শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

যে কারণে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে গাম্বিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

গাম্বিয়া, আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে ছোট্ট দেশ। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে স¤প্রতি এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সংঘটনের দায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে আফ্রিকার এইক্ষুদ্র দেশ। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে এই মামলার ওপর তিন দিনব্যাপী শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইসিজে প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই আদালতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। সাধারণত দুই দেশের মধ্য বিদ্যমান কোনও বিবাদ নিরসনের কাজ করে থাকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। এই আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার করা মামলা অনেক ভ্রুকুটির জন্ম দিয়েছে। কেননা, মিয়ানমার থেকে প্রায় ৭ হাজার মাইল দ‚রে গাম্বিয়া। রোহিঙ্গা সংকটের সঙ্গে গাম্বিয়ার কোনও ধরনের দৃশ্যমান যোগস‚ত্রও নেই। তাহলে কেন এত দ‚রের একটি সংঘাতের বিচার নিশ্চিতের জন্য আফ্রিকার এই ছোট্ট দেশটি উদ্যোগী হল? ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিষয়টি গাম্বিয়ার জন্য একেবারেই নিজস্ব। গত বছর গাম্বিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইনমন্ত্রী আবুবাকার এম টাম্বাদু জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন পড়েন। সেই প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে কীভাবে ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে ও ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে প্রতিবেশী বাংলাদেশের দিকে চলে যেতে বাধ্য করেছে। তদন্তকারীরা এই সহিংসতাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গা নির্যাতন-নিপীড়নকে যুক্তরাষ্ট্র জাতিগত নিধনযজ্ঞ বলেছে। অবশ্য, মিয়ানমার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে, তারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছিল। সোমবার আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে গাম্বিয়া। দেশটির প্রত্যাশা এর ফলে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আইনি চাপ তৈরি হবে। এক বছর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কৌঁসুলিরা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন। আইসিসি অবশ্য যুদ্ধাপরাধ নিয়েই বেশি কাজ করে। তবে মিয়ানমারের ক্ষেত্রে কোনও জুরিসডিকশন নেই আইসিসি’র। কেননা, মিয়ানমার এই আদালতের সদস্যরাষ্ট্র নয়। তাই আইসিসি’র প্রচেষ্টা বেশিদ‚র আগাতে পারেনি। কিন্তু আইসিজে’র ক্ষেত্রে সেই সীমাবদ্ধতা নেই। বিবিসি, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন