নিউইয়র্কে পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (সা.) ও চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেবজান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৩০ নভেম্বর শনিবার জ্যাকসন হাইটসের খাবার বাড়ির পালকি পার্টি হল ও চাইনিজে এ মেজবানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দিনাজপুর ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আওলাদে রাসুল (সঃ) মাওলানা ড. সাইয়িদ এরশাদ আহম্মেদ আল বোখারী। প্রধান বক্তা ছিলেন উডসাইডের আহলে বাইয়াত জামে মসজিদের খতিব ড. মুফতী সৈয়দ আনসারুল করিম আল-আজ্হারী। সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্রের ওলামা সোসাইটির সভাপতি এবং এস্টোরিয়ার গাউছিয়া জামে মসজিদের খতিব আল্লামা জালাল সিদ্দিকী। বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক আলী আকবর (বাপ্পী), সদস্য সচিব কর্ণফুলী ট্রাভেলসের কর্ণধার মোহাম্মদ সেলিম (হারুন), যুগ্ম আহবায়ক মাকসুদুল হক চৌধুরী, সাইফুদ্দীন খান (স্বপন), কোষাধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ আইয়ুব আনসারী, মোহাম্মদ গোলাম নবী হোসাইনম, মিজানুর রহমান, যুগ্ম সদস্য সচিব আবুল কাসেম (চট্টলা), জাফর আহমেদ উল্লাহ, চেয়ারম্যান সামশুল আলম চৌধুরী। পরিচালনা করেন মাওলানা আইয়ুব আনসারী, হাফেজ মোহাম্মদ শাহেদ (বিএসএসএনএ)।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন আলহাজ্ব মনির আহমেদ, শাহীন সোহরাওয়ার্দী, এনাম চৌধুরী, আব্দুল হাই জিয়া। মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর ছিলেন মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম। প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন মাহাবুব আলম, মোহাম্মদ বদিউল আলম ও মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন রাজু।
বক্তারা বলেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন মানবজাতির অনুকরণীয় মহান উদার, বিনয়ী ও নরম ব্যক্তিত্ব। তিনি উত্তম চরিত্র ও মহানুভবতার একমাত্র আধার। পিতা-মাতা, স্বামী-স্ত্রী, প্রতিবেশী সবার অকৃত্রিম শিক্ষণীয় আদর্শ ও প্রাণপ্রিয় ব্যক্তিত্ব নবী করিম (সা.) একাধারে সমাজসংস্কারক, ন্যায়বিচারক, সাহসীযোদ্ধা, দক্ষ প্রশাসক, যোগ্য রাষ্ট্র নায়ক এবং সফল ধর্মপ্রচারক।
তারা বলেন, কল্যাণকর প্রতিটি কাজেই হজরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বোত্তম আদর্শ। তাঁর অসাধারণ চারিত্রিক মাধুর্য ও অনুপম ব্যক্তিত্বের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ তিনি অবিস্মরণীয় ক্ষমা, মহানুভবতা, বিনয়-ন¤্রতা, সত্যনিষ্ঠতা প্রভৃতি বিরল চারিত্রিক মাধুর্য দিয়েই বর্বর আরব জাতির আস্থাভাজন হতে সক্ষম হয়েছিলেন। যে কারণে তারা তাঁকে ‘আল-আমিন’ বা বিশ্বস্ত উপাধিতে ভূষিত করেছিল।
মেজবানে নিউইয়র্ক সহ বিভিন্ন স্টেট থেকে প্রবাসী নারী-পুরুষ অংশ গ্রহণ করেন। মধ্যরাত পর্যন্ত চলে ওয়াজ। মেজবানে দেড় হাজারের উপর প্রবাসী অংশ নেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন