যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে ব্রেক্সিটপন্থীদের জোয়ারে বড় জয় পেয়েছে কনজারভেটিভরা। তবে স্কটল্যান্ডে ব্রেক্সিটের কোন প্রভাব পড়েনি।। সেখানে স্বাধীনতাকামী স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির (এসএনপি) জয়ধ্বনি। দলটির অবস্থান আবার ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে। এসএনপির এই জোয়ারে ভেসে গেছেন লিবারেল ডেমোক্র্যাটস দলের জো সুইনসন। তিনিও ব্রেক্সিটবিরোধী অবস্থান নিয়েছিলেন।
স্কটল্যান্ডের ডানবারটনশায়ার ইস্ট আসনে ভোটে দাঁড়ান লিবারেল ডেমোক্র্যাটস নেতা জো সুইনসন। নিজের আসনে তার এই হারকে এবারের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় অঘটন বলা হচ্ছে। তিনি আবার ধরাশায়ী হয়েছেন স্বাধীনতাকামী এসএনপির প্রার্থীর কাছে। জো পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫২৩ ভোট। তার চেয়ে মাত্র ১৪৯ ভোট বেশি পেয়ে আসনটির দখল নিয়েছেন এসএনপির অ্যামি ক্যালেগাম।
জো সুইনসন নির্বাচনে নামেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যকে বিচ্ছেদ (ব্রেক্সিট) করার প্রক্রিয়া বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়ে। শুরুতে ধারণা করা হচ্ছিল, তার দল লিবারেল ডেমোক্র্যাট এই নির্বাচনে ব্রেক্সিট বিরোধীদের তুমুল সাড়া পাবেন। জো সুইনসন এবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার সম্ভাবনা দেখেছিলেন। তবে নির্বাচনের পর এখন দেখা যাচ্ছে, চিত্রটা একেবারেই ভিন্ন। দলটি মাত্র ১৩ আসন পেতে পারে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে। এখন দলটির নেতারা জো সুইনসনের সমালোচনা করে বলছেন, সরাসরি ব্রেক্সিটবিরোধী অবস্থান নেয়াটা মোটেও ঠিক হয়নি। আবার জো ব্যক্তিগতভাবে ভোটারদের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
নির্বাচনে লিবারেল ডেমোক্র্যাটস দলের এই শোচনীয় অবস্থা যদি বিস্ময়ের হয়, তাহলে স্কটল্যান্ডে স্বাধীনতাকামী দল এসএনপির বড় সাফল্য আরও বিস্ময়ের। সারা দেশে যেখানে ব্রেক্সিটপন্থী কনজারভেটিভদের জয়জয়কার, সেখানে স্কটল্যান্ডে ব্রেক্সিটবিরোধী অবস্থান নিয়েও এসএনপির সাফল্য তাক লাগানোর মতো। মূলত এই নির্বাচনে ইংল্যান্ডের মানুষ ব্রেক্সিটপন্থী কনজারভেটিভে আস্থা রেখেছেন। আর স্কটল্যান্ডের মানুষ ভোট দিয়েছেন ব্রেক্সিটবিরোধী এবং স্বাধীনতাকামী উভয় অবস্থানকে। বুথফেরত জরিপে আভাস দেওয়া হয়েছে, স্কটল্যান্ডের মোট ৫৯টি আসনের মধ্যে ৫৫টিই এনএনপি পাবে। আগে ওয়েস্টমিনস্টার পার্লামেন্টে দলটির আসন ছিল ৩৫টি। এসএনপির এমন একচেটিয়া বিজয় স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রসঙ্গকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।
এসএনপি নেতা নিকোলা স্টারজিয়ন বলেছেন, স্বাধীনতার প্রশ্নে আবার গণভোটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তারা। স্কটল্যান্ডের মানুষ তাদের সেই প্রতিশ্রুতিতে সাড়া দিয়েছেন। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন