হায়দরাবাদের ‘নির্ভয়া’ ধর্ষণ-হত্যাকা-ের বিচার ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্টে হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিলেন তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। সেই অনুসারে বুধবার বিশেষ কোর্ট গঠনের কথা সরকারিভাবে ঘোষণা করা হল। মেহবুবনগর জেলা আদালতে এই বিশেষ আদালত গঠিত হবে।
হায়দরাবাদে ২৬ বছর বয়সী এক পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে। দোষীদের চরম শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন সব মহল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে রোববার প্রথম প্রকাশ্যে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীকে। এই ‘ভয়ানক’ ঘটনায় ‘তীব্র ক্ষোভ’ প্রকাশ করে তিনি জানান, সরকার নির্যাতিতার পরিবারকে সমস্ত ধরনের সহায়তা পৌঁছে দিতে প্রস্তুত। মামলার বিচার ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্টে হবে বলেও সে সময় ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
যদিও ঘটনার এতদিন পরেও রাজ্য সরকার বিশেষত মুখ্যমন্ত্রী তাদের সঙ্গে দেখা করার মতো সময় না পাওয়ায় মঙ্গলবারই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিল নির্যাতিতার পরিবার। এই ঘটনা ইতোমধ্যে দেশের ‘প্রযুক্তি রাজধানী’র আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
এই ধর্ষণ-হত্যাকা-ের তদন্তে ইতোমধ্যে সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার ভি সি সজ্জানারের নির্দেশে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠিত হয়েছে। শুক্রবারই ধরা পড়েছে অভিযুক্ত জোল্লু শিবা, জোল্লু নবীন ও চিন্তাকুন্তা চেন্নাকেশাভুলু ও আরিফ। শনিবার তেলাঙ্গানার শাদনগরের ম্যাজিস্ট্রেট ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছেন তাদের।
যদিও নির্যাতিতার পরিবারের আক্ষেপ, পুলিশ যদি দ্রুত তৎপর হতো তা হলে হয়তো বাঁচানো যেত তরুণীকে। তার মায়ের দাবি, বিপদের আভাস পেয়ে তরুণীর ছোট বোন তোন্ডাপাল্লি টোল প্লাজায় পৌঁছে দিদির খোঁজ করেছিলেন। না পেয়ে মা-বাবাকে জানালে তারা থানায় অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেন। মায়ের কথায়, ‘আমার ছোট মেয়ে প্রথমে আরজিআইএ পুলিশ স্টেশনে গিয়েছিল। কিন্তু আরজিআইএ পুলিশ বলে, সেটি শামসাবাদ থানার ঘটনা।’ নির্যাতিতার বোনের অভিযোগ, এক থানা থেকে আর এক থানায় ঘোরাঘুরি করতেই দু’থেকে তিন ঘণ্টা চলে যায়। যখন তল্লাশি শুরু হয়, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। যদিও সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার ভি সি সজ্জানারের দাবি, আরজিআইএ-তে অভিযোগ জানাতেই দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন