শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কসমেটিকসে ক্ষতিকর রাসায়নিক

প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:২৩ এএম, ২৪ জুন, ২০১৬

ঈদ সামনে রেখে নকল ও ভেজাল কসমেটিকসে বাজার সয়লাব  মান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেই : ত্বকের ক্ষতিসহ ক্যান্সারের ঝুঁকি  নীতিমালা প্রণয়নে কাজ শুরু করেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর
হাসান সোহেল : দেশী-বিদেশী নামীদামী ব্র্যান্ডের সব ধরনের কসমেটিকসে ক্ষতিকর রাসায়নিকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার হয়ে থাকে। যেগুলো নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতিসহ ক্যান্সারেরও ঝুঁকি রয়েছে। উন্নত বিশ্বে প্রসাধন সামগ্রীর মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকলেও বাংলাদেশে নেই বললেই চলে। তাই না বুঝে ক্ষতিকর রাসায়নিকযুক্ত এসব কসমেটিকস (প্রসাধনী) ব্যবহার করছে সাধারণ মানুষ। নিজের অজান্তেই আক্রান্ত হচ্ছেন স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সমস্যায়। এছাড়া নামীদামী ব্র্যান্ডকে নকল করে ফুটপাতসহ বিভিন্ন শপিংমলে দেদারছে বিক্রি করা হচ্ছে এসব কসমেটিকস। ঈদ সামনে রেখে এসব ভেজাল কসমেটিকসের নকল পণ্যের ব্যবসা আরও জমজমাট হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি এই বিষয়টি বিবেচনায় এনে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর দেশে প্রস্তুতকৃত এবং আমদানীকৃত সব ধরনের কসমেটিকস পরীক্ষায় নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। নীতিমালা প্রণয়ন হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএন্ডসি’র মতো বাংলাদেশেও কসমেটিকসের মান নিয়ন্ত্রণ করবে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।  
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রামে দু’টি ল্যাবরেটরি আছে। চট্টগ্রামের ল্যাবটি ওষুধ প্রশাসনের আওতায় থাকলেও ঢাকার ল্যাবটি এখনো জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের অধীনে। আর তাই ঢাকাস্থ মহাখালীতে নির্মাণাধানী ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের প্রধান কার্যালয় ভবনে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ল্যাবটি নিয়ে আধুনিকভাবে ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলায় হারবাল ও প্রসাধনী পরীক্ষার ল্যাবরেটরি স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, দেশে প্রস্তুতকৃত ও বিদেশ থেকে আমদানীকৃত প্রসাধন সামগ্রী পরীক্ষার জন্য নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। এ লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রস্তুতকরণের জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন হলে প্রসাধনীও ওষুধের মতো নিয়ন্ত্রণের আওতায় আসবে।
প্রস্তাবিত নীতিমালার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে, জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে আমদানীকৃত এবং দেশীয় উৎপাদিত পণ্যের মান নিশ্চিত করা। এছাড়া প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনীতে ব্যবহƒত নানা ধরনের রাসায়নিকের ব্যবহার ও তার ক্ষতি সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া কোন রাসায়নিক পদার্থ কি পরিমাণ ব্যবহার করা যেতে পারে সে বিষয়েও নির্দেশনা রয়েছে। প্রস্তাবিত নীতিমালায় ২২ ধরনের প্রসাধনীর ৭৫ প্রকার পণ্য মান নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে। নীতিমালার শেষে বলা হয়েছে, সকল প্রসাধনী উৎপাদককে নীতিমালায় বর্ণিত প্যারামিটার মেনে চলতে হবে। পাশাপাশি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো মানসম্পন্ন নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।  
জানা গেছে, অনেক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কসমেটিকসে নানা ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর। সেখানে দেশের বাজারে নকল কসমেটিকসে ভরপুর। কখনোই এসব কসমেটিকসের মান নিয়ন্ত্রণ হয় না। নগরীর কসমেটিকসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, জনসন, মেরিল, নিভিয়া, গার্নিয়ার, ডাভ, ভ্যাসলিন, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি, পন্ডস, সানস্ক্রিন লোশন, বিভিন্ন ধরনের ক্রিম, ফেড আউট ক্রিম ইত্যাদি বিদেশী নকল পণ্য বাজারে রয়েছে।
বিক্রেতারা জানান, ওলে’র একটি ক্রিমের দাম ১২শ’ টাকা হলেও নকল ওলে ক্রিম বিক্রি হচ্ছে মাত্র দেড়শ’ থেকে ১৭০ টাকায়। এছাড়া দেশীয় পণ্য মেরিল, কিউট পেট্রোলিয়াম জেলি, লিপজেল, তিব্বত ও কেয়াসহ শীতের সব প্রসাধনী পণ্য নকল করা হচ্ছে। আর এসব নকল পণ্য রাজধানীসহ সারাদেশের খুচরা বাজার হয়ে পৌঁছে যাচ্ছে ক্রেতাদের হাতে। এসব পণ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিকের পরিমাণ কতটা তা নির্ণয় করাও সম্ভব নয়। এমনকি পণ্যের ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে ক্রেতা এবং বিক্রেতা জানে না বললেই চলে। গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে স্নো, সাবান, শ্যাম্পু, তেল, পারফিউমের মতো পণ্যগুলো চাহিদার ৭০ শতাংশ নকল ও ভেজাল উপাদান দিয়ে তৈরি হচ্ছে।
জানা গেছে, কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরার লছমানগঞ্জ, বুড়িশুর, মান্দাইল ও কালিন্দিতে রয়েছে শতাধিক নকল কসমেটিকস কারখানা। অপরদিকে পুরান ঢাকার চকবাজার, মৌলভীবাজার, বড়কাটরা, বাবুবাজার, মিটফোর্ড, রহমতগঞ্জ, সদরঘাট, কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ, হাজারীবাগ, বংশাল, কোতোয়ালি, ইসলামবাগ, শ্যামপুর, কদমতলী, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, সূত্রাপুর, পোস্তগোলা, ধোলাইখাল, ফরিদাবাদ, ইসলামপুর, সোয়ারীঘাট, দেবীদাস লেন, কামালবাগ, শহীদনগর, টঙ্গীসহ নারায়ণগঞ্জের পাগলায় বেশ কয়েকটি নকল কসমেটিকসের গুদাম ও কারখানা রয়েছে। যেখানে অবাধে তৈরি হয় নকল কসমেটিকস। এসব তৈরিতে সম্পৃক্ত নেই কোন কেমিস্ট, ফার্মাসিস্ট বা মাইক্রোবায়োলজিস্ট। এদিকে প্রসাধন সামগ্রীতে ভেজালের সঙ্গে জড়িতদের বিএসটিআইয়ের আইন অনুযায়ী মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা ও কারাদ-ের ব্যবস্থা থাকলেও বাস্তবে এর প্রয়োগ নেই বললেই চলে। আর তাই এ প্রক্রিয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে বিপুলসংখ্যক নকলবাজ।  
ফার্মাসিস্টদের বিভিন্ন গবেষণা সূত্রে জানা গেছে, দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রসাধনে নানা ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি  হলো-
প্যারাবেন : বিভিন্ন ধরনের মেকআপ, ময়েশ্চারাইজার, সাবান, শ্যাম্পু, ফেসপাউডার, লিপস্টিক, নেইল পলিশ ইত্যাদি প্রসাধন সামগ্রীতে প্যারাবেন নামক এক ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার হয়ে থাকে। মিথাইল প্যারাবেন, বিউটেল প্যারাবেন, প্রপেল প্যারাবেন, ইসোবিউটেল প্যারাবেন, ইথ্যাইল প্যারাবেন ইত্যাদি নামে পাওয়া যায় এই রাসায়নিক। ব্যাপকভাবে বিষাক্ত এই রাসায়নিকের যথেষ্ট ব্যবহার রয়েছে বলে জানা গেছে। যা শরীরের হরমোন নিঃসরণে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এর অধিক ব্যবহারে হতে পারে স্তন ক্যান্সার। প্যারাবেন সহজে ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করে মানব দেহের অন্তঃক্ষরা (এন্ড্রোক্রিন) হরমোন ফাংশনকে সরাসরি বাধাগ্রস্ত করে। প্রাথমিকভাবে এটি নারীদের হরমোন নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এক গবেষণায়, মানুষের স্তন ক্যান্সার টিস্যুতে এই রাসায়নিক শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া এটির ব্যবহারে পুরুষ প্রজনন ব্যবস্থা ব্যাহত করতে পারে। এমনকি ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ডিইএ (ডাই ইথানল এমিন) : ক্রিম এবং সেভিং ফোম জাতীয় কসমেটিকসে ডিইএ ব্যবহƒত হয়। যা শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ গঠনে সহায়ক। মূলত ময়েশ্চারাইজার ও সানস্ক্রিনে ব্যবহƒত হয়। কিছুক্ষেত্রে সাবান, ক্লিন্সার ও শ্যাম্পুতেও ব্যবহƒত হয়। ডিইএ এবং তার যৌগসমূহ ত্বক এবং চোখের জ্বালা সৃষ্টি করে। ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে, এইসব রাসায়নিক পদার্থের উচ্চ মাত্রায় ব্যবহার লিভার ক্যান্সার এবং ত্বক ও থাইরয়েড পরিবর্তনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
ডাইবিউটাইল থ্যালেট: নখের প্রসাধনীতে দ্রাবক (পলিশ) হিসেবে এবং কিছু চুল স্প্র্রে করতে ডাইবিউটাইল থ্যালেট ব্যবহƒত হয়। নেইল পলিশকে দৃঢ় করতে মূলত এটির ব্যবহার করা হয়। ডাইবিউটাইল থ্যালেট চামড়ার মাধ্যমে শোষিত হয়। এটা জিনগত মিউট্যাশন ঘটাতে অন্যান্য রাসায়নিক সমূহকে সহায়তা করে। ল্যাবরেটরি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে যে, টেস্টিস এবং প্রস্টেট পরিবর্তন এবং শুক্রাণুহ্রাস করার ক্ষেত্রে এটি ভূমিকা রাখে।
বিএইচএ (বিউটিলেটেড হাইড্রক্সি এনিসল) এবং বিএইচটি (বিউটিলেটেড হাইড্রক্সি টলুইন) : ময়েশ্চারাইজার, মেকআপ ইত্যাদিতে এই রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। রাসায়নিক দুটি ঘনিষ্ঠভাবে লিপস্টিক এবং ময়েশ্চারাইজার, অন্যান্য প্রসাধনীর প্রিজারভেটিভ হিসেবেও ব্যবহƒত হয়। এগুলো ব্যবহারে চামড়ায় এলার্জিক রি-এ্যাকশন তৈরি করে। ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ এই রাসায়নিককে ক্যান্সারের সম্ভাব্য কারণ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। ইউরোপীয় কমিশনের মতে, এটি এন্ডোক্রিন হরমোন ফাংশনে হস্তক্ষেপ করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত রয়েছে। পরীক্ষায় দেখা দেছে, রাসায়নিক দুটির কারণে থাইরয়েড ও কিডনিতে সমস্যা এবং ফুসফুসের ফাংশন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। উচ্চমাত্রায় এর ব্যবহারের ফলে নারী-পুরুষের প্রজনন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
কোল টার ডাই : চুলের রং হিসেবে কোল টার ডাই ব্যবহার হয়ে থাকে। পীট কয়লা বা আলকাতরা থেকে এটি সংগ্রহ করা হয়। এটি মূলত পিনোলিনি ডাই এ্যামোনিয়া। যা মানব দেহে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে সক্ষম।  
কৃত্রিম ফ্রাগ্রানেস এবং পারফিউম: মনোরম সুগন্ধি উৎপাদনে ব্যবহƒত হয়ে থাকে কৃত্রিম ফ্রাগ্রানেস এবং পারফিউম। জানা গেছে, বিভিন্ন প্রসাধন, ডিউডোরেন্ট, বডি স্প্র্রে এবং পারফিউম উৎপাদনে প্রায় ৩ হাজার রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এসব রাসায়নিক উপাদানগুলো এলার্জি, মাইগ্রেইনস এবং হাঁপানি সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া ত্বকে চুলকানি, চোখ জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে। যুক্তরাজ্যের গবেষকদের এক রিপোর্টে দেখা যায় যে, এলার্জি সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর একটি বড় অংশের অসুস্থতার মূল কারণ সুগন্ধি।
পলি ইথিলিন গ্লাইকল (পি ই জি) : কন্ডিশনার, ময়েশ্চারাইজার, ডিউডরেন্ট ইত্যাদিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহƒত হয় পিইজি। বিভিন্ন গবেষণার তথ্য মতে, এটি ক্যান্সার সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
পেট্রোলিয়াম জেলি : খনিজ তেল বা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যাপক ব্যবহƒত একটি পণ্য। দেশের সকল স্তরের মানুষ এটি ব্যবহার করে থাকে। স্কিন কেয়ার পণ্য, লিপবাম, লিপস্টিক ইত্যাদি তৈরিতে প্রধান উপাদান পেট্রোলিয়াম জেলি। সাধারণত ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করতে এটি ব্যবহার হয়ে থাকে। এর ব্যবহারে ত্বকে এলার্জির সৃষ্টি হয়। এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে।
খনিজ তেল : লোশন, বেবি লোশন, সাবান এবং মেকআপ সরঞ্জামসহ অন্যান্য পণ্যে খনিজ তেল ব্যবহার হয়। খনিজ তেল ত্বকের ছিদ্রপথে নিম্নস্তরে টক্সিন নিষ্কাশন করে ব্রণ এবং অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ত্বকের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করে, ত্বকের সেল গঠনের গতি কমিয়ে দেয়। এমনকি চামড়ায় অকাল বার্ধক্য সৃষ্টি করে থাকে।
সোডিয়াম লিউরেল সালফেট এবং সোডিয়াম লিউরেথ সালফেট : সাবান, শ্যাম্পুু, ফোম, ডিটারজেন্ট ইত্যাদিতে ফেনা সৃষ্টি করতে এগুলো ব্যবহার করা হয়। এর অধিক ব্যবহারে চোখের ক্ষতি, বিষণœতা, শ্বাসনালির ক্ষতি, ডায়রিয়া এবং তীব্র চামড়া জ্বালা হতে পারে। এটি ইমিউন সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে। যা পরবর্তীতে হার্ট, লিভার, ফুসফুস ও মস্তিষ্কের দারুণ ক্ষতি করে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবুল কালাম লুৎফুল কবির বলেন, দেরিতে হলেও ওষুধ প্রশাসনের উদ্যোগটি ভাল। তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোতে খাদ্যপণ্য এবং ওষুধের মতো প্রসাধনীর মান নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আর এসব পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ করে একটি প্রতিষ্ঠান। যেমন আমেরিকায় মান নিয়ন্ত্রণ করে এফডিএন্ড সি (ফুড, ড্রাগ এন্ড কসমেটিকস)। ক্ষতিকর রাসায়নিক সমৃদ্ধ মানহীন প্রসাধনী ব্যবহারে শুধু ক্যান্সার হতে পারে তাই নয়। এসব থেকে হতে পারে স্নায়ুবিক দুর্বলতা, এমনকি বিকল হতে পারে কিডনী। তাই দ্রুত এসব প্রসাধনী মান নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Dr. Ferdous Aktar ২৩ জুলাই, ২০২১, ১:১৩ পিএম says : 0
Excellent post, thanks
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন