শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

‘ভারত বাঁচাও’ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে কংগ্রেস

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৩:৩২ পিএম

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে সারা ভারতজুড়ে চলছে তোলপাড়। নতুন এই বিলটির প্রতিবাদে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে কয়েক দিন ধরেই চলছে বিক্ষোভ। এবার নতুন করে আরও উত্তাপ ছড়াতে ‘ভারত বাঁচাও’ সমাবেশের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। এমনকি কংগ্রেসের তরফে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানানো হয়েছিল। তবে এবার শনিবার রাজধানী শহর দিল্লীতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে ভারত বাঁচাওয়ের ডাক দিল কংগ্রেস।

রাজধানী দিল্লিতে অর্থনৈতিক দুরাবস্থা, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, কৃষকদের দুর্দশা ও কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন ইস্যুতে এই সমাবেশের ডাক দিয়েছে দেশটির বিরোধী দল। এই সমাবেশে অংশ নেবেন সোনিয়া গান্ধী, মনমোহন সিং, রাহুল গান্ধীসহ দলের শীর্ষ নেতারা। কংগ্রেসের বিদেশের শাখাগুলিও বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের মাধ্যমে ‘ভারত বাঁচাও’ সমাবেশে যোগ দেবে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিল পাস হয়। পরে রাষ্ট্রপতি বিলটিতে সই করায় তা আইনে পরিণত হয়ে গেছে। হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার ভারতে স্থায়ীভাবে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার জন্য এই আইন করেছে বলে সমালোচনা চলছে দেশজুড়ে। তাছাড়া এই আইনের ফলে সংখ্যালঘু মুসলমানরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে সবচেয়ে বেশি।
দেশটির বেশ কয়েকটি রাজ্য এরই মধ্যে জানিয়েছে, তারা এ আইন মানবে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রতিটি রাজ্যই কেন্দ্রের আইন মানতে বাধ্য।
ভারতে নয়া নাগরিকত্ব আইনকে বৈষম্যমূলক হিসেবে বর্ণনা করে তা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর।

ওই আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক ব্রিফিংয়ে বলেন, “ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইনটি মৌলিক চরিত্রের দিক দিয়েই বৈষম্যমূলক এবং এ বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা জানি যে এই আইনের বৈধতা ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে এবং আমাদের আশা মানবাধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইনে ভারতের যে দায়বদ্ধতা রয়েছে আদালত তা বিবেচনায় নিয়ে নাগরিকত্ব আইনটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।”

অন্যদিকে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে। মোদি সরকার বিষয়টি স্বীকার করতে না চাইলেও দেশটির বিশ্লেষকরা অর্থনৈতিক দুরাবস্থার দৃশ্য তুলে ধরছেন। এছাড়া দেশটিতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে বেকারত্বের সংখ্যাও।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
jack ali ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৭:৫২ পিএম says : 0
May Allah [SWT] destroy Modi and his associates InshaaAllah
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন