বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের সংখ্যা, তাদের কাজের বৈধ অনুমতিপত্র (ওয়ার্ক পারমিট) এবং আয়করের তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট। বিদেশি কর্মী আইন অনুসারে ওয়ার্ক পারমিট দিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। এক রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), এনজিও ব্যুরো এবং বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেপজা)কে পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে। রিটকারীর কৌঁসুলি জানান, গত ১৯ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারের ‘বাংলাদেশে এত বিদেশি কর্মী কেন’ শিরোনামে একটি কলাম প্রকাশিত হয়। গত ১২ ডিসেম্বর সেটি সংযুক্ত করে সুপ্রিমকোর্ট বারের অ্যাডভোকেট মনজুর নাহিদ রিট ফাইল করেন। কলামে বলা হয়, একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুসারে বিদেশি কর্মীরা বাংলাদেশ থেকে বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছেন। খবরটির উৎস প্রধানত বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা)। চলতিবছর আগস্টের প্রথম সপ্তাহে এই সংস্থা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা ও শিল্প বণিক সমিতি বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, যেকোনও বিদেশি বাংলাদেশে কাজ করতে চাইলে বিডা থেকে ওয়ার্ক পারমিট নেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন বেসরকারি এমনকি কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানেও এ নিয়ম মানা হচ্ছে না। এতে আরও বলা হয়, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রায় ৫ লাখ বিদেশি বাংলাদেশে কাজ করছেন। অথচ বিডা থেকে অনুমতি দেয়া হয়েছে ১ লাখ। তাদের আয়ের ওপর সরকার যথাযথভাবে করও পাচ্ছে না। কাউকে বেতন দেয়া হচ্ছে বিদেশে। আবার এ দেশেও অনেককে ডলারে বেতন দেয়া হয়। অথচ আয়কর বিবরণীতে তারা এটা টাকার অঙ্কে দেখান। গতকাল রিটকারির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন