রংপুরে একটি বাড়ি থেকে দুই শিশু সন্তানসহ অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুরে নগরীর ২৫ নং ওয়ার্ডের কামালকাছনা বীরভদ্র এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় মহিলার স্বামী আব্দুর রাজ্জাককে (৩৮) আটক করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে কামালকাছনা বীরভদ্র এলাকায় জমি কিনে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস শুরু করেন আব্দুর রাজ্জাক। রোববার বেলা ১১টার দিকে প্রতিবেশী এক নারী ওই বাড়িতে গিয়ে ঘরের ভেতর দুই শিশু সন্তানসহ গৃহবধূ রতœার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তিনি আব্দুর রাজ্জাকের হাতে ও গলায় রক্ত দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে অন্যরা ছুটে আসেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরিসহ আব্দুর রাজ্জাককে আটক করে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহত রতœার ভাই আব্দুর রশীদ বলেন, তার বোনের স্বামী আব্দুর রাজ্জাক মাদকাসক্ত। গত ছয় মাস আগে অটোরিকশা কেনার জন্য টাকা দাবি করলে তাকে ৭০ হাজার টাকা দেয়া হয়। এছাড়া টাকার জন্য তার বোনকে প্রায়ই মারধর করতো রাজ্জাক। শনিবার রাতে টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে রতœাসহ দুই শিশুকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রাজ্জাকের মা ও বোন জড়িত থাকতে পারে দাবি করে তিনি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তসহ ন্যায়বিচার দাবি করেন।
দুই সন্তানসহ গৃহবধূ রতœার লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান বলেন, পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ দুই শিশু সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঘাতক আব্দুর রাজ্জাক নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাককে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদসহ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন