পর্যটকে ভরপুর এখন কক্সবাজার। পর্যটন মৌসুমের পিক আওয়ার ডিসেম্বর মাস। এমাসে থাকে সাধারণত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি। থাকে সপ্তাহিক ছুটির সাথে বিজয় দিবস, বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস, ক্রিসমাসডে ও ইংরেজি বছরের শেষে পুরাতন বছরের বিদায় ও নতুন বছরের বরণ। আরো থাকে থার্টিফার্স্ট নাইটের উচ্চাস।
এছাড়াও শীতের মৌসুম হওয়ায় ডিসেম্বরেই পর্যটকদের বেড়ানোর কর্মসূচী থাকে বেশী। প্রতি বছর পর্যটন মৌসুমে বিশেষ বিশেষ দিন ছাড়াও ডিসেম্বর মাসেই কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নামে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারো ডিসেম্বরে পর্যটক স্রোত শুরু হয়েছে কক্সবাজার মুখী।
গতকাল থেকে পর্যটকে টইটুম্বুর হয়েছে কক্সবাজার। বিস্তীর্ণ সৈকতসহ
জেলার পর্যটন স্পট গুলোতে দেখাগেছে হরেক রকম পর্যটকের স্বরব পদচারণা।
কক্সবাজারের অর্ধডজন ৫ তারাকা হোটেল থেকে শুরু করে দুই শতাধিক
সাধারণ হোটেল ও রেস্টহাউজ-গেস্টহাউজ গুলোতে কোথাও রোম খালি নেই। যারা আগে বুকিং না দিয়ে কক্সবাজার এসেছেন তার পড়েছেন
সমস্যায়।
এদিকে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা সামনের বিজয় দিবসের ছুটিসহ ছুটির দিন গুলোতে শুধু ডিসেম্বর মাসেই পাঁচ লাখ পর্যটক কক্সবাজার আসবেন বলে আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
পাঁচতারকা হোটেল সীগাল এর সিইও ইমরুল হাসান রুমি বলেন, এবারে কক্সবাজারে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক আশা করছেন তারা। তিনি আরো জানান, সীগাল হোটেলসহ পাঁচতারকা হোটেল গুলোতে যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো পর্যটক পাচ্ছেন তারা। তবে কক্সবাজারের রাস্তাঘাট যোগাযোগ আরো ভালো হলে পর্যটকরা আরো আকৃষ্ট হবেন।
হোটেল সায়মন বিচ রিসোর্ট এর অফিসার কামরুল হাসান এর প্রসঙ্গে বলেন, এবারে পর্যটক আসার স্রোটা খুবই ভালো। হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস সমিতির নেতা হোটেল ডায়মন্ড স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব আবুল কাশেম সিকদার জানান, এবারের শুধু ডিসেম্বর মাসেই ৫ লক্ষাধিক পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণের আশা করছেন তারা।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান জানান, পর্যটন এলাকায় তাদের পুলিশ সরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। যাতে করে পর্যটকরা কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন