শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

এনআরসি আতঙ্কে বাংলাভাষীদের বাংলাদেশ সীমান্তে আসার হিড়িক, মহেশপুর সীমান্তে আরো ৪জন আটক

দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত থেকে বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ২:২৬ পিএম

ভারতীয় পত্রিকা খবর দিয়েছে , নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি নিয়ে দেশজোড়া বিতর্কের আবহে বাংলাভাষীদের বাংলাদেশ সীমান্তে আসার হিড়িক লেগেছে। পোয়াবারো হচ্ছে সীমান্তের পাচারকারীদের। আতঙ্কিত বাংলাভাষীদের সীমান্ত পার করাতে নেওয়া হচ্ছে মাথাপিছু পাঁচ হাজার টাকা।
দৈনিক বর্তমান জানায় বনগাঁ ও বসিরহাট মহকুমার সীমান্তবর্তী এলাকায় সেকারণে ‘ধুর’দের ব্যবসা (দালাল) এখন রমরমিয়ে চলছে। এক রাতে ১০ জনকে পার করলেই তাদের পকেটে ঢুকছে নগদ ৫০ হাজার টাকা। অথচ কয়েক দিন আগেও মাথাপিছু পারাপারের এই দর ছিল সর্বোচ্চ দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। তবে যে পথে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে, সেই পথে অল্পবিস্তর অনুপ্রবেশের ঘটনাও ঘটছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফেও বিএসএফকে সতর্ক করা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিস ও সীমান্তরক্ষীদের মদতেই চলছে এই কারবার।
পত্রিকা আরো জানায়, বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, সীমান্তে কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। সেকারণে প্রায় প্রতিদিনই অবৈধভাবে দেশে ঢোকা বা বের হতে চাওয়া বাংলাদেশিদের আটক করে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার জেলার বনগাঁ ও বসিরহাট মহকুমার বাংলাদেশ সীমান্তে এখনও সম্পূর্ণভাবে কাঁটাতারের বেড়া তৈরি হয়নি। এই সুযোগে সীমান্তবর্তী নদী ও ফাঁকা জমির উপর দিয়ে রমরমিয়ে পাচারের কাজ চলে। এনআরসি আতঙ্ক ও নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে ফেরার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। আর তাতেই ধুর সিন্ডিকেটে মানুষ পাচারের দর একলাফে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এই ধুরদের যোগাযোগ দুই প্রান্তেই থাকে। মোবাইলের মাধ্যমে তাদের মধ্যে যোগাযোগ হয়। সাংকেতিক কথার মাধ্যমে দুই দিকে বিএসএফ ও বিজিবি কোন সময় থাকছে না, তা দেখে নিয়েই পারাপার করে। এই কাজে সীমান্তের স্থানীয় মানুষকে ইনফরমার হিসেবে ব্যবহার করে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন