মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পৈশাচিকতা বাড়ছেই

৬ মাসে ৬৩০ নারী ধর্ষণের শিকার : আসক

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:২০ এএম

এরশাদ সিকদার, মোকিম গাজীরা নেই; কিন্তু পৈশাচিক কায়দায় খুন, নৃশংসতা, ধর্ষণ করে নিষ্ঠুর খুনের ঘটনা কমেনি। এক সময়ের ভয়ঙ্কর অপরাধী এরশাদ সিকদার-মোকিম গাজীদের অবস্থান এখন যেন সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া সর্বত্রই একই চিত্র। প্রতিদিন মিডিয়ায় খুন-ধর্ষণ-নির্যাতনের লোমহর্ষক কাহিনীর খবর প্রকাশ পাচ্ছে। একটি লোমহর্ষক ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ঘটছে আরেক ঘটনা। ডিজিটালের এই যুগে মানবিকতা লোভ পেয়ে মানুষের মধ্যে নিষ্ঠুরতা যেন ক্রমান্বয়ে বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের কেউ এ জন্য দায়ী করছেন বিচারহীনতার সংস্কৃতি, মূল্যবোধের অবক্ষয়, আকাশ সংস্কৃতির প্রভাব, বিচারের দীর্ঘসূত্রতা এবং অপরাধ করেও পার পেয়ে যাওয়ার প্রবণতাকে। কেউ কেউ অবশ্য ধর্মীয় ও নৈতিকতার শিক্ষার অভাবে তথ্য-প্রযুক্তির সুবিধায় অবাধ মেলামেশা, ছেলেমেয়েদের মধ্যে বয়ফ্রেন্ড-গালফ্রেন্ড সংস্কৃতির প্রবর্তন এবং বিজাতীয় শিল্পচর্চাকে দায়ী করছেন।

জানতে চাইলে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক এ জন্য বিচারহীনতাকে দায়ী করছেন। তিনি বলেন, ধর্ষণ কিংবা গণধর্ষণের একশ’টি অপরাধে গড়ে দুইটির বেশি শাস্তি হয় না। যেহেতু এসব মানবতাবিরোধী ঘটনার বিচার হয় না, তাই এমন বর্বর ঘটনা সমাজে বাড়বে, এটাই তো স্বাভাবিক। অভিন্ন মন্তব্য করেন বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের চেয়ারম্যান এমরানুল হক চৌধুরী। তিনি ইনকিলাবকে বলেন, শিশু কিংবা নারী ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা অব্যাহতভাবে বৃদ্ধির কারণ মূলত বিচারহীনতা এবং বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা।

ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টালেই দেখা যায় গত কয়েক মাসে খুন, ধর্ষণের অসংখ্য নৃশংশ ঘটনা ঘটেছে। সারাদেশের একই চিত্র; নৃশংস অপরাধ বেড়েই চলেছে। ধর্ষণ এবং নির্মমভাবে খুনের পাশাপাশি মানুষের মধ্যে নিষ্ঠুরতা বাড়ছে গণিত্যিক হারে। যাতে পৈশাচিকতার ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। স্বামীর হাতে স্ত্রী, স্ত্রীর হাতে স্বামী, মায়ের হাতে সন্তান, বাবার হাতে ছেলে, চাচার হাতে ভাতিজা, ভাইয়ের হাতে ভাই-ঘরের ভিতর-বাইরে এসব খুনোখুনি এখন স্বাভাবিক ঘটনায় রূপ নিচ্ছে। খুনের পর লাশ রাখা হচ্ছে শয়নকক্ষে, বাড়ির পাশে ঝোপে, রাস্তায়, বালুর ভেতর, বস্তার ভেতর, কাদার ভেতর, ড্রেনে কিংবা ডাস্টবিনে। গত এক মাসে ঢাকাসহ সারা দেশে গলা কেটে খুন করার শতাধিক ঘটনা ঘটেছে। গড়ে প্রতিদিন এক ডজন ধর্ষণের অভিযোগের তথ্য মিলেছে। সবচেয়ে বেশি যৌন পীড়নের শিকার হচ্ছে শিশু ও কিশোরীরা।

জানতে চাইলে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া এন্ড পিআর) মো. সোহেল রানা জানান, চাঞ্চল্যকর মামলাসমূহ নিবিড় তদারকির জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি। বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত মামলা মনিটর করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

এসব অপরাধের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অপরাধ ও সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, সমাজে এক ধরনের বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু রয়েছে। মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, আকাশ সংস্কৃতির প্রভাব, বিচারের দীর্ঘসূত্রতা বা অপরাধ করেও পার পেয়ে যাওয়ার প্রবণতাসহ নানা কারণে অপরাধ করার সাহস পাচ্ছে দর্বৃত্তরা। মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং ভোটের অধিকার সংকুচিত হওয়ায় মানুষের মধ্যে ‘ঝামেলায় না জড়ানোর প্রবণতা’ তৈরি হয়েছে। ফলে মানুষের প্রতিবাদের যে নৈতিক ভিত্তি তা কৃমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এছাড়া পুঁজিবাদী সমাজে মানুষের মধ্যে ব্যক্তি স্বাতন্ত্রবাদ বেড়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আস্থাহিনীতার কারণে অহেতুক ঝামেলা এড়াতে চোখের সামনে নৃশংস ঘটনা ঘটলেও তাদের বোধবুদ্ধি কাজ করছে না। ফলে কেউ প্রতিবাদও করছে না। চলমান বাস্তবসতার কারণেই মানুষ ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছেন। কেউ কারও বিপদে এগিয়ে আসছেন না।

গত শনিবার সকালে বানারীপাড়ার সলিয়াবাকপুর এলাকার কুয়েত প্রবাসী হাফেজ আব্দুর রবের বাড়ি থেকে তার মা মরিয়ম বেগম (৭০), মেজ বোন মমতাজ বেগমের স্বামী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শফিকুল আলম (৬০) ও খালাতো ভাই মো. ইউসুফের (২২) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের নিজেদের ঘরেই নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। গতকাল সকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় বাড়ির পাশে মাঠের একটি গাছে মান্নান গাজী’র (৫০) লাশ ঝুলছিল। এর কিছুটা দূরে তার স্ত্রী সোনা বিবি’র (৩৫) লাশ পড়ে ছিল। তার শরীরে একাধিক জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পা বহুতল ভবন থেকে ফেলে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে তার প্রেমিক আবদুর রহমান সৈকত। সে এখন পুলিশের রিমান্ডে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ধারণা করছেন গালফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড সংস্কৃতি চর্চার এক পর্যায়ে সম্পর্কে ফাটল ধরায় এমন ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনায় গত তিন দিন ধরে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ করে খুনি শনাক্ত করে তার দ্রুত বিচার দাবি করছেন।

মাদকের টাকার জন্যই রংপুরের বাহারকাছনায় নিজ দুই সন্তানসহ স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন অটোচালক আব্দুর রাজ্জাক। পুলিশ, র‌্যাব ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত রোববার দুপুর ১২টার দিকে আব্দুর রাজ্জাক নিজে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসার জন্য প্রতিবেশীকে ডাক দেন। এ সময় কয়েকজন প্রতিবেশী তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে ঘরে গিয়ে তার স্ত্রী রত্মা, মেয়ে নেহার (৩) ও বাবুর (১) লাশ দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। স্ত্রী-সন্তানদের হত্যার পর আব্দুর রাজ্জাক নিজেও গলায় ছুরি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানা যায়।

গত মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুর-২ এর একটি বাসার চতুর্থ তলা বৃদ্ধা রহিমা বেগম (৭০) ও গৃহকর্মী সুমির (২০)কে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। অনৈতিক কাজের পর টাকা নিয়ে দ্ব›েদ্বর কারণে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

অপরাধ ও সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ধরনের নৃশংসতা যে এবারই প্রথম, তা কিন্তু নয়। কিংবা এটা যে নতুন করে বেড়ে গেছে, তা-ও নয়। একটা সময়ে জমি দখল বা চর দখলের জন্য প্রকাশ্যে এক গ্রæপ আরেক গ্রæপের ওপর এমন নৃশংসতা চালাতো। সেসব এখন হয়তো নেই। তবে নৃশংসতার ধরণ পাল্টেছে। সমাজব্যবস্থাও একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক কারণে সমাজে অস্থিরতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে অপরাধের ধরণও পাল্টাচ্ছে। সমাজে নানারকম নেগেটিভ এলিমেন্ট ঢুকে পড়েছে। এ কারণে নৃশংস অপরাধের মাত্রাও বাড়ছে। প্রশাসনযন্ত্রকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার চেয়ে ক্ষমতাসীন দলের ইচ্ছাপূরণে অধিক ব্যস্ত।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্যাতন সংক্রান্ত প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে ১১টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত ১১টি ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) গত আড়াই বছরে ৩৮ হাজার ১২৪ জন নারী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৪২৮ জনই যৌন পীড়নের শিকার হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে এ বছরের জুলাই পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতেই চিকিৎসা নিয়েছে তিন হাজার ৬০১ জন নারী ও শিশু। সেখানকার তত্ত¡াবধায়ক বিলকিস বেগম বলেন, অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে এখানে চিকিৎসার আইনি সহায়তা দেওয়া হয়। ধর্ষণ বাড়ছে কি না, সেটা বলা যাবে না, তবে ধর্ষণের সঙ্গে নির্যাতনের আলামত পাচ্ছি আমরা।

জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ৫৭১ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আর চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই হয়েছে ৪৯৬ জন।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, চলতি বছরের ছয় মাসে ৩৯৯ শিশু ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছে। ধর্ষণের পর মৃত্যু হয়েছে ২৬ শিশুর। ২০১৮ সালে পুরো বছরে ৩৫৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। এর মধ্যে মারা যায় ২২ জন।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য মতে, ২০১৮ সালে মোট ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ৭৩২টি। এর মধ্যে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ৬৩ জনকে। ধর্ষণচেষ্টার পর হত্যা করা হয়েছে তিন নারীকে। দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২০৩টি। শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২৮১টি। গত জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৭৯১টি। এ সংখ্যা আগের এক বছরের চেয়েও বেশি। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৪৬ জনকে। চেষ্টার পর হত্যা করা হয়েছে একজনকে। দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১৮৪টি। শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৩২৩টি। ২০১৭ সালে ধর্ষণের মোট সংখ্যা ছিল ৮১৮ এবং ২০১৬ সালে ৭২৪টি।

বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের (বিএসএএফ) তথ্যানুযায়ী, ২০১৭ সালের চেয়ে ২০১৮ সালে শিশু ধর্ষণ-গণধর্ষণ বেড়েছে কমপক্ষে ৩৪ শতাংশ। এ বছর এই পরিসংখ্যান আরো অনেক বেড়ে যাবে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন বলেন, দীর্ঘদিন রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এবং গণতন্ত্র সংকুচিত হওয়ায় মানুষের যে নৈতিক প্রতিবাদ করার সাহস, সেটি কিন্তু ভোঁতা হয়ে গেছে। সমাজে দুর্বৃত্তরা অনেক অপরাধ সংঘটিত করে, সেটা নতুন কিছু নয়। কিন্তু এটির মাত্রা এবং প্রকাশ্য দিবালোকে যখন প্রতিবাদহীনতা থাকে, অর্থাৎ কোনও প্রতিবাদ হয় না, প্রতিরোধ হয় না, সেটি হচ্ছে ভয়াবহ। দীর্ঘদিন ধরে গণতান্ত্রিক চর্চার অনুপস্থিতি, প্রতিবাদ ও যৌক্তিক সমালোচনার অগ্রহণযোগ্যতা সমাজে বা রাষ্ট্রে এ ধরনের অবস্থা তৈরি করেছে। সাধারণ মানুষের ভেতরে প্রতিবাদ বা প্রতিরোধের যে ক্ষমতা তা ক্রমান্বয়ে কমছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা সাংবাদিকদের বলেন, সামাজিক নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অভাবে ‘নির্মম’ খুন, ধর্ষণসহ নানা ধরনের সামাজিক অপরাধ বাড়ছে। পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতার মাধ্যমে ব্যক্তিগত অস্থিরতা দূর করতে হবে। পাশাপাশি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।

অপরাধ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এ বছরের প্রথম ৬ মাসে সারা দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমনের মামলা হয়েছে এক হাজার ৫৩৯টি এবং হত্যা মামলা হয়েছে ৬৫১টি।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরের প্রথম ছয় মাসে যৌন হয়রানি ও সহিংসতা, ধর্ষণ ও হত্যা, পারিবারিক নির্যাতন, যৌতুকের জন্য নির্যাতন, গৃহকর্মী নির্যাতন, অ্যাসিড নিক্ষেপসহ নারী নির্যাতনের অনেক ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন সাতজন। এ ছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে ১০৫ নারীর ওপর।

আসক বলছে, ছয় মাসে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ১২৭ জন নারী। এর মধ্যে যৌন হয়রানির কারণে ৮ জন আত্মহত্যা করেছেন। যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে ৩ জন নারী ২ জন পুরুষ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া হয়রানি ও লাঞ্ছনার শিক্ষার হয়েছেন ১২৪ জন নারী-পুরুষ।

আসক বলেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে শিশুদের হত্যা এবং নির্যাতনের সংখ্যা আশঙ্কাজনক। ছয় মাসে ৮৯৫ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ১০৪ শিশু হত্যার শিকার হয়েছে, ৪০ শিশু আত্মহত্যা করেছে, নিখোঁজের পর এক শিশু এবং বিভিন্ন সময়ে ১৭ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে ৪১ জন শিশুর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
Shahadat Hossain ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৩৮ এএম says : 0
পরিসংখ্যান দেখে মনে হচ্ছে দেশে যুদ্ধ চলতেছে, নচেৎ এইরকম অবাধ ধর্ষণের রহস্য কি ? দেশে কি সরকার, আইন, আদালত কিছু নাই ?
Total Reply(0)
Omar Faruq Moni ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৩৯ এএম says : 0
তার মানে এই নইকি যে মানুষের নৈতিক অবক্ষয়ের পাশাপাশি রাষ্ট্র পরিচালনা যন্ত্র ও অকেজো???????
Total Reply(0)
Evan Islam ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৩৯ এএম says : 0
মানুষরুপি এইসব জানোয়ারদের গুলি করে মারা উচিৎ।
Total Reply(0)
Abu Shamha ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৩৯ এএম says : 0
অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন এক সাথে হতে হবে। খুন ধর্ষণ চুরি ঘুষ অনিয়ম বন্ধ করার চেয়ে বড় উন্নয়ন আর কিছু হতে পারে না।
Total Reply(0)
Khandoker Reduan Uz Zaman ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৩৯ এএম says : 0
আমি আন্তরিকভবে দুঃখিত এধরনের অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য। সরকারের উচিত কালবিলম্ব না করে এখনই ব্যাবস্থা নেওয়া।প্রয়োজনে ধর্ষণ আইন ব্যবস্থার নীতিমালা করা হোক।
Total Reply(0)
Nazrul Islam ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪০ এএম says : 0
ইউনিয়ন থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি এখন কারা? তাদের সহযোগী কারা? এই সব অপকর্মের সাথে কারা প্রধানত জড়িত? সুতরাং কার বাপের সাধ্য এগুলো ঠেকায়?
Total Reply(0)
Farhana Sultana ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪০ এএম says : 0
দিনে, দিনে এই সংখ্যা বেড়েই চলেছে, আমরা আমাদেরকে শেখাতে পারছিনা, শিখতে পারছিনা, শিখতে চাচ্ছিনা...মানবিকতার বিপর্যয় নেমে আসছে সর্বক্ষেত্রে, তাই জনসমক্ষে এদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া উচিত, তাহলে যদি পরিবর্তন আসে। ...প্রতিদিন এইসব দেখে আর ভালো লাগে না। ..আমরা কোথায় আর কতদূরে, কত নিচে নেমে যাচ্ছি। ..দুঃখ আর কষ্টে জর্জরিত হয়ে থাকি এই সব দেখে .
Total Reply(0)
Sumon Hasan ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪০ এএম says : 0
ধিক্কার জানাই
Total Reply(0)
মোঃ আনোয়ার আলী ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৫:১৯ এএম says : 0
এগুলো প্রতিকারের একমাত্র পথ হলো, ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং ইসলামী শাসন ব্যবস্থা
Total Reply(0)
** মজলুম জনতা ** ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৬:৪৭ এএম says : 0
এরশাদ সিকদার,মকিম গাজী কে ও হার মানিয়েছে এরা।এদের দমন করার হিম্মত কি প্রশাসনের নেই?এদের খুঁটির জোড় কোথায়? এদের দমন করুন জনগনের বাহবা পাবেন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন