বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

অর্থ সঙ্কটে মেধাবী ফাতেমার শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত

মো. আশিকুর রহমান টুটুল, লালপুর (নাটোর) থেকে | প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

২০১৯-২০ শিক্ষা বর্ষে ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্সপেয়েও অর্থ অভাবে ভর্তি হতে পারছেনা নাটোরের লালপুর উপজেলার তিলকপুর গ্রামের মেধাবী ছাত্রী ফাতেমা। ৬৫ বছরের বৃদ্ধ বাবা ইউসুফ আলীর উপজনের একমাত্র উৎস একটি চায়ের দোকান। চা বিক্রয়ের সামান্য আয়ে সংসার চালানোই কষ্টকর সেখানে দুই বোনের লেখাপড়া খরচ কিভাবে যোগাবেন এ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন হতদরিদ্র বৃদ্ধা এই বাবা। ফাতেমা লালপুর উপজেলার তিলকপুর গ্রামের ইউসুফ আলীর ছোট মেয়ে। ফাতেমা পিএসসি তে জিপিএ-৫, জে এসসিতে জিপিএ-৫, এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেলেও এইচএসসি পরীক্ষার সময় অসুস্থ্য থাকায় জিপিএ-৪.৯২ পায়। ফাতেমা এবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশনিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটে মেধাতালিকায় ৭৪৭তম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ‘খ’ ইউনিটে মেধাতালিকায় ৩৩৪, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘খ’ ইউনিটে ১৮৩, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘খ’ ইউনিটে মেধাতালিকায় ১৪তম জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গ’ ইউনিটে ৪৯৫তম হয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।কিন্তু ভর্তি হতে প্রয়োজন প্রায় ১৫ হাজার টাকা যা তার পরিবারের পক্ষে যোগান দেওয়া অসম্ভব। ভর্তির সুযোগ পেওে শুধু অর্থের জন্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ারার স্বপ্ন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফাতেমার বাবা ইউসুফ আলী তিলকপুর মোড়ে অবস্থিত ছোট্ট একটি চায়ের দোকানের চা বিক্রেতা। ৩ শতাংশ বাড়ির জমি ছাড়া যার আর কিছুই নেই তার। মেয়ে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেলেও ভর্তি করানো বা পড়ানোর টাকা নেই তার। এসময় তার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘ একমাত্র আমিই এই সংসারের উপার্জনশীল ব্যক্তি। সারাদিন চা বিক্রকরে যা রোজগার হয় তা দিয়ে সংসারই ঠিকমতো চালাতে পারি না।’ তিনি দুই চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বলেন, ‘শত অভাবের মাঝেও ফাতেমার বড় বোন কে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছি সে সমাজ বিজ্ঞান (সম্মান) বিভাগের ৪র্থ বর্ষে অধ্যায়নরত।এই চায়ের দোকানের উপর নির্ভর করে সংসার চালিয় আবার দুই বোনের লেখাপড়া করানো তার পক্ষে সম্ভব না।’
ফাতেমা বলেন, ‘আমি আল্লাহর রহমতে ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। আমার জন্য সকলে দোয়া করবেন। ‘আমি যেন সুশিক্ষায় শিক্ষিত পরিবারের মুখ উজ্বল করতে পারি এবং দেশ ও জাতির জন্য কিছু করতে পারি।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন