বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অন্ধকারে বিহারী ইস্যু

ভারতের বিহার থেকে এসে এখন ‘আটকেপড়া পাকিস্তানি’

সাঈদ আহমেদ | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

কলেজ গেইটের সঙ্গে যুক্ত হুমায়ুন রোড। চওড়া পথের মাথা ঠেকেছে সরু গলিতে। হাইড্রলিক হর্ণ, রিকশার টুংটাং ছাপিয়ে ভেসে আসে ‘মেরা পিয়া গায়ে লংগুন পিয়া হ্যায়...দিয়া মে আগ লাগাতে হ্যায়..। চল্লিশের দশকের অবিভক্ত ভারত মাত করা জনপ্রিয় উর্দূ গান। মোবাইল যন্ত্রাংশের দোকান ডানে রেখে বামে লম্বা গলি। রঙিন কাগজের ঝালর ঠেলে গলিতে ঢুকতেই মনো হলো পাড়াজুড়ে ‘বিয়ে বাড়ি’। দু’পাশে খুপড়ি গেইট। পলেস্তরাবিহীন বাক্স-বাড়ির ওপর দোতলা-তিন তলা। কাঁথা ছড়াচ্ছেন মধ্যবয়সী নারী। ডানে কৎবেল, চালতা, বরই আচারে জেঁকে বসা মাছি তাড়াচ্ছেন ষাটোর্ধ্ব হাসেম ওয়াসি। জানালেন এটিই মোহাম্মদপুরের বিখ্যাত ‘জেনেভা ক্যাম্প’। দেশের ১৩টি জেলায় অবস্থিত ক্যাম্পগুলোর একটি। কেমন আছেন জেনেভা ক্যাম্পের মানুষরা? কিভাবে আছেন সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা উর্দূভাষী মুসলিম এই জনগোষ্ঠি? অনুসন্ধান এবং সরেজমিন পরিদর্শনে উঠে আসে বহু অজানা তথ্য। এর ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে ধারাবাহিক এই প্রতিবেদন।

বাংলা-বিহার উড়িষ্যার নবাব ছিলেন সিরাজ উদ্ দৌলা। ১৭৫৭ সালে ইংরেজদের কাছে পলাশির প্রান্তরে পরাজয়ের ইতিহাস সবার জানা। সেই ইংরেজ ১৯৪৭ সালে চলে যাওয়ার সময় বিহার ভারতে অন্তর্ভুক্ত হয়। উর্দূভাষী বিহারীরা পশ্চিম পাকিস্তানে (বাংলাদেশে) ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম হওয়ার পর উর্দূভাষী বিহারীরা আটকে পড়েন। কয়েক লাখ উর্দূভাষীকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্প করে রাখা হয়। ভারতের আসাম থেকে মুসলিম নাগরিকদের দেশছাড়া করতে এনআরসির নামে কৌশলে ১৯ লাখ নাগরিকের নাম বাদ দেয়া এবং তাদের বাংলাদেশে পাঠানোর হুংকার শুরু হওয়ায় আলোচনায় চলে আসে বাংলাদেশে আটকে পড়া বিহারী ইস্যু। আওয়ামী লীগ সরকার গত ১০ বছরে ভারতের সঙ্গে সীটমহল বিনিময়সহ নানা সংকটের সুরাহা করেছে। এখন কি দীর্ঘদিনের বিহারী ইস্যুর সুরাহা হবে? নাকি অন্ধকারেই থেকে যাবে বিহারী ইস্যু। মানুষের প্রত্যাশা শেখ হাসিনার হাত ধরেই বিহারী সংকটের সমাধান সম্ভব।
যেভাবে হলো ‘জেনেভা ক্যাম্প’ : ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর উর্দূভাষী মুসলিম এই জনগোষ্ঠি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ে। তাদের সুরক্ষায় এগিয়ে আসে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি)। সংস্থাটির হেডকোয়ার্টার জেনেভায়। এ কারণে ‘শরণার্থী’র মর্যাদায় ১৯৭২ সালে ক্যাম্পটির নাম হয় ‘জেনেভা ক্যাম্প’। মোহাম্মদপুর এলাকায়ই আরো ৫টি ক্যাম্প রয়েছে। ১৯৭৩ সালে তাদের দায়িত্ব নেয় ‘বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটি’ (বিডিআরসি)। ১৯৭৫ সাল থেকে তাদের দায়িত্ব নেয় বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়।

উইকিপেডিয়ার তথ্যমতে, লিয়াকত হাউজিং সোসাইটির সাথে চুক্তির মাধ্যমে এ স্থানটিতে অস্থায়ী ভিত্তিতে ক্যাম্প তৈরি করা হয়। ১৯৭১ সালে যে সব বাস্তুহারা উর্দূভাষীরা মোহাম্মদপুরের রাস্তা, মসজিদ, স্কুলে অবস্থান নিয়েছিলেন তারাই এখন মোহাম্মদপুর এলাকার ক্যাম্পগুলোতে ঠাঁই নেন। অঞ্চলটি বর্তমানে ঢাকা এখন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২৯, ৩১ এবং ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন। শুধুমাত্র জেনেভা ক্যাম্পে অধিবাসী ১ লাখ ৮ হাজার ৪৯ জন বলে জানা গেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি বলে দাবি করছে এখানকার সংগঠনগুলো।

স্বাধীনতাত্তোর ঘটনাপ্রবাহ এই উর্দূভাষী জনগোষ্ঠিকে একটি নির্দিষ্টগন্ডির মধ্যে আবদ্ধ করে ফেলে। ১৯৭৩ এবং ১৯৭৪ সালে ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ উর্দূভাষীদের মানবিক সমস্যা মোকাবেলায় কয়েকটি চুক্তি সম্পাদিত হয়। ‘ইন্দো-পাক অ্যাগ্রিমেন্ট-১৯৭৩’, ‘জেস ট্রাইপার্টাইট এগ্রিমেন্ট অব বাংলাদেশ-পাকিস্তান-ইন্ডিয়া-১৯৭৪’ চুক্তিগুলোর অন্যতম। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় রেডক্রস বাংলাদেশে অবস্থানরত উর্দূভাষীদের নাগরিকত্ব সম্পর্কে জানতে চায়। উর্দূভাষীদের তৎকালিন নেতৃত্ব পাকিস্তান চলে যাওয়ার পক্ষে সায় দেয়। বাংলাদেশে থেকে যাওয়া উর্দূভাষীদের ‘আটকে পড়া পাকিস্তানি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। উর্দূভাষী এ জনগোষ্ঠির একটি অংশকে পাকিস্তানে পুনর্বাবসন করা হয়। রেডক্রসের ব্যবস্থাপনায় বাকিদের আশ্রয় দেয়া হয় সদস্য স্বাধীন বাংলাদেশে। তাদের ঠাঁই হয় ৩৮টি জেলার ৬৬টি ক্যাম্পে। এর মধ্যে রাজধানীর মিরপুর রয়েছে ২৫টি ক্যাম্প। মোহাম্মদপুরে ৫টি। জেনেভা ক্যাম্প, টাউন হল ক্যাম্প, সিআরও ক্যাম্প, মার্কেট ক্যাম্প, কমিউনিটি সেন্টার ক্যাম্প এবং স্টাফ কোয়ার্টার ক্যাম্প।

এক ঐতিহাসিক ভুলের শিকার :
ভারত ভাঙ্গে ১৯৪৭ সালে। পাকিস্তানের জন্ম (পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান) জন্ম হয়। সে সময় ভারতের বিহার রাজ্যের বেশ কিছু মুসলমান পূর্ব পাকিস্তান চলে আসেন। শোষণ-বঞ্চণায় নিষ্পেষিত বাঙালিরা ১৯৭১ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র পান। ‘পূর্ব পাকিস্তান’র নাম হয় ‘বাংলাদেশ’। পশ্চিম ও পূর্ব পাকিস্তানের ভাষা ও জাতিগত বিভাজন ওই যুদ্ধের অন্যতম কারণ। ভারত থেকে আসা উর্দূভাষী বিহারীদের তৎকালিন নেতৃত্ব পাকিস্তানকে সমর্থন জানায়। এ কারণে উর্দূভাষীরা বাঙালিদের বিরাগভাজন হন। বাঙালিরাও উর্দূভাষীদের প্রতি আস্থা হারান। ফলে স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন উর্দূভাষীরা।

মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পভিত্তিক উর্দূভাষীদের সংগঠন ‘মহাজির ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশেন’র (বিএমডবিøউএ) সাধারণ সম্পাদক অসি আহমেদের মতে, আমরা ঐতিহাসিক এক ভুলের শিকার। তৎকালিন নেতৃত্বের ব্যর্থতা তুলে ধরে তিনি বলেন, পাকিস্তানিদের পক্ষাবলম্বন ছিলো তৎকালিন উর্দূভাষী বিহারী নেতৃত্বের চরম ভুল, ব্যর্থতা ও অদূরদর্শিতা। আমরা ঐতিহাসিক সেই ভুলের খেসারত দিচ্ছি প্রজন্মের পর প্রজন্ম। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর দ্বিতীয় প্রজন্মে পড়েছে। ক্যাম্পগুলোতে অবস্থানরত নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ দেখেননি। স্বাধীন বাংলাদেশে তাদের জন্ম। এদেশের আলো-হাওয়ায় তাদের বেড়ে ওঠা। জন্মসূত্রেই তারা বাংলাদেশী। মনে-প্রাণেই তারা বাংলাদেশী। পূর্বপুরুষদের কথা বলছেন? অবিভক্ত ভারতে তারা ছিলেন বিহার রাজ্যের অধিবাসী। তারা কেউ পাকিস্তান থেকে আসেননি। আমরাও কেউ ‘আটকে পড়া পাকিস্তানি’ নই। আমরা বাংলাদেশী। উর্দূভাষী বাংলাদেশী। একই সঙ্গে আমরা মুসলমানও। অথচ শুধুমাত্র ভাষার ভিত্তিতে আমাদের পার্থক্য নিরূপণ করা হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত এই বাংলাদেশ। ১৩টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি, ধর্মভিত্তিক বহু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ও রয়েছে। তারা সম নাগরিক অধিকার এবং মর্যাদা নিয়ে এ দেশে বসবাস করছেন। শুধুমাত্র ঊর্দূভাষী হওয়ায় আমাদের হিসেবটা কেবল ভিন্ন। দেশের সর্বোচ্চ আদালত আমাদের ভোটাধিকার দিয়েছেন। কিন্তু কার্যকর কোনো নাগরিক অধিকার নেই।

এখনো মহাজির হিসেবে রেখে দেয়া হয়েছে। ভোটাভুটির জটিল অংক মেলানোর প্রয়োজনে আমাদের ভোটার করা হয়েছে বটে ; কিন্তু আমাদের জনগোষ্ঠির মূল স্রোতে অন্তর্ভুক্ত করতে কেউই কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ওয়াসি আহমেদ অসি বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তীতেও আমরা প্রতারণামূলক নেতৃত্বের শিকার। সে সময় মহাজিরদের স্বঘোষিত নেতা বনে যান রংপুর মহাজির ক্যাম্প থেকে আগত নাছিম খান। আমৃত্যু তিনি মহাজিরদের পাকিস্তান চলে যাওয়ার স্বপ্ন দেখাতেন। অথচ পাকিস্তান আমাদের গ্রহণ করার যৌক্তিক কোনো কারণ দেখি না। আমাদের পূর্ব পুরুষ এখানে এসেছেন ভারতের বিহারসহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে। নাছিম খান এই দাবিটি করে আমাদেরকে পাকিস্তানী’ হিসেবে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছেন। এটিও আরেকটি অদূরদর্শিতা ও প্রতারণা। আব্দুল জব্বার খান নামক আরেক স্বঘোষিত নেতা এখনো মৃদুস্বরে এখনো একই কথা বলছেন। এদের সঙ্গে উর্দূভাষী বর্তমান প্রজন্মের আকাক্সক্ষার কোনো মিল নেই। এদেশের মাটিতে জন্ম নেয়া উর্দূভাষী প্রজন্ম ‘উর্দূভাষী বাংলাদেশী’ পরিচয়ে পূর্ণ নাগরিক অধিকার নিয়ে এদেশেই থাকতে চান। পেশায় কসাই মো. নাদিমের (২৮) মরহুম পিতা ভারত থেকে এসেছেন। কিন্তু নাদিম কোনোভাবেই পাকিস্তান যেতে চান না। শুদ্ধ বাংলায় তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশের নাগরিক। আমার কবরও যেন এদেশেই হয়!

পুনর্বাসনে টালবাহানা : ত্রাণসামগ্রী-অর্থ লুটপাট :
তাদের বর্তমান নেতৃত্ব দেশের ১৩টি জেলায় ১১৬টি ক্যাম্প রয়েছে বলে দাবি করছেন। উর্দূভাষী এই জনগোষ্ঠিটি ‘আটকেপড়া পাকিস্তানি’ কোথাওবা ‘বিহারী’ হিসেবে অভিহিত হয়। যদিও উর্দূভাষীদের এই তৃতীয় প্রজন্ম নিজেদের ‘উর্দূভাষী বাংলাদেশী’ পরিচয়েই গর্ববোধ করেন। সারাদেশের উর্দূভাষীদের প্রকৃত সংখ্যা এখনো নিরূপিত হয়নি। রাবেতা আল আলম ইসলাম (রাবেতা আল আলম ইসলাম আটকে পড়া পাকিস্তানীদের পুনর্বাসনের জন্য পাকিস্তানের সামরিক শাসক জিয়াউল হক গঠিত তহবিল, পরবর্তীকালে নওয়াজ শরীফের হাতে পূর্ণতা লাভ করে) ২০০৩ সালে একটি জরিপ চালায়। সেই জরিপে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার উর্দুভাষী রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। উর্দূভাষীদের বর্তমান নেতৃত্ব তাদের বর্তমান সংখ্যা ১৫ লাখ বলে দাবি করেন। যদিও প্রকৃত সংখ্যা সরকারের কোনো দপ্তরেই নেই বলে জানা গেছে। ঢাকায় অবস্থানরত উর্দূভাষী বিরাহীদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ২০১৬ সালে একটি তালিকা করে। প্রতিষ্ঠানটির তৎকালিন মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, মোহাম্মদপুরের ৫টি ক্যাম্পে রয়েছে ১৪ হাজার ২১২টি পরিবার। পরিবারগুলোতে রয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৪৯জন উর্দূভাষী মানুষ। জেনেভা ক্যাম্পের বøক-ডি’র অধিবাসী মোহাম্মদ মাহতাব কাজী (৪৫) বলেন, তালিকাটি পুরনো। তবুও এ তালিকা ধরে প্রাথমিক অবস্থায় পরিবার প্রতি ৩ শতাংশ হারে পুনর্বাসনের জন্য ৭২৬ একর জমি বরাদ্দের কথা বলা হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে।

এখন পর্যন্ত শুধু চিঠি চালাচালি হচ্ছে। আমাদের পুনর্বাসনের কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। বরং পুনর্বাসনের নামে রয়েছে টালবাহানা। আক্ষেপের স্বরে তিনি বলেন, উর্দূভাষী আমাদের নিয়ে অতীতের সিনিয়র নেতারা নানা রকম স্বার্থ হাসিল করেছেন। বর্তমান নেতৃত্বও বহুধা বিভক্ত হয়ে নিজ নিজ ধান্ধায় লিপ্ত। মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমাদের নামে ত্রাণ আসতো। উটের মাংস, খেজুর, কম্বল পেতাম। সেগুলো নিয়ে নানা ব্যবসা হতো। এখন ত্রাণ আসা বন্ধ। আমাদের দেখিয়ে দাতা সংস্থা থেকে নগদ অর্থ আনা হতো। নামকা ওয়াস্তে খরচ করে অধিকাংশ লোপাট হয়ে যেতো। এসব করে কোনো কোনো উর্দূভাষী নেতা আঙুল ফুলে বটগাছ হয়েছেন। তবে কোনো টাকা-পয়সা এখন আর পাই না। বড়ই মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে উর্দূভাষীদের। ভোটাধিকার লাভের আগে উর্দূভাষীরা ক্যাম্পের বাইরের স্কুলে লেখাপড়া করতে পারতো না। এ কারণে তারা শিক্ষা-দীক্ষা থেকে বঞ্চিত। বড় কোনো পদেও তারা যেতে পারে না। সরকারি চাকরি তো পায়ই না। ফলে কসাইয়ের কাজ, জুতা সেলাই, জরির কাজ, ঝালাই কাজ, মটরওয়ার্কশপে কাজ করছে। তবে প্রতিযোগিতামূলক শ্রম বাজার এবং যান্ত্রিক আগ্রাসনে ইদানিং লাথি পড়েছে এসব নিম্ন মজুরির পেশায়ও।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Tapan Khan ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৭ এএম says : 0
যেহেতু তারা মানুষ, তাদের সাথে মানবিক ব্যবহার করুন!! নিষ্ঠুরতা কাম্য নয়!
Total Reply(0)
M Noby Rupok ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৮ এএম says : 0
ওরা এখন এদেশের নাগরিক। দেশের জন্য শ্রম করে যাচ্ছে। ভারতের নাগরিকরা যে ফ্রি ফ্রি এতো সুবিধা টাকা এদেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে তাতে তো কারও কোন নারাজি নেই।যারা আইনগত এদেশের নাগরিক তারা নাগরিক সুবিধা চাওয়ার দাবি তুলতেই পারে।
Total Reply(0)
Jubayer Molla ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৮ এএম says : 0
বিহারীরা সবাই পাকিস্তান যেতে রাজি ছিল, কিন্তু আপনাদের ড,কামাল সাহেব বিদেশিদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে, বাংলাদেশের কোর্ট থেকে রায় বের করে তা আটকে দেয়, পরের সরকার তা আবার স্টোপ করে দেয়,তয় থাকতে দিতে হলে তাদের সকল সুযোগ সুবিধা দিতে হবে, বিহারি দের দায়িত্ব রেডক্রস,আর UNDP সাথে এর একটা চুক্তিও হয়েছিল যে পাকিস্তানে নিয়ে পূর্নবাসন করবে,কিন্তু সমস্যা কামাল।
Total Reply(0)
ডিউক অব নেফারতিতি ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৯ এএম says : 0
যেসব উর্দুভাষী বিহারী(বিহার ভারতের অংশ) ৪৭/ এর আগে দাঙ্গার জন্য তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তান বা বর্তমান বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তারা কিভাবে পশ্চিম পাকিস্তানি হয়?? এদেরকে পাকিস্তানি না বলে ভারতীয় ব লা উচিৎ।
Total Reply(0)
MD Ramim Islam Shuvo ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৫০ এএম says : 0
আজকের পাকিস্তান বিরোধী বাংগালী মুসলিমরাই ৪৭ এ মুসলিম লীগকে ভোট দিয়ে ও আন্দোলন করে ভারত ভেঙে ধর্মের ভিত্তিতে পাকিস্তান বানায়,,,যার ফলে ভারতের বিহারে হিন্দুদের আক্রমণে দেশ ছেড়ে বহু বিহারী মুসলিমদের নিজেদের জামিদারীত্ব ভিটে মাটি ছেড়ে পাকিস্তান তথা পূর্ব পাকিস্তান আসতে হয়,,,পরবর্তীতে বাংগালী মুসলিমদের বনলো না পাকিস্তান ভেঙে ফেললো,,,মাঝখান থেকে দেশান্তরী ও সর্বশেষ হল বিহারীরা
Total Reply(0)
Md Sejan ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৫০ এএম says : 6
ওরা বাংলায় কথা বলে না,বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে মানে না।ওরা এদেশে এখনো থাকার অনুমতি পাচ্ছে এটাই অনেক।
Total Reply(0)
Mobarok Mia ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৫:২৩ এএম says : 0
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন