মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সরকার প্রধান নিজেই খালেদা জিয়ার রায় ঘোষণা করছেন

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

শেখ হাসিনা ও তাঁর পারিষদবর্গ বেগম খালেদা জিয়ার অবনতিশীল শারিরীক অবস্থা নিয়ে রীতিমত রসিকতা করছেন অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই রসিকতা এক নিষ্ঠুর মানসিক বিকারগ্রস্ততার লক্ষণ। বেগম জিয়ার জামিন যেন না হয় সেজন্য সরকারপ্রধান নিজেই প্রকাশ্য সমাবেশে রায় ঘোষণা করছেন। এতে করে এই মিডনাইট সরকারের ভয়ংকর অশুভ ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আমরা বর্তমানে দেশনেত্রীর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে চরম আশংকায় দিনাতিপাত করছি। দেশনেত্রীকে বাঁচাতে হলে এখনই জামিন ও সুচিকিৎসা দরকার। গতকাল (রোববার) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দেশনেত্রীর জামিন নিয়ে এবার কোন রকমের টালবাহানা করে বেগম জিয়ার জামিনে কোন বাধা দিবেন না। আপনাদের সকল গণভিত্তি কর্পুরের মতো উবে গেছে। শেখ হাসিনার স্বনির্মিত দু:শাসনের শৃঙ্খল থেকে জনগণকে মুক্ত করতে হবে। মানুষের ক্ষোভ ও বঞ্চনা সংহত করে তা আন্দোলনে রুপদান করতে জনগণ রাজপথে নামতে শুরু করেছে।

রিজভী বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষ জানেন, সরকারের কারসাজিতেই দেশনেত্রীর জামিন নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করতে চেয়েছিলাম, নিম্ন আদালতে বিচারের নামে বেগম জিয়া অবিচারের শিকার হলেও উচ্চ আদালতে তিনি সুবিচার পাবেন। উচ্চ আদালতের বিচারকরা দেশের সংবিধান, আইন সর্বোপরি নিজেদের বিবেকের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবেন। জনগণ যেন হতাশ না হয় সেদিকে উচ্চ আদালতের সম্মানিত বিচারকবৃন্দ খেয়াল রাখবেন। কর্তৃত্ববাদী দুর্বিনীত শাসনের প্রকোপে জনগণের মধ্যে বিচার ব্যবস্থা যেন অপ্রাসঙ্গিক হয়ে না ওঠে, সেদিকেও তাঁদের দৃষ্টি রাখতে হবে। নিম্ন আদালতের বিচারকদের মতো নয়, বরং উচ্চ আদালতকে ন্যায়বিচার অক্ষুন্ন রাখতে হবে, তা না হলে মধ্যরাতের নির্বাচনের সরকার বেগম জিয়ার জামিনে বাধা দিতে সর্বশক্তি নিয়োগ করবে। যদি খালেদা জিয়া বারবার অবিচারের শিকার না হন, সেটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব উচ্চ আদালতের।

২৫ দিন ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বজনরা তাঁর সাক্ষাত পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, কারাবিধি অনুয়ায়ি ৭ দিন পর পর বন্দীদের সাথে সাক্ষাতের নিয়ম। বেগম খালেদা জিয়ার জন্য এই বিধান করা হয়েছে ১৫ দিন পর পর। এখন সেই ১৫ দিনের বিধানকেও সরকারের নির্দেশে কারা কর্তৃপক্ষ অগ্রাহ্য করছেন। গত ২৫ দিন ধরে বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে তাঁর ভাই-বোন-স্বজনরা সাক্ষাৎ করার আবেদন করলেও কারাকর্তৃপক্ষ শেখ হাসিনার নির্দেশে অনুমতি দিচ্ছেন না। তিনি অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তাঁর আত্মীয়স্বজনদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান।

এদিকে দেশের রাষ্ট্রায়াত্ত¡ পাটকল সিবিএ ও ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদের ডাকে মুজুরী কমিশন বাস্তবায়ন, বকেয়া মুজুরী পরিশোধসহ ১১ দফা দাবী আদায়ে গত ২৩ নভেম্বর থেকে পাটকল শ্রমিকরা আন্দোলনে রয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে পাটকল শ্রমিক কর্মচারী ও তাদের পোষ্যদের নিয়ে স্ব স্ব মিলগেটে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে যাচ্ছে শ্রমিকরা। তাদের এই কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
** মজলুম জনতা ** ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৮:১৮ এএম says : 0
**আন্দলন করুন**
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন