বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌরসভার ফোকপাল এলাকার একটি গোডাউন থেকে মাঝরাতে বহু সংখ্যক কেমিকেলের বহুসংখ্যক জ্যারিকেন ট্রাকে বোঝাই করে অন্যত্র নেওয়ার সময় সন্দেহবশত আটক করেছে স্থানীয় জনগণ। বিষয়টি থানা পুলিশ ও ডিবি পর্যন্ত গড়ানোর পর জানা গেছে কেমিকেলগুলো স্থানীয় সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেনের মালিকানাধীন ঢাকাস্থ একটি প্রতিষ্ঠানের।
এ ব্যাপারে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যে জানা যায় , মঙ্গলবার রাত দু’টার দিকে ফোকপাল এলাকার একটি গোডাউন থেকে বিপুল পরিমাণে কেমিকেলের জ্যারিকেন বের করে ট্রাকে বোঝাই করা হচ্ছে । সন্দেহবশত এলাকাবাসী সেখানে উপস্থিত হয়ে ট্রাকের হেলপার ও গোডাউনের লেবারদের কাছে জানতে চাইলে তারা সঠিক উত্তর দিতে না পারায় লোকজন পুলিশে খবর দেয় । খবর পেয়ে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চলে যায় । পুলিশ চলে যাওয়ার পর একটি কেমিকেল জ্যারিকেন বোঝাই ট্রাক চলে গিয়ে আরেকটি ট্রাক (ঢাকা-মেট্র-ট-১৮-৭৮৭৫) বোঝাইয়ের কাজ শুরু হলে লোকজন ওই ট্রাকটিও আটকে দিয়ে বগুড়া পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে খবর দেয় ।
এবার বগুড়া থেকে ডিবির একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারে মালগুলো বিএনপি মনোনিত স্থানীয় সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেনের মালিকানাধীন ঢাকাস্থ একটি কেমিকেল প্রতিষ্ঠানের। তবে কেমিকেল গুলো বৈধ না অবৈধ তা’ নিশ্চিত হওয়ার জন্য সং¯িøস্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বগুড়ায় দেখা করার কথা বলে ফিরে যায় ডিবির টিম ।
বুধবার দুপুরে বগুড়ার ডিবি ওসি আসলাম আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন , লোকমুখে খবর পেয়ে ডিবির টিম মঙ্গলবার রাতে ঘটনাস্থলে যায়।পরিস্থিতি পর্যবেক্ষনের পর সংশ্লিস্টদের কাগজপত্র দেখাতে বলা হয় । পরে কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায় সেগুলো অবৈধ নয় বিধায় সেগুলো আটক করা হয়নি। কেমিকেল গুলো কি জানতে চাইলে আসলাম আলী বলেন , কাগজপত্র অনুযায়ি হাইড্রোজেন পারওক্সাইড। কাপড় রঙ করার কাজে ওই কেমিকেল ব্যবহার করা হয় ।
তবে দুপুরে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেমিকেল বোঝাই ট্রাকটি ঘটনাস্থলেই ছিল। ঘটনা সম্পর্কে নন্দীগ্রাম থানার ওসিকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করে কেটে দেন । এমপি মোশারফ হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।
স্থানীয় লোকজন বলেছে , এলাকার জনৈক জাহেদুলের মালিকানাধীন ওই গোডাউনে বেশ কয়েকমাস ধরেই মাঝরাতের দিকে ট্রাকে মালামাল লোড আনলোড করতে দেখে তাদের মনে বহুমুখি সন্দেহের উদ্রেক করে । মঙ্গলবার সন্দেহ বশত মালগুলো আটকের পর জানা গেছে ওগুলো কেমিকেল এবং ওগুলোর মালিক তাদের এলাকার এমপির । তবে অনেকেই বলেছেন , কেমিকেলের মত দাহ্য বস্ত কেন এখানে এভাবে মজুদ ও লোড আনলোড করা হচ্ছে ?
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন