শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

যবিপ্রবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জাল সার্টিফিকেটে চাকরি করছেন

যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১০:১৬ এএম

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) একের পর এক কান্ড ঘটছেই। যা নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই। এবার যবিপ্রবি’র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুর রশীদ জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে চাকরি নেওয়ার ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, ২০১০ সাল থেকে এই ভুয়া সার্টিফিকেট ব্যবহার করে তিনি চাকরি করছেন। যবিপ্রবি’র সনদপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বিষয়টি ধরা পড়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আব্দুর রশীদের সার্টিফিকেটটি ভুয়া বলে নিশ্চিত করলেও তার বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারণে ভিসি প্রফেসর আনোয়ার হোসেন কোন ব্যবস্থা নেননি।

যবিপ্রবি’র একটি সূত্র জানায়, ২০১০ সালে যবিপ্রবিতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে আব্দুর রশিদ যোগদান করেন। এসময় তার দাখিলকৃত এলএলবি সার্টিফিকেট পাশের সাল দেখানো হয় ১৯৯২। তার এইচএসসি পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ থাকায় অধিকতর শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে তিনি এই এলএলবি সার্টিফিকেটটি জমা দেন। কিন্তু যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ গত ১২ অক্টোবর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুর রশীদসহ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী ১৭টি সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাইয়ের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠায়। সেই অনুযায়ী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বাবুল ইসলাম গত ২২ অক্টোবর যবিপ্রবি রেজিস্ট্রারের কাছে একটি চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুর রশীদের এলএলবি সার্টিফিকেটটি জাল বা ভুয়া।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তার চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘অফিস রেকর্ড অনুযায়ী মো: আব্দুর রশীদের সনদপত্রে নামের বানানে গরমিল থাকায় এবং মোঃ নজরুল ইসলামের সনদপত্র ইস্যুর তারিখ ভিন্ন হওয়ায় তা যাচাই করা গেল না। জনাব মোঃ আব্দুর রশিদের (এলএলবি/জুলাই১৯৯২) সনদপত্রে ‘ফলাফল’ টেম্পারিং করা। উক্ত মোঃ আব্দুর রশীদের সনদপত্রটি জাল বা ভুয়া।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুর রশীদ বলেন, ১৯৯২ নাকি ১৯৯৫ সালে আমি এলএলবি পাস করেছি তা ঠিক এই মুহূর্তে মনে নেই। সনদপত্র যাচাই বাছাই করা হচ্ছে কিনা তাও আমি জানি না।

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. আহসান হাবীব বলেন, সনদপত্রের যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর আব্দুল মজিদ বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন। যোগাযোগ করা হলে সনদপত্র যাচাই বাছাই কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর আব্দুল মজিদ বলেন, সনদপত্রে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা পাঠিয়েছিলাম। যদি কারো সনদপত্রের ত্রুটি থাকে তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Nannu chowhan ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১১:৪৮ এএম says : 0
Boro dukkhojonok eai shob joghonno shongbad,jara shikkhake niontron kore shikkhake unnoto bishsho man pojjaie nia jaowar jonno podobite bohal tobiote tader shonodoi vua,taha hole ki kore amader shikkha bebosta onnoto mane bikash hobe?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন