রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

রাউজানে গরু লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত!

এম বেলাল উদ্দিন, রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

চট্টগ্রামের রাউজানে খামার ও গৃহস্থালির গরুগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে লাম্পি স্কিন রোগ (এলএসডি)। গত এক মাসে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে উপজলার প্রায় ৩ হাজার গরু। তবে এ রোগে গরু মারা গেছে এরকম তথ্য উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় দিতে না পারলেও উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পটিয়া পাড়ায় এক গৃহস্থালির ১টি গরু মারা গেছে বলে জানাগেছে। এদিকে এ রোগটির টিকা ও সঠিক ওষুধ না থাকায় উৎকণ্ঠায় আছে খামারি ও গৃহস্থালিরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এলাকায় খামারির সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩শ’। এসব খামারে গৃহস্থালি মিলে গরুর সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার। এর মধ্যে প্রায় ৩ হাজারের বেশি গরু লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। খামারিরা বলছেন, আক্রান্ত গরুর সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি হবে।
সরেজমিন ঘুরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের খামার ও গৃহস্থালির পালা গরুতে এ রোগের চিত্র দেখা গেছে।
মুহাম্মদ রায়হান বলেন, তার গরুর লাম্পি স্কীন রোগ হয়েছে। তিনি এ নিয়ে চিন্তিত আছেন। পূর্বগুজরা ইউনিয়নের মুহাম্মদীয়া ডেয়রি ফার্মে গিয়ে দেখা যায় খামারে দুধের গাভীর সংখ্যা ৩০টি। এর মধ্যে ৭টি দুধের গাভী লাম্পি স্কীনে আক্রান্ত হয়েছে।
খামারের মালিক রাজ্জাকুল আলম ইনকিলাবকে বলেন, গত ১৫ দিন আগে তার খামারের ৪টি গাভীতে এ রোগ দেখা দেয়। গত তিনদিন আগে আরও ৩টি গাভীরও একই রোগ হয়। তিনি আরও জানান, নিজ উদ্যােগে এ রোগের চিকিৎসা দিচ্ছেন তিনি।
এছাড়া একই ইউনিয়নের মুহাম্মদীয়া নগর এলাকার গৃহস্থালি বেলাল উদ্দিনের ২টি, মুহাম্মদ জাবেদের ২টি, এজহার মিয়ার ১টি গরু গত এক সপ্তাহ থেকে এ রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছে।
নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কর্ত্তার দিঘি এলাকায় আলম ডেয়রি ফার্মে গিয়ে দেখা যায় খামারের মোট ৩৫টি গরুর মধ্যে ৪টা গরুর এ রোগ ধরা পড়েছে।
খামারের মালিক নুরুল আলম বলেন, এক মাস আগে থেকে গরুগুলো এ রোগে আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত গরুগুলোর গায়ে প্রচন্ড জ্বর থাকে। খাবার খেতে চায় না।
উপজেলায় চিকিৎসা দেয়া বেসরকারি চিকিৎসক ভেটেরিনারি কনসালটেন্ট মুরশিদুল আলম চৌধুরী বলেন, রোগটি খুব দ্রæত ছড়িয়ে পড়ছে।
রাউজান উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন এ রোগের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। তবে তিনিসহ তার কার্যালয়ের পশু বিশেষজ্ঞরাচেষ্টা করে যাচ্ছেন রোগটি নিরাময়ে চিকিৎসা দিতে। তিনি আরও জানান উপজেলার ২ থেকে ৩ হাজার গরুর এ রোগ হয়েছে। সামনে শীত বাড়লে আরও ব্যাপক আকারে ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি। জানতে চাইলে আক্রান্ত গরুগুলো জবেহ করলে খাওয়া যাবে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জবেহকৃত পশুগুলোর মাংস খাওয়া যাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন