খুলনা শিপইয়ার্ডে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য ৫টি মাঝারি যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণ কাজের সূচনা করেছেন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী। চীনা কারিগরি সহায়তায় নির্মিতব্য এসব পেট্রোল ক্রাফট দেশের উপক‚লীয় এলাকায় নিয়মিত টহল প্রদান, চোরাচালান বিরোধী অভিযান, দুর্ঘটনা পরবর্তী উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ, যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা ও পরিবশে দুষণ প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা পালন করবে। গতকাল ৫টি পেট্রোল ক্রাফটের কিল লেয়িং উপলক্ষে খুলনা শিপইয়ার্ডের সবুজ চত্ত¡রে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন এম সজেদুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (ম্যাটেরিয়েল) রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মঈনুল হক, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মোজাম্মেল হক এবং কমান্ডার খুলনা নেভাল এরিয়া রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা ছাড়াও শিপইয়ার্ডের জেনারেল ম্যানেজারবৃন্দসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দেশের বিশাল সমুদ্র এলাকায় নিরাপত্তা, সম্পদ আহরণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষে নৌবাহিনী ২০১৫ থেকে ’৩০ সাল পর্যন্ত স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করছে। স্বল্প মেয়াদী স্তরে আরো ৫টি পেট্রোল ক্রাফট নির্মিত হচ্ছে খুলনা শিপইয়ার্ডে।প্রায় ৫৩২ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কিল লেয়িং-এর মধ্যে দিয়ে ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা হল। ৫টি পেট্রোল ক্রাফটের প্রতিটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৭০ ফুট, প্রস্থ প্রায় ২৫ ফুট। জার্মানির এমটিইউ ব্রান্ডের ২৩৪০ কিলোওয়াটের মূল ইঞ্জিন সমৃদ্ধ এসব যুদ্ধ জাহাজ ৩০৭ টন পানি অপসারণ করে ঘণ্টায় প্রায় ৪০ কিলোমিটার নৌপথ অতিক্রম করতে পারবে। চীনা ক্লাসিফিকেশন সোসাইটির তত্ত¡বধানে নির্মিতব্য এসব পেট্রোল ক্রাফটে ৩টি অ্যান্টি এয়ারক্রাফট গানসহ সশস্ত্র ও নিরস্ত্র ৩৩ জন নৌসেনা থাকবে। ১টি ইমার্জেন্সি জেনারেটর ছাড়াও ২৩৪০ কিলোওয়াটের আরো দুটি জেনারেটর থাকবে। যুদ্ধ জাহাজে দুটি করে নেভিগেশনাল রাডার ও ইকো সাউন্ডার ছাড়াও সার্বক্ষণিক যোগাযোগের লক্ষে দুটি করে এইচএফ ও ভিএইচএফ ওয়ারলেস সেট থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন