মুজিববর্ষের (২০২০) অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া, ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি ও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীরও আসার কথা রয়েছে। গতকাল জাতীয় জাদুঘরে বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতির ৪৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান ও বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণের প্রত্যাশা বন্ধুপ্রতিম ভারত উভয় দেশের জনগণের মধ্যে দুশ্চিন্তা বা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার মতো কোনও কাজ করবে না। পরস্পর বন্ধুত্বের মাধ্যমেই বাংলাদেশ-ভারত এগিয়ে যাবে। উভয় দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ৩৮০ শহীদ ভারতীয় সেনা সদস্যের জন্য সম্মাননা স্মারক প্রস্তুত করেছে, যা শিগগিরই তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। গত বছরের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ১২ ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের পরিবারের হাতে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা তুলে দেন।
মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারত সরকার ও ভারতীয় জনগণের বহুমাত্রিক অবদানের বিস্তারিত আলোচনা ছাড়া বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অসম্পূর্ণ। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা দুই বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে একসঙ্গে রক্ত ঝরিয়েছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন