সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে এবার মিয়ানমার ছাড়ছেন মন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ। তারা থাইল্যান্ডে শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নিচ্ছেন বলে দ্য বর্ডার কনসোর্টিয়াম নামের এনজিও জানিয়েছে। থাইল্যান্ডের সরকারও মনদের দু’টি ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। সম্প্রতি কিছুদিন ধরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে নিউ মন স্টেট পার্টির যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে। গত রবিবারও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। গত সপ্তাহ থেকে মন জাতিগোষ্ঠীর পরিবার পালাতে শুরু করে বলে এনজিওটি জানিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, থাইল্যান্ডের তাও তান ক্যাম্পে ৭০০ ও সোংকালিয়া ক্যাম্পে ১৭০ জন আশ্রয় নিয়েছেন। আরো অনেকে রাবার বাগান এলাকায় লুকিয়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মিয়ানমারের রাখাইনে একটি ফেরিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। সোমবার এই সংগঠনের মুখপাত্র বলেছেন, সেনাবাহিনীকে কালাদান নদী ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। মিয়ানমার টাইমস’র এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে। সেনাবাহিনী পরিচালিত মিয়াবতী সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মেরিন প্রিন্সেস নামের ফেরিতে করে সেনাবাহিনীর পাঁচটি ভারী যন্ত্রপাতি নদী পথে নেওয়া হচ্ছিল। পথে টিনমা গ্রামে পৌঁছার পর ফেরিটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। এ সময় আরাকান আর্মি ফেরিটি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে এবং ক্রুদের বন্দি করে। গুলিতে ফেরি ও যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামলাকারীরা ক্রুদের ছেড়ে দিয়েছে তবে চারটি মোবাইল ফোন ও ২০০ ডলার নিয়ে গেছে। সেনাবাহিনী বলেছে, নিরাপত্তাবাহিনীর অনুমতি ছাড়াই ফেরিটি যাতায়াত করছিল। ফলে তারা নিরাপত্তা দিতে পারেনি। মিয়ানমার সেনাবাহিনী দাবি করেছে, মার্চ থেকেই আরাকান আর্মি চোরাগুপ্তা হামলা চালাচ্ছে সরকারি প্রকল্প ও শ্রমিকদের লুট করতে। সেনাবাহিনীর প্রকল্প ও কর্মরতদের সুরক্ষা দিতে অতিরিক্ত সেনা সদস্য মোতায়েন করা হবে। তবে আরাকান আর্মির মুখপাত্র এই অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, আমরা কিছুই নেই। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত আরাকান আর্মির সদস্যদের বেশিরভাগই রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর। মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তারা রাখাইনের আরও বেশি স্বায়ত্তশাসন দাবি করে আসছে। মিয়ানমার টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন