিন দিন যেভাবে খারাপ হচ্ছে, তাতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণও যে বাড়বে, তা বলাবাহুল্য।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Rashedul Hasan ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম says : 0
যানজট নিরসনে আমার কিছু ভাবনা: ১। প্রধান সড়কে রিক্সা চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করা । অথবা রিক্সা চলাচলের জন্য আলাদা লেন করা । কেননা, রিক্সা চালকরা এমন ভাবে রিক্সা চালায়, যেন তারাই রাস্তার রাজা । সহজে তারা সাইড দিতে চায়না, উল্টো প্রায়ই দেখা যায় পাশাপাশি ৪-৫ টি রিক্সা এক সাথে চলে । যার ফলে অন্য যানবাহন চলাচলের জায়গা প্রায় থাকেই না । যা যানজটের একটি বড় কারন । ২। বাস স্টপেজ গুলো সুশৃংখল করা । বাস থামা ও চলাচলের স্থান নির্দিষ্ট করা । আর সবথেকে জরুরী হল মাঝ রাস্তা থেকে যাত্রী তোলা বা যাত্রী নামানো বন্ধ করা । ৩। প্রাইভেট গাড়ী নিবন্ধন ও চলাচলে অধিক কূশলী হওয়া (বিআরটিএ এর জন্য) । ৪। গণ পরিবহণে শক্তিশালী অবকাঠামো তৈরী করা এবং মিনিবাস, একতলা বাস ইত্যাদির উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে বেশী সংখ্যক মান সম্পন্ন দো-তলা বাস নামানো । ৫। রেল সার্ভিস কে যুগোপযোগী,আধুনিক,সাশ্রয়ী এবং সময় নিয়ন্ত্রিত করে গড়ে তোলা । প্রকৃত পক্ষে রেল ই প্রধান গণপরিবহণ হওয়া উচিত । ৬। যান্ত্রিক বাহনের উপর নির্ভরশীলতা কমান এবং কাছাকাছি গন্তব্যে পায়ে হেটে যাওয়া যেতে পারে (অবশ্যই স্হান, কাল পাত্র ভেদে) বা ব্যক্তিগত সাইকেল ব্যবহার একটি ভাল বিকল্প হতে পারে । ৭। গাড়ী পার্কিং ব্যাবস্হার উন্নয়ন সাধন করা এবং এলোমেলো গাড়ী পার্কিংএ শাস্তির বিধান করা ও তার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা । ৮। সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল, ট্রাফিক আইন মেনে হলা ও আইন অমান্যে যথাযথ শাস্তির ব্যাবস্থা করা । আমাদের সবার একান্ত আন্তরিকতা, নিবেদন ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টা যানজট নিরসনে ভূমিকা রাখতে ও আমাদের মূল্যবান সময় বাচাতে পারে ।
Total Reply(0)
Akkas Ali ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম says : 0
ঢাকায় যানজটের মূল কারন,আমরা সবাই ঢাকায় থাকি।বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকার এমনভাবে দেশের উন্নতি করেছে যে ঢাকা হয়েছে মৌচাক আর জনতা মৌমাছি।
Total Reply(0)
M. Omar Khyam ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 0
প্রতি পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটারের মধ্যে সুবিধাজনক স্থানে নিরাপদ ইউ-টার্ন, রাইট টার্ন কিংবা সরাসরি পারাপার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা, মূল সড়কের সাথে উপ সড়ক সমূহের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে যানজট নিরসনে ভালো একটা সুফল পাওয়া যেতে পারে.
Total Reply(0)
faruk ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 0
একজন যাতায়াত করার জন্য প্রাইভেট কার নয় যানজট কমাতে সাইকেল ব্যবহার করুন ।
Total Reply(0)
সাইফুল ইসলাম চঞ্চল ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৬ এএম says : 0
আমার একটা উপদেশ আছে।দ্রুত যানজট নিরসন করা এত সহজ নয়।তাই কমালাপুর ট্রেনষ্টেশন জরুরীভিত্তিতে জয়দেবপুরে স্থানান্তর করা হোক।আর বিদ্যমান ট্রেনলাইন দিয়ে অনবরত জয়দেবপুর থেকে নারায়নগঞ্জ পর্যন্ত ট্রেন চালানো হোক।তাতে অর্ধেক লোক ট্রেনে চড়বে।যানজট অনেক কমে যেতে পারে।
Total Reply(0)
ahammad ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ২:২০ এএম says : 0
আরে ভাই শুধু গাড়ির ব্যাপারে উপদেশ দিলেন কিন্তু মূল কথায়তো গেলেন না। সবচাইতে বড়সমস্যা আইনশৃঙ্খা বাহিনীর চাূদাবাজি। শুধু শহরে নয় হাইওয়ে রোডেও কাবারব্যান,ট্রাক,লরি কারনে অকারনে দাড়করিয়ে দাড়াকরিয়ে টাকাচায় না দিলে বিভিন্ন উচিলা খোজে আটককরে রাখে। একটি দেশের অব্যান্তরীন আইন শৃ্ঙঙ্খলা রখ্খাকারী বাহিনীর দয়িত্ব আনেক গুরুত্বপূর্ন। সেখানে রখ্খকরাই যদি বখ্খক হয়ে যায় সে দেশে ভালো কিছু আশাকরা কঠিন।
Total Reply(0)
ahammad ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ২:২৫ এএম says : 0
কৃওিম বদ্ধির সিগনাল লাইট লাগিয়প অহেতুক টাকার অপছয় আর হরিলুট ছাড়া কাজের কাজ কিছুই লাভ হবে না।
Total Reply(0)
এস জালাল বেপারী ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১০:৫৫ এএম says : 0
আমরা দেশে বাহিরে গাড়ী চালাই,সিগন্যাল না মানলে গুনতে হয়,দশ হাজার টাকা, ভুলেও সরকার এক পয়সা মাপ করে না।এই রকম দেশে যানজট কম হবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন