পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত একটি হিন্দু আধিপত্যবাদী এজেন্ডা নিয়ে পদ্ধতিগতভাবে এগিয়ে চলেছে।
বুধবার বিক্ষোভের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ভারতের উচ্চকক্ষে গৃহীত বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের কথা উল্লেখ করেন। এ বিলের মাধ্যমে ভারত সরকার ২০১৩ সালের আগে তিনটি প্রতিবেশী দেশ থেকে ভারতে প্রবেশকারী কয়েক মিলিয়ন অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেয়ার অনুমতি দেবে - তবে তারা মুসলিম হলে নয়।
গত মে মাসে ক্ষমতায় আসা মোদি সরকার অর্থনৈতিক পতনের মুখে বলেছে, এ বিলে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, কেননা, তারা এসব দেশে ধর্মীয় বৈষম্যের শিকার হয় না।
টুইটারে প্রধানমন্ত্রী ইমরান বলেছেন যে, এই বিলটি মোদির শীর্ষস্থানীয় এজেন্ডা প্রচারের সর্বশেষতম প্রচেষ্টা, যা ‘আইওজেকে অবৈধভাবে অধিভুক্তির মাধ্যমে শুরু এবং [ভারতীয় অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর] এখনো অবরোধ অব্যাহত রেখেছে। এরপরে আসামে মুসলমানসহ ২০ লাখ ভারতীয়কে নাগরিকহীন করে ফেলে। নাগরিকত্ব, অভ্যন্তরীণ শিবির স্থাপন; এখন নাগরিকত্ব সংশোধন আইন পাস; এই সবকিছুর সাথে ভারতে মুসলমান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদেরকে গণপিটুনিতে হত্যা রয়েছে’।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘মোদির হিন্দু আধিপত্যবাদী এজেন্ডা, পারমাণবিক ওভারহ্যাংয়ের আওতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হুমকি, বিশ্বজুড়ে ব্যাপক রক্তক্ষয় এবং সুদূরপ্রসারী পরিণতির দিকে পরিচালিত করবে’।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, ২০১৫ এর আগে ‘ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে’ পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে আসা বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, হিন্দু, জৈন, পার্সী এবং শিখদের ভারতীয় জাতীয়তা প্রদানের চেষ্টা করবে। তবে এটি রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদের জন্য প্রযোজ্য নয় যারা মিয়ানমারের অত্যাচারে পালিয়ে এসেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন যে, এটি মুসলিম বিরোধী নয়, কারণ এটি সমস্ত সম্প্রদায়ের জন্য নাগরিকত্বের বিদ্যমান আইনে প্রভাব ফেলেনি।
অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া অবশ্য বলেছে যে, এই আইন ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যকে বৈধতা দিয়েছে এবং ভারতের সংবিধান এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সূত্র : ডন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন