শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

রহস্যের সমাধান হলো

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আমির শেখ সুলতান বিন মুহাম্মদ আল কাশিমির ছেলে শেখ খালিদ বিন সুলতান আল কাশিমির মৃত্যু হয়েছিল হঠাৎ করে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ছিল ধোঁয়াশা। অবশেষে সেই রহস্যের সমধান হলো। তার মৃত্যু নিয়ে তদন্তের ফলাফল সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে। জানা গেছে, যুবরাজের মৃত্যু হয়েছিল অতিরিক্ত ইয়াবা ও যৌন উত্তেজক মাদক ‘জিএইচবি’ সেবনের কারণে। 

গত ১ জুলাই সোমবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নাইটসব্রিজে ৮০ লাখ ইউরো মূল্যের একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। তিনি পেশায় একজন ফ্যাশন ডিজাইনার ছিলেন। তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে দীর্ঘ তদন্তের পর সম্প্রতি নিশ্চিত করা হলো অতিমাত্রায় ড্রাগ সেবনই ছিল এর জন্য দায়ি।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, কাশিমি হোম্ম ব্র্যান্ড নামে নিজস্ব ফ্যাশন ডিজাইন প্রতিষ্ঠান ছিল শেখ খালিদ বিন সুলতান আল কাশিমির। কিন্তু জীবন যাত্রার দিক দিয়ে তিনি ছিলেন কিছুটা উশৃংখল প্রকৃতির। এ উশৃংখল জীবন যাত্রাই অবশেষে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল তার জন্য।
এ বিষয়ে ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে বলেছে, আমিরাতি প্রিন্স শেখ খালিদ বিন সুলতান আল কাশিমি তার অ্যাপার্টমেন্টে একটি ‘সেক্স অ্যান্ড ড্রাগ’ পার্টির আয়োজন করেছিলেন। সেখানে অতিরিক্ত মদ্যপান ও যৌনকর্মে লিপ্ত হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
গত বুধবারর ওয়েস্টমিনিস্টার করোনার কোর্টের শুনানিতে বলা হয়, ইয়োহান এসকোবার নামে এক ব্যক্তির সাথে তার শেষ ঘন্টাটি কাটিয়েছিলেন যুবরাজ। কিন্তু ঐ লোকটির সাথে তার কি সম্পর্ক ছিল তা জানা যায় নি। শুনানিতে যুবরাজের কোন আত্মীয় উপস্থিত ছিলেন না। তার লাশের প্যাথলজি পরীক্ষ্য়া চিকিৎসক সুসান প্যাটারসনের প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, যুবরাজের রক্তে প্রায় ৩০০ মিলিগ্রাম জিএইচবি পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারণে যুবরাজের সৎ ভাই ও আমিরের প্রথম স্ত্রীর সন্তান শেখ মোহাম্মদ বিন সুলতান বিন মোহাম্মদ আল কাসিমিও ১৯৯৯ সালে সাসেক্সে পরিবারিক বাসভবনে মাত্র ২৪ বছর বয়সে মারা যান। সূত্র : ডেইলি মেইল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন