১৯৭৩ থেকে ২০১৩ সাল। এই দীর্ঘ সময়ে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ সুযোগ-সুবিধাগুলো বাস্তবসম্মত ও সময়ানুগ করার জন্য বারবার গঠিত হয়েছে পে-কমিশন। সর্বশেষ পে-কমিশনের সুপারিশ ১ জুলাই ২০১৫ থেকে বাস্তবায়িত হবে বলে আশা করা যায়। সবগুলো পে-কমিশনই চাকরিরতদের নিয়ে বেশি ভাবনাচিন্তা করেছে। অবসরভোগীদের নিয়ে কিছু ভাবেনি। তাই হতভাগা অবসরভোগীদের পক্ষ থেকে পে-কমিশনের সদস্যদের বলছি, প্রথমে আমাদের বাসস্থানের বিষয়টি চিন্তা করতে। অবসরভোগীরা বাসস্থানের জন্য কোনোরূপ সহায়তা করতে না পারায় বোঝা হতে হয়। এমনকি বৃদ্ধনিবাসে বাস করতে হলেও সিটভাড়া দিতে হয়। তাছাড়া বয়স বাড়ার সঙ্গে কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধি পায়। তাই পেনশনভোগীদের জন্য চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধি করার আবেদন জানাচ্ছি। চাকরিরতদের সন্তানের জন্য শিক্ষা ভাতা প্রচলন করা হলেও অবসরভোগীদের সন্তানের জন্য শিক্ষা ভাতা প্রচলন নেই। অথচ অনেকেরই পড়ূয়া ছেলেমেয়ে রয়েছে। আবার তারা অবসরভোগী মানুষটির ওপরই নির্ভরশীল। সুতরাং বিষয়টি ভেবে দেখার অনুরোধ করছি।
মো. আবদুল মতিন
দক্ষিণ দনিয়া, ঢাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন