আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডবিøউ) বলেছে, ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য ভারত সরকার প্রস্তাবিত আইনটি ভারতের আন্তর্জাতিক আইনী বাধ্যবাধকতার লঙ্ঘন। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, ২০১৯-এর অধীনে প্রতিবেশী মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যাওয়া অবৈধ ও শুধুমাত্র অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে। নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরো বলেছে, গত ৯ই ডিসেম্বর ভারতের পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষে বিলটি পাস হয়েছে। তা ১১ই ডিসেম্বর উচ্চকক্ষে উত্থাপন হওয়ার কথা। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সরকার এই বলে তাদের পক্ষ অবলম্বন করছে যে, প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে ধর্মীয় নির্যাতন থেকে পালিয়ে যেসব সংখ্যালঘু ভারতে গিয়েছেন প্রস্তাবিত আইন তাদেরকে নাগরিকত্ব দেবে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক মীনাক্ষি গাঙ্গুলি বলেছেন, এই বিলে শরণার্থী এবং অভয় আশ্রয়ের মতো ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বৈষম্য করা হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এই বিলে আরো অনেক বিষয় আছে, যা বিজেপি সরকারের নীতি। এসব পলিসি মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের সুবিধা দেয়। যেমন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলায় জড়িত থাকা দলীয় সমর্থকদের বিরুদ্ধে যথাযথ বিচার করতে ব্যর্থতা। এ ছাড়া জীবন ও নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকা সত্তে¡ও রোহিঙ্গা মুসলিমদেরকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে সরকার। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ লিখেছে, মুসলিম অভিবাসী এবং আশ্রয় প্রার্থীদের খাটো করে দেখছেন বিজেপির রাজনীতিকরা। তারা রাজনৈতিক সমর্থন আদায়ের জন্য এসব মানুষকে অনুপ্রবেশকারী আখ্যায়িত করেছেন। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন