শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

যেখানে অনন্য আবিদ আলি

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

বৃষ্টিই ঠিক করে দিয়েছিল রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের ভাগ্য। দশ বছর পর পাকিস্তানে টেস্ট ফেরার ম্যাচে জম্পেশ লড়াইয়ের আভাসে পানি ঢেলে দিয়েছিল অসময়ের বৃষ্টি। স্বাগতিক দর্শকদের হতাশার মাঝে শেষ দিনে অবশ্য আনন্দ নিয়ে আসেন ওপেনার আবিদ আলি। ওয়ানডে অভিষেকে সেঞ্চুরি করেছিলেন আগে। এবার টেস্ট অভিষেকেও করলেন তা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যা দেখেনি এর আগে।
প্রথম দিনে ব্যাট করতে নামা ধনঞ্জয়া ডি সিলভা বৃষ্টির বাধায় পঞ্চম দিনে গিয়ে পেয়েছেন সেঞ্চুরি। যে ম্যাচে দুদলের এক ইনিংস শেষ হতেই জেরবার অবস্থা। সে ম্যাচ যে অনুমিত ড্র হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শেষ দিনে ৬ উইকেটে ৩০৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে লঙ্কানরা।
এরপর ব্যাট করতে গিয়ে দিনের বাকিটা সময় দর্শকদের বিনোদিত করেন আবিদ আলি। তার অপরাজিত সেঞ্চুরিতে পাকিস্তান ২ উইকেটে ২৫২ রান করার দিনের খেলা শেষ হয়ে যায়।
গত মার্চে ওয়ানডে অভিষেকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ৩২ বছর বয়সী আবিদ। এবার টেস্ট অভিষেকেও করলেন তাই। দুই সংস্করণের অভিষেকেই সেঞ্চুরি করা ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার তিনিই। ২০১ বল খেলে ১১ চারে ১০৯ রানে অপরাজিত থাকেন আবিদ।
সেঞ্চুরি পেয়েছেন বাবর আজমও। পাকিস্তানের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করেন অনেকটা ওয়ানডে মেজাজে। ১২৮ বলে অপরাজিত থাকেন ১০২ রানে। এর আগে ধনঞ্জয়ার ১০২ রানের অপর ভর করে নিশ্চিত ড্রয়ের পরিস্থিতি দেখে ৩০৮ রানেই ইনিংস ছেড়ে দেয় সফরকারীরা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৯৭ ওভারে ৩০৮/৬ (ডি.) (করুনারতেœ ৫৯, ওশাদা ৪০, কুসল ১০, ম্যাথিউস ৩১, ধনাঞ্জয়া ১০২*, ডিকভেলা ৩৩, দিলরুয়ান ১৬*; আব্বাস ১/৭২, শাহিন শাহ ২/৫৮, উসমান ১/৫৪, নাসিম ২/৯২)। পাকিস্তান ১ম ইনিংস : ৭০ ওভারে ২৫২/২ (আবিদ ১০৯*, আজহার ৩৬, বাবর ১০২*; রাজিথা ১/৫, বিশ্ব ০/৪৯, কুমারা ১/৪৬, কুসল ০/১৪)। ফল : ম্যাচ ড্র। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : আবিদ আলি। সিরিজ : ২ ম্যাচ সিরিজে ০-০ সমতা।

চার দিনেই শেষ নিউজিল্যান্ড
স্পোর্টস ডেস্ক : দলের মূল বোলারদের একজন ম্যাচের মাঝপথে ছিটকে গেছেন চোট নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার বোলিং দেখে কে বলবে! মিচেল স্টার্কের গতি-সুইং আর ন্যাথান লায়নের স্পিনে যুগলবন্দী জমে উঠল দারুণ। খানিকটা সঙ্গত করলেন প্যাট কামিন্স। নিউজিল্যান্ডকে চার দিনেই হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া মেতে উঠল বড় জয়ের মূর্ছনায়।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে পার্থে নিউজিল্যান্ডকে ২৯৬ রানে উড়িয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে ১-০তে। গতকাল ম্যাচের চতুর্থ দিনে নিউজিল্যান্ডকে ৪৬৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিউইরা গুটিয়ে গেছে ১৭১ রানে। স্টার্ক ও লায়ন উইকেট নিয়েছেন চারটি করে। কামিন্স নিয়েছেন দুটি।
প্রথম ইনিংসে ১.২ ওভার বোলিং করে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়ার পর জশ হেইজেলউড আর বোলিং করতে পারেননি। কার্যত তাই তিন জন স্পেশালিস্ট বোলার নিয়েই ম্যাচ জিতল অস্ট্রেলিয়া।
দিনের শুরুটা ছিল অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং দিয়ে। ৬ উইকেটে ১৬৭ রানে ব্যাটিংয়ে নেমে তারা ইনিংস ঘোষণা করে ৯ উইকেটে ২১৭ রান নিয়ে। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটের পর টিম সাউদি দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১২ টেস্ট খেলে প্রথমবার ৫ উইকেটের স্বাদ পেলেন এই অভিজ্ঞ পেসার। উইকেটে ততক্ষণে বোলারের বুটের আঘাতে তৈরি হয়েছে যথেষ্ট ক্ষত। ব্যাটিং হয়ে উঠেছে কঠিন। স্টার্ক ও লায়নের বোলিং কিউইদের কাজ কঠিন করে তুলল আরও। কোনো ব্যাটসম্যান ছাড়াতে পারেননি ৪০ রান, পঞ্চাশ ছুঁয়েছে কেবল এক জুটি।
ষষ্ঠ উইকেটে বিজে ওয়াটলিং ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম যোগ করেন ৫৬ রান। এই জুটি ভাঙার পর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে দলের ইনিংস। ১৭ রানের মধ্যে হারায় তারা শেষ ৫ উইকেট। ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ স্টার্ক। লায়ন নিয়েছেন ম্যাচে ৬ উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া : ৪১৬ ও ২য় ইনিংস : ২১৭/৯ (ডি.) (আগের দিন ১৬৭/৬) (ওয়ার্নার ১৯, বার্নস ৫৩, লাবুশেন ৫০, স্মিথ ১৬, স্টার্ক ২৩; সাউদি ৫/৬৯, গ্র্যান্ডহোম ১/৪৭, ওয়াগনার ৩/৫৯)। নিউজিল্যান্ড : ১৬৬ ও ২য় ইনিংস : (লক্ষ্য ৪৬৮) ৬৫.৩ ওভারে ১৭১ (ল্যাথাম ১৮, উইলিয়ামসন ১৪, টেইলর ২২, নিকোলস ২১, ওয়াটলিং ৪০, গ্র্যান্ডহোম ৩৩,; স্টার্ক ৪/৪৫, কামিন্স ২/৩১, লায়ন ৪/৬৩)। ফল : অস্ট্রেলিয়া ২৯৬ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : মিচেল স্টার্ক। সিরিজ : ৩ ম্যাচে ১-০তে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন