বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর মুখের দিকে চেয়ে বিচার করলে সুবিচার হবে না: সাবেক বিচারপতি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৪:৪৯ পিএম

‘প্রধানমন্ত্রী কি বলবে, তার মুখের দিকে চেয়ে যদি বিচার করি তাহলে সুবিচার হবে না। বিচারপতিকে হতে হবে মটিভলেস এবং স্পেশালিস্ট। সুবিচার অনেক সময় আইন মেনে হবে না। আইনকে ব্যাখ্যা করতে হবে এমন ভাবে যাতে কাজটা নিশ্চিত হয়। আমরা যদি সজাগ থাকি এবং সৎ থাকি তাহলেই আমাদের জাজমেন্ট ভালো হবে।’- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মোঃ আবদুল মতিন এসব কথা বলেছেন।

আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘নির্বাহী বিভাগ হতে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের ১ (এক) যুগ’ শীর্ষক এক মুক্ত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, বিচার বিভাগের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শাসন বিভাগে সম্পৃক্ত করা উচিত না। বিচারক নিয়োগে প্রধান বিচারপতির মতামত প্রাধান্য পেলে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা খর্ব হয়। হয়তো বিচার বিভাগ হতে আমরা যতটা চাই ততটা পাই নাই। কিন্তু স্বাধীনতার পর হতে বিচার বিভাগের অর্জন কম না।

সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, আপিল ডিভিশন হচ্ছে সর্বোচ্চ কোর্ট। তারা যে রায় দিবেন সেটাই ফাইনাল। আর সেই জন্য এসব জায়গায় যাকে নিয়োগ দেওয়া হবে অবশ্যই তার ব্যক্তিত্ব, সততা থাকতে হবে। বিচার বিভাগে এমনও লোক আছেন যাদেরকে যদি সিনিয়র আইনজীবী যেমন ডঃ কামাল, রফিকুল ইসলাম উনারা যদি কোন রেফারেন্স দেন তাহলে সেটা তারা বুঝবে না। এরকম লোককে যদি বিচার বিভাগের বসানো হয়, তাহলে দেশে সুষ্ঠু বিচারের আশা করবো কেমনে। উচ্চ ও নিম্ন আদালতে অবশ্যই মেধাসম্পন্ন, সৎ ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে হবে। এবং তাদেরকে সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকা যাবে না। তাহলে সুষ্ঠু বিচারের আশা করা সম্ভব।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ডক্টর সালেহ উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাবেক জেলা জজ মাসদার হোসেন, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি প্রধান নিবার্হী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন