শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মির্জাপুরে গরিবের চাল আ.লীগ নেতার পেটে, তদন্তের নির্দেশ

ইনকিলাবে সংবাদ প্রকাশে প্রশাসনে তোলপাড়

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৭:১২ পিএম

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির সেই ডিলার আওয়ামীলীগ নেতা মো. আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)মো. মঈনুল হককে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মালেক।এদিকে রবিবার দুপুরে হতদরিদ্র কার্ডধারী ছয়জন তাদের প্রাপ্য চাল না পাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলে জানা গেছে।
রবিবার দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় “মির্জাপুরে গরিবের চাল আ.লীগ নেতার পেটে” শিরোনামে প্রথম পাতায় সংবাদ প্রকাশ হলে প্রশাসন ও এলাকাবাসীর মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়।
জানা গেছে, উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আওলাদ হোসেন খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ওই ইউনিয়নের ডিলার। তিনি সজীব ট্রেডার্স নামে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল উত্তোলন করে থাকেন।তিনি নভেম্বর মাসে ১০ টাকা কেজি দরে ৫৩৯ জন হতদরিদ্র কার্ডধারীর জন্য উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে ১৬ হাজার ১৭০ কেজি চাল উত্তোলন করেন। কিন্ত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অর্ধশতাধিক কার্ডধারী ডিলারের দোকানে গিয়ে চাল কিনতে না পেরে খালি হাতে ফিরে আসেন। এ ছাড়া ডিলার কার্ডধারীদের কাছে চাল বিক্রি না করে ওই চাল ২ ডিসেম্বর শেষ রাতে পিকআপযোগে অন্যত্র বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ উঠে। গভীর রাতে অন্যত্র চাল বিক্রির ঘটনাটি বাজারের পাহারাদার সুলতান মিয়া ও চা দোকানদার সেকান্দার দেখেন এবং সকালে বাজার ব্যবসায়ী সমিতিকে অবহিত করেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে কার্ডধারী ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে রবিবার দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘গরিবের চাল আ.লীগ নেতার পেটে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রশাসন ও এলাকাবাসীর মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়।
ঘটনার সত্যতা জানতে রবিবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মঈনূল হককে তদন্তের নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মালেক।
এদিকে চাল কিনতে না পারা কার্ডধারীরা বেলাল হোসেন (৯৭৬), শহিদুর রহমান (৯৮৯), ভাষাণ মণ্ডল (১০০২), ব্রজবাসী মণ্ডল (১০০৫), বিভাষ মণ্ডল (১০০১), টুষ্টু মণ্ডল (১০০৪) রবিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক কার্ডধারীদের অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মঈনুল হককে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন