মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

লিবিয়ার মাধ্যমে ভূমধ্যসাগর দখলের চেষ্টা করছে তুরস্ক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

রাজধানী ত্রিপোলিসহ দেশটির ছোট একটি অংশই কেবল নিয়ন্ত্রণ করে লিবিয়ার সরকার, তবে তুর্কি সমর্থনের প্রয়োজনে এটি ভূমধ্যসাগর নিয়ন্ত্রণকারী আঙ্কারার সাথে একটি উদ্ভট চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তুরস্ক বলেছে, যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তা ঐতিহাসিক এবং এটি বিশ্বের কাছে তার সক্ষমতা এমনভাবে প্রমাণ করেছে যা আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তবে এই অঞ্চলে তার ভবিষ্যতের উদ্দেশ্যকেও ইঙ্গিত দিয়েছে। গ্রীস ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং এর বিরুদ্ধে তারা ন্যাটো ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে অভিযোগ জানাবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে। মিসর, সাইপ্রাস এবং ইসাইলের ক্ষেত্রেও বৃহত্তর পরিসরে এর প্রভাব পড়বে কারণ তুরস্ক একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য সমুদ্রে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে চলেছে।

তুরস্ক ত্রিপোলিতে লিবিয়ার জোট সরকারের প্রেসিডেন্ট পরিষদের প্রধান ফয়েজ আল-সরাজের সাথে সাক্ষাত করেছে। সরাজ ইস্তাম্বুলে ছিলেন, তবে বোঝা যাচ্ছে যে তার দুর্বল সরকার তুরস্কের সাথে একটি চুক্তি নিয়ে অনেকদিন ধরেই আলোচনা করে আসছিল, যা ভ‚মধ্যসাগরে পেরিয়ে অপর পাশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে তুরস্ককে প্রবেশের সুযোগ করে দেবে।

তুরস্কের দৈনিক সাবাহ বলেছে, এই চুক্তি দু’পক্ষের জন্যই লাভজনক। আসল ঘটনাটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। তুরস্ক ইরাক, সিরিয়া হয়ে এখন উল্টোপাশের লিবিয়া পর্যন্ত ভ‚মধ্যসাগরে প্রবেশের সুযোগ পেল। প্রায় ১০০ বছর আগে অটোমান সাম্রাজ্যের পর থেকে ক্ষমতা অর্জনে তাদের এমন প্রচেষ্টা আর দেখা যায়নি। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, তুরস্ক এখন ‘ত্রি-মাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি’ থেকে ভ‚মধ্যসাগরে তদের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করেছে।
তুরস্কের ভ‚মধ্যসাগরীয় নীতি সাইপ্রাসের উপর ক্রমবর্ধমান হারে চাপ বৃদ্ধির একটি অংশ, এবং লিবিয়ার ত্রিপোলি সরকার সম্পর্কে আঙ্কারার দৃষ্টিভঙ্গিও তাদের সেই এজেন্ডার অংশ। উদাহরণস্বরূপ প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগানের যোগাযোগ সচিব ফাহেরেতিন আলটুন টুইট করেছেন যে, লিবিয়ার সরকারের তুরস্ক যেসব সমর্থন দেবে তার মধ্যে ‘নিরাপত্তা এবং সামরিক সহযোগিতা’ একটি।
তুরস্ক ত্রিপোলি সরকারকে ড্রোন ও সামরিক যানবাহন সরবরাহ করেছে। দেশটিকে তুরস্ক ও মিশরের পাশাপাশি উপসাগরীয় দেশগুলির মধ্যে প্রক্সি যুদ্ধ হিসাবে দেখা হয়। তুরস্ক মিশরের আবদেল ফাতাহ আল-সিসির বিরোধিতা করে এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের মোহাম্মদ মুরসিকে সমর্থন করেছিল, যাকে ২০১৩ সালে পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

এখন জানা গেল,ড্রোন ও অন্যান্য সমর্থন ছিল তুরস্কের অনেক বড় লক্ষ্যের একটি অংশ। তুরস্ক তার উপক‚লরেখাটি লিবিয়ার সাথে যুক্ত করে অর্থনৈতিক প্রবেশাধিকার এবং কৌশলগত করিডোর চায়। এটি কোনও সামান্য পরিমাণ অংশ নয় কারণ এটি ৮০০ কিলোমিটার জুড়ে সাইপ্রাস এবং গ্রীসকে অতিক্রম করে। সংক্ষেপে, তুরস্ক লিবিয়ার সরকারকে শক্তিশালী করে তুলছে কারণ তারা জানে, দুর্বল হলেও সরকার এমন জায়গাগুলিতে সই করতে পারে যেখানে তারা নিয়ন্ত্রণও করে না। ফলে তুরস্কের সহায়তায় তারা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।
তবে গ্রিস ন্যাটো সদস্যদের এই বিতর্কিত চুক্তির বিরুদ্ধে এখন অ্যাথেন্সকে সমর্থন করতে বলবে। এটি সাইপ্রাসের সমুদ্রে বৃহত্তর সমস্যা স্থাপন করে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোস ডেন্ডিয়াস বলেছেন যে, সাম্প্রতিক চুক্তির বিষয়ে তুরস্ক সমুদ্রের আইন মান্য করেনি এবং লিবিয়ার সাথে বর্তমান অন্যান্য চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশগুলো তাদেরকে প্রত্যাখান করবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Md Robiul Islam ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:৫০ এএম says : 0
তুরস্ক তো কাপাচ্ছে দেখি সবদিকে
Total Reply(0)
কাওসার আহমেদ ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:৫০ এএম says : 0
তুরস্কের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো
Total Reply(0)
নিয়াজ ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:৫১ এএম says : 0
অদূর ভবিষ্যতে তুরস্ক হবে পৃথিবীর অন্যতম পরাশক্তি
Total Reply(0)
রফিক ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:৫১ এএম says : 1
তুরস্কের উচিত ইরানসহ মুসলীম বিশ্বকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া
Total Reply(0)
MD Sagor Mia ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৭:৩৮ এএম says : 0
তুরস্কের জন্য শুভকামনা রইল। দোয়া করি প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগানকে আল্লাহ তায়ালা দীর্ঘজীবী করুন। আমীন
Total Reply(0)
Shoriful Islam ৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৬:৩৪ পিএম says : 0
এভাবেই তুরস্ক এগিয়ে যাবে দোয়া রইল
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন