বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

তবুও ‘গর্বিত’ ইব্রাহিমোভিচ

প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : ৮৩ মিনিট পর্যন্তও সম্ভবনাটা টিকে ছিল। জøাতান ইব্রাহিমভিচ আর সুইডেনের মিটমিট করে জ্বলতে থাকা সম্ভবনার সলতেটা এরপর যেন এক ফুৎকারে নিভিয়ে দিলেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার রাদজা নাইনগোলান। ইব্রাহিমোভিচদের দেখে বোঝাই যচ্ছিল বাকি ৬ মিনিটে প্রয়োজনীয় দুই গোল করা তাদের সাধ্যাতীত। ঐ একমাত্র গোলেই হেরে গ্রæপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হল সুইডিশদের। দলের বিদায়ের সাথেই বাঁধা ছিল ইব্রাহিমোভিচের ভাগ্যও। আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন এই ইউরোর পর জাতীয় দলের জার্সি খুলে রাখবেন। সাথে এটাও বলেছিলেন, সেটা যেন গ্রæপ পর্বেই না হয়। কিন্তু রোমান্টিকতার পরিবর্তে ফুটবল এবার বিষাদমাখাই উপহার দিল সুইডিশ তারকাকে। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড করেও শেষ তিন ম্যাচে জয়শূণ্য ও গোলশূন্য থেকেই বিদায় নিতে হল তাঁকে।
এই গ্রæপ (‘ই’) থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ড আগেই নিশ্চিত ছিল ইতালির। আয়ারল্যান্ডের কাছে তাদের ১-০ গোলের হারটা তাই পরিসংখ্যান ছাড়া কিছুই নয়। তাদেও সমান ৬ পয়েন্ট বেলজিয়ামেরও। কিন্তু মুখোমুখী লড়াইয়ে এগিয়ে থাকায় আগেই গ্রæপ চ্যাম্পিয়ন নিশ্চিত ছিল ইতালির। এই কারনেই রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দলে আটটি পরিবর্তন আনেন ইতালি কোচ আন্তেনিও কন্তে। মাঠেও এর বিরুপ প্রভাব ছিল লক্ষণীয়। ওদিকে পারের রাউন্ডে যেতে জিততেই হত আয়রিশদের। তাদের খেলার ধরণেও বোঝা যাচ্ছিল জয়ের জন্য তারা কতটা মরিয়া। একের পর এক ঝটিকা আক্রমণে কাঁপুণি ধরাচ্ছিল বিশ্ব-সেরা রক্ষণে। শেষ পর্যন্ত সফলও হয় তারা। নির্ধারীত সময়ের ৫ মিনিট আগে গোল করে দলকে প্রথমবারের মত নক-আউট পর্বে নিয়ে যান রবি ব্রাডি। আইরিশদের এই অর্জন যে কতটা বিশেষ, ম্যাচশেষে কোচ মার্টিন ও’নিলের আনন্দশ্রæই তার প্রমান। ৬৪ বছর বয়সী বলেন , “এটা আমাদেও জন্য বিশেষ একটা রাত। গ্রæপ পর্ব পেরিয়ে আসা আমাদের জন্য বিশাল একটা অর্জন।”
জয়-পরাজয়ের খেলায় একদিকে যেমন উল্লাস, ঠিক এর বিপরীতে লেখা থাকে বিষাদের রাগিনী। সেই রাগে সুরটা আরো করুণ করে দিয়েছে ইব্রার বিদায়ের ঘটনা। ২০০১ সাল থেকে এই পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫ বছরের পথচলায় ১১৬টি ম্যাচ খেলেছেন সুইডিশ জার্সি গায়ে। ৬২ গোল করে বসেছেন দেশের সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে। এই অর্জন কি একজন খেলোয়াড়ের জন্য কম পাওয়ার? বিদায় বেলায় তাই ইব্রা জানালেন, “সুইডেনের হয়ে শেষ ম্যাচটা খেলে ফেললাম। প্রথম রাউন্ড থেকে দলের বিদায় বড় হতাশার একটা ব্যপার। কিন্তু তার পরেও আমি উপভোগ করেছি সুইডেনের হয়ে খেলাটা। চমৎকার অনেক স্মৃতি রয়েছে আমার সুইডেনের হয়ে। আমি এমন একটা জায়গা থেকে উঠে এসেছি যাকে লোকে বলত ‘ঘেট্টো’। কিন্তু এই জায়গাকেই আমি নিজের দেশ বানিয়েছি।”
তাঁর ছোটবেলাটা ছিল অনেক কষ্টের। বসনিয়ার বাবা আর ক্রোয়েশিয়ান মায়ের কোলে জন্ম নিয়ে মালমোর মত একটা ছোট্ট জায়গা থেকে উঠে এসে দেশের ফুটবলের ইতিহাসের অংশ হয়েছেন। সুইডেনের কোচ এরিক হামরেন তাই বলেন, “সুইডেনের মতো ছোট দেশ থেকে ইব্রার মত বড় তারকা ফুটবলার আবার তৈরি করা আদৌ সম্ভব হবে কি না, আমি জানি না।”

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন