বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভারতের এনআরসি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি - মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ২:০৩ পিএম

ভারতের এনআরসি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দেশের মানুষ আজ এনআরসি নিয়োগ উদ্বিগ্ন, কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোন কিছুই করা হচ্ছে না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, এনআরসির বিষয় নিয়ে আমরা প্রথম থেকে বলছি যে, এই বিষয় নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।এনআরসি আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি বলে আমরা মনে করছি। আজকে যে অবস্থা তৈরি হয়েছে এই অবস্থা শুধু বাংলাদেশে নয়, সমগ্র উপমহাদেশে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করবে। উপমহাদেশের অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, উদারপন্থী রাজনীতিকে ধ্বংস করে দিয়ে একটা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস করা হচ্ছে।

আজ শনিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে বিজয়ের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল। দেশের যারা শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবী, যারা দেশ গঠন করবেন তাদেরকে নির্মূল করে দিতে চেয়েছিল পাক হানাদার বাহিনীরা। কিন্তু তাদের প্রচেষ্টার পরেও ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হয়েছিল। স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরেও বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে টিকে আছে। কিন্তু আজকে দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন তাঁর সহধর্মিণী, যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দী হয়েছিলেন তাকে আজ কারাগারে থাকতে হচ্ছে। আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্র রক্ষার জন্য যে দেশ স্বাধীন হয়েছিল সেই দেশকে এই অগণতান্ত্রিক সরকার খান খান করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের এবং জাতির সমস্ত অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে এই সরকার।আমরা আজকে গণতন্ত্রবিহীন জনগণের অধিকার বিহীন একটা অবস্থায় বসবাস করছি।আজকে যখন আমাদের নেত্রী কাররাগারে, আমাদের নেতাকর্মীরা কারাগারে, এদিকে এই সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে সকল গণতান্ত্রিক দল গুলোকে স্তব্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের সমস্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে নামতে হবে। আজকের এই দিনে বুদ্ধিজীবীদের পথ অনুসরণ করে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার জন্য এবং গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা আমাদের সংগ্রামের আরো গতি বাড়াবো। ইনশাআল্লাহ জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করব।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডঃ খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সেলিমা রহমান, উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ন মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপি নেতা ডাক্তার রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ডাক্তার আব্দুস সালাম, কামরুজ্জামান রতন, আমিনুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, নাজিম উদ্দিন আলম, খন্দকার মারুফ হোসেন, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, আবুল বাশার, আনোয়ার হোসেন, আহসান উল্লাহ হাসান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সিনিয়র সহ-সভাপতা গোলাম সারোয়ার, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, যুবদল উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জগলুল হাসান পাপেল, প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
BOXER FAISAL ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৩:২৮ পিএম says : 0
দেশের সরকার পুরাই ফালতু।মনে হয় না যে গনোপিটুনি খাওয়ার আগে ক্ষমতা ছাড়বে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন