শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জায়গা নেই নালিশের

বাড়ছে ভূমি-অপরাধ

সাঈদ আহমেদ | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

ভূমি বিষয়ক অপরাধের নালিশ জানানোর কোনো জায়গা নেই। তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিকারেরও নেই কোনো ব্যবস্থা। মালিকানা প্রমাণে ছহি কাগজপত্রের যেন কোনো মূল্য নেই। প্রাধান্য পাচ্ছে ‘জোর যার মুলুক তার’ তত্ত¡। সঠিক কাগজপত্র থাকা সত্তে¡ও একের জমি চলে যাচ্ছে অন্যের দখলে। দিনকে দিন বাড়ছে এধরণের ভূমি-অপরাধ। ঘটছে খুন-খারাবি। ফলশ্রæতিতে বিচারাঙ্গনে বাড়ছে মামলার স্তূপ। ক্রম:বর্ধিষ্ণু মামলা উদ্বিগ্ন করে তুলেছে সরকারকেও।

রাজধানীর মেরাদিয়া মৌজায় দু’টি দাগে ৪২ শতাংশ ভূমির মালিক শেখ রমিজউদ্দিন (৭০)। চাচা নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যান। এ কারণে নিজ পিতা এবং চাচার সম্পত্তিরও ষোলো আনা মালিক তিনি। আর কোনো ভাই-বোন নেই। বাবা-মা মৃত্যুর পর সম্পত্তি গ্রাসের জন্য রমিজউদ্দিনকে তাড়িয়ে দেয় অন্য স্বজনরা। পুরনো ঢাকায় পালিয়ে বাঁচেন শিশু রমিজ। এখন তিনি মাংসের দোকানের কর্মচারী। কষ্টেশিষ্টে দিন কাটে তার। মূল্যবান পৈত্রিক সম্পত্তি মালিকানার প্রামাণ্য কাগজপত্র বগলদাবা করে ঘুরছেন এর-ওর কাছে। মেরাদিয়ার পৈত্রিক ভিটায় ভবন তুলেছে জবর দখলকারিরা। প্রাণভয়ে জমির কাছেও যেতে পারছেন না। প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে মামলায় লড়বেন- এমন সাহস ও সাধ্য কোনোটাই নেই। অপেক্ষায় আছেন-দখল ছাড়া যদি কাগজপত্রগুলোই বিক্রি করে দিতে পারতেন!

শেখ রমিজউদ্দিন একটি সত্যি ঘটনার দৃষ্টান্ত মাত্র। এ ধরণের ঘটনা সারাদেশে লাখ লাখ। কাগজ আছে-দখল নেই। দখল আছে তো কাগজ নেই। এ নিয়ে সৃষ্টি হয় বিরোধ। হচ্ছে খুনোখুনি। যুগ যুগ ধরে চলছে মামলাও। শত শত বছর আগে প্রণীত ব্রিটিশ আইনের আওতায় চলছে এসব মামলা। মামলার ‘শুরু’ আছে তো ‘শেষ’ নেই।

উঁচু হচ্ছে দেওয়ানি মামলার স্তূপ
আইনমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশের আদালতগুলোতে ৩৫ লাখ ৮২ হাজার ৩৪৭টি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে জমি বা ভূমি সংক্রান্ত মামলা ১৩ লাখ ২৮ হাজার। ফৌজদারি মামলা ১৭ লাখ ২৫ হাজার। অধিকাংশ ফৌজদারি মামলার উৎপত্তি দেওয়ানি মামলা থেকে। এ সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। মামলার ক্রম বর্ধিষ্ণু এই সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ আইনজ্ঞ, আইনজীবী, সরকার এবং বিচার বিভাগের। দুশ্চিন্তা রয়েছে সমাজ বিশ্লেষক, চিন্তাশীল নাগরিকদের। ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষের তো নাভিশ্বাস উঠছেই। মামলার খরচ যোগান, দীর্ঘসূত্রিতা এবং হয়রানি। নিরীহ, সহজ সাধারণ মানুষের জন্য মামলা-মোকদ্দমা যেন অভিশাপ। মামলা দায়ের এবং বিচার প্রাপ্তি মানুষের আইনগত অধিকার। তাই কোনো মানুষকেই মামলা থেকে নিবৃত রাখার সুযোগ নেই। কিন্তু এই অধিকারের সুযোগ অনেক সময় অন্যের অধিকার হরণের প্রধান হাতিয়ারেও পরিণত হয়। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা, কোনো বিষয়কে ‘বিচারাধীন’ রেখে সুযোগ নিতেও ব্যবহৃত হয় মামলা। পক্ষান্তরে ‘ন্যায় বিচার’ ব্যয় সাপেক্ষ। নিরীহ, দরিদ্র মানুষ ব্যয় মেটাতে পারে না। ফলে ‘ন্যায় বিচার’ অনেক সময় দরিদ্র মানুষের কাছে ধরা দেয় না। ফলে পেশীশক্তি, সন্ত্রাস, বর্বরতা, কূটকৌশলের একচ্ছত্র দখলদারিত্ব এখন দেশের ভূমি-জগতে। রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার বয়স ৪৮ বছর। কিন্তু মানুষের ব্যক্তি জীবনকে সন্ত্রস্ত করে রাখছে ভূমিদস্যুতা, ভূমি অপরাধ। বৈধ উপায়ে মানুষ ভূ-সম্পত্তি অর্জন করলেও সেটি সংরক্ষণ এবং ভোগদখলে তৈরি হচ্ছে নানামুখি সংকট। একজনের জমি গায়ের জোরে অন্যজন দখল করে নিচ্ছে। অথচ এই দখল-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিকার লাভের সহজ কোনো রাস্তা নেই। ফলে প্রতিকার খুঁজতে বাধ্য হয়ে আদালতেরই দ্বারস্থ হচ্ছে মানুষ। উঁচু হচ্ছে দেওয়ানি মামলার স্তূপ।

গলদ মালিকানা সংজ্ঞায় : বিশ্লেষকরা বলছেন, ভূমি-প্রশাসন সংশ্লিষ্টরা ভূমিদস্যুদের সুবিধার্থে ‘ভূমি-মালিকানা’র একটি সংজ্ঞা দাঁড় করিয়ে নিয়েছেন। তথাকথিত এই সংজ্ঞা অনুযায়ী ভূমিমালিকানার পক্ষে তিনটি বিষয় আবশ্যক। (১) দলিল (২) দাখিলা এবং (৩) দখলস্বত্ত¡। এ অনুযায়ী দলিল এবং দাখিলা সত্তে¡ও কেবলমাত্র দখল না থাকলে জমির মালিক জমির মালিকানা হারাবে। অর্থাৎ অপরের অধিকার হরণকারী, লোভী, চতুর,ক্ষমতাধর ভূমিদস্যুই পাবেন মালিকানা। কারণ পেশীশক্তি বলে অন্যের জমি দখল করতে সক্ষম। সে ক্ষেত্রে ভূমি-প্রশাসনের চূড়ান্ত সেবাটি নিবেদিত কেবল ভূমিদস্যুর কল্যাণে। অন্যায়-অবিচারের শিকার দখলচ্যুত ভূমি মালিক ভূমি-প্রশাসনের কার্যত কোনো পরিষেবাই পাচ্ছেন না।

অথচ বিশ্বের শীর্ষ ব্যবস্থাপনার মূল শ্লোগান হচ্ছে ‘বেটার কাস্টমার সার্ভিস ডেলিভারি’। উপ-সচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিবদের বাংলাদেশ লোক প্রশাসন কেন্দ্রে মাসব্যাপি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। সেখানকার প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে উত্তম গ্রাহক সেবা নিশ্চিতকরণ। এক্ষেত্রে মানদন্ডটি হচ্ছে, যে সার্ভিস যত বেশি টিসিভি (টাইম, কস্ট, ভিজিট) কমাতে পারবে, সেই সার্ভিস ততো আদর্শ সার্ভিস। শুদ্ধাচার নিয়ে দেশে অনেক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ, টকশো হচ্ছে। সরকারি কর্ম ক্ষেত্রে এর পরিপালন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গণশুনানি হচ্ছে। কিন্তু অস্বচ্ছল, সাধারণ প্রকৃত জমির মালিকের অধিকার নিশ্চিতে কাস্টমার সার্ভিসের কোনো অর্জন নেই। নিরীহ, দরিদ্র ব্যক্তির জমি প্রভাবশালী, অর্থশালী ব্যক্তি হাতিয়ে নিলেও ভূমি-প্রশাসন তার পক্ষে দাঁড়ায় না।

দখলচ্যুত নালিশ জানাবে কোথায়?
১৮৬০ সালের ফৌজদারি দন্ডবিধিতে চুরির শাস্তি রয়েছে ৩ থেকে ১০ বছর কারাদন্ড, অর্থদন্ড। ডাকাতির শাস্তি সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদন্ড, অর্থদন্ড। অথচ জমি জবর দখলের সরাসরি কোনো শাস্তি দন্ডবিধিতে নেই। ন্যায় বিচারের স্বার্থে ভূমির প্রকৃত মালিকের প্রাথমিক নালিশ করার কোনো প্রতিষ্ঠানও গড়ে ওঠেনি। বিদ্যমান ব্যবস্থানুযায়ী, দরিদ্র, নিরীহ ব্যক্তির জমি জবরদখল হলে থানায় ছুটে যান। থানা বলে দেন, এটি জমি জমার বিষয়। দেওয়ানি মামলা। তিনি হয়তো ডেপুটি কালেক্টর (ডিসি) অফিস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিংবা এসি (ল্যান্ড) যাওয়ার পরামর্শ দেন। এসি (ল্যান্ড) বলেন, জমির দখলস্বত্ব বুঝিয়ে দেয়ার দায়িত্ব আমাদের নয়-আদালতে যান। দেওয়ানি মামলা নিয়ে আদালতে গেলে আইনজীবী’র ফি, মামলা পরিচালনা ব্যয়, শারীরিক সুস্থতা, সক্ষমতা এবং ধৈর্য্যরে বিষয়। দেওয়ানি মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা দেশের বিচার ব্যবস্থার বড় দুর্বলতা। জাল-জালিয়াতি, ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে প্রভাবশালী দখলদার পক্ষ জটিলতা সৃষ্টি করে মামলাকে ২৫/৩০ বছরের ফাঁদে ফেলে দিতে পারেন অনায়াসেই। বিপরীতে দুর্বল, দরিদ্র ভূমি মালিক ক্লান্ত হয়ে পড়েন দেওয়ানি মামলার শুরুতেই। আদালতে তারপক্ষে মামলা যুগ যুগ ধরে টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না।

এদিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় ‘গ্রাম আদালত’ রয়েছে বটে। ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার মাধ্যমে ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি’ (এডিআর) কার্যক্রমও রয়েছে। কিন্তু সব জায়গায় কেবল বিবদমানপক্ষ উভয়েই যদি শান্তিপ্রিয় হয়। দুইপক্ষই যদি সমাধান চায় সেটিই কেবল নিসরন সম্ভব। যদিও এখানে ইউপিও চেয়ারম্যান কিংবা পৌর মেয়রকে একটি নির্দিষ্ট অংকের অর্থমূল্যের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। যেমন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ১ লাখ টাকা থেকে ২ লাখ টাকার সম্পত্তির সালিশ করতে পারবেন। পৌর মেয়র ২ থেকে ৩ লাখ টাকা মূল্যমানের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারেন। কিন্তু যে ভূমিদস্যু পরিকল্পিতভাবে জাল কাগজ তৈরি, ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে জমি জবরদখল করছেন তিনি গ্রাম আদালতের সালিশ তিনি মানছেন না। সোজা চলে যান দেওয়ানি আদালতে। তার জবরদখল দারিত্বের পক্ষে ‘স্থিতি আদেশ’ এনে দখলস্বত্ব বজায় রাখেন। তার পক্ষে আনা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল, সেই আপিলের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট, হাইকোর্টের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পর রিভিউ- এসব করে মোটামুটি জীবন পার করে দেয়া সম্ভব। পক্ষান্তরে ভূমির দখল হারানো ব্যক্তি নিঃস্ব হয়ে যান। গেরস্থ থেকে বাড়ি-ঘর বিক্রি করে ভিক্ষুক হোন। ‘ন্যায়বিচার’র সুফল তিনি হয়তো আর দেখেও যেতে পারেন না।

এদিকে থানা, এসিল্যান্ড অফিস অথবা ডিসি অফিসে গিয়েও কোনো কাল ধরণের প্রতিকার লাভ সম্ভব নয়। থানা বলে এটা পুলিশের কাজ নয়। এসিল্যান্ড অফিস অথবা ডিসি অফিসে বলে এটা আদালতের কাজ।

ভূমি-প্রশাসনের কাজ কি?
সংজ্ঞায়িত ‘ভূমি-মালিকানা’ দাবির পূর্বশর্ত দলিল। দলিল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সরকার একটি ফি নেয়। এর মধ্যে স্ট্যাম্প শূল্ক-৩ শতাংশ, স্থানীয় সরকার কর-৩ শতাংশ, উৎসে কর (অঞ্চল ভেদে) ৪ শতাংশ, মূল্য সংযোজন কর-২.৫ থেকে ৩ শতাংশহারে গ্রহিতাকে সরকারের অনুকূলে পরিশোধ করতে হয়। এর বাইরেও অনেক ধরণের শূল্ক রয়েছে। রেজিস্ট্রিকৃত দলিলের ভিত্তিতে নামজারি করতে যেতে হয় সহকারী (ভূমি) অফিসে। এক্ষেত্রে বর্তমানে জমির মালিকের কাছ থেকে সরকার নিচ্ছে ১১শ’ ৫০ টাকা। দাখিলা (খাজনা/ভূমি উন্নয়ন কর)র ক্ষেত্রেও সরকার জমি মালিকের কাছ থেকে নির্ধারিত হারে অর্থ আদায় করছে। এভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে নানা নামে জমি মালিকের কাছ থেকে সরকার রাজস্ব পাচ্ছে। কিন্তু বিনিময়ে জমি কিংবা ভূমির প্রকৃত মালিক কি পাচ্ছে? দুর্বল, অসহায় ভূমি মালিক যদি সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু দ্বারা দখলচ্যুত হন সরকার কি তার স্বার্থরক্ষায় কোনো ভূমিকা নিচ্ছে? সেই ব্যবস্থাপনা কি বর্তমান ভূমি-প্রশাসনে রয়েছে?

ভূমি কর্মচারীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানা যায়, ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির সীমানা প্রাচীর মাপ- জোক করে সঠিকতা নিরূপণে সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। এসি (ল্যান্ড) অফিস বা ডিসি অফিসেরও এমন কোনো প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি নেই। সরকার জমিজমা নিয়ে বিরোধের ক্ষেত্রে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ঘটনাস্থলে সার্ভেয়ার পাঠিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দেয়ার দাফতরিক কোনো এখতিয়ার এসিল্যান্ড অফিসের সার্ভেয়ারদের নেই। যেটুকুন ‘ব্যবস্থা’ আছে তা শুধু সরকারি স্বার্থ সংরক্ষণে। ভূমি বিরোধের ক্ষেত্রে অনেক সময় নিরীহ ভূমি মালিক পুলিশের দ্বারস্থ হন। অনুরোধ ও তদবিরের প্রেক্ষিতে হয়তো কোনো পুলিশ কর্মকর্তা উভয়পক্ষকে ডেকে বিরোধ মীমাংসার উদ্যোগ নেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও উচ্চ আদালত দ্বারা বারিত রয়েছে। কারণ, বিচারিক ক্ষমতা পুলিশের নেই। এ বাস্তবতায় মালিকানা অর্জনে নিরীহ মালিক বিভিন্ন পর্যায়ে সরকারের অনুকূলে নানাবিধ শূল্ক পরিশোধ করছেন বটে; বিনিময়ে দখলস্বত্ব বজায় রাখায় সরকারি কোনো সমর্থন পাচ্ছেন না। সরকারি ভূমি প্রশাসন প্রকারন্তে জবরদখলকারির পক্ষেই অবস্থান নিচ্ছে।

সরকারের নানামুখি উদ্যোগ
তবে ভূমি-অপরাধ, ভূমি বিরোধ এবং জটিলতা নিরসনে সরকারের নানা উদ্যোগ এবং আশার বাণী শোনালেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। তিনি বলেন, ভূমি জটিলতা নিরসনকল্পে সরকার ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগ নিয়েছে। জমির নামজারি ও খাজনা পরিশোধে অনলাইন সিস্টেম চালু করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে। এ পদ্ধতি চালু হলে মানুষ হয়রানি থেকে রেহাই পাবে। দুর্নীতির শিকারও হতে হবে না। সরকারের রাজস্ব বাড়ার সাথে সাথে মানুষের সেবাপ্রাপ্তিও সহজ হবে। ভূমি রেজিস্ট্রেশনের দায়িত্ব ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তরে প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব ইতিবাচক। এটি সম্ভব হলে নিরীহ মানুষের জমির দখলস্বত্ব নিয়েও জটিলতা নিরসন হবে বলে আশা করছি।

এদিকে দেওয়ানি মামলা সম্পর্কে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এই প্রতিবেদককে বলেন, ক্রমবর্ধমান মামলা নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন। মামলা জট সামাল দিতে সরকার ক্যাপাসিটি বাড়াচ্ছে। মামলার রেকর্ডপত্র সংরক্ষণে হিমশিম খাচ্ছে আদালতগুলো। এটি নিরসনকল্পে নতুন আদালত ভবন নির্মাণ হচ্ছে। আদালত সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া আদালতের ওপর চাপ কমাতে ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) নিয়েও কাজ করছে সরকার। অস্বচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের জন্য সকল আদালতে ‘লিগ্যাল এইড’ প্রোগ্রামও চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
মোঃ তোফায়েল হোসেন ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৩৭ এএম says : 0
খুবই প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে রিপোর্ট করায় ইনকিলাবকে ধন্যবাদ।
Total Reply(0)
সত্য বলবো ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৩৮ এএম says : 0
ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সাথে নেওয়া উচিত।
Total Reply(0)
সাইফুল ইসলাম চঞ্চল ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৩৯ এএম says : 0
আমার নানা একটি জমি জমার মামলা ত্রিশ বছর ধরে চালাতে দেখেছি। িএভাবে যদি যুগের পর যুগ মামলা চলে তাহলে কি অভস্থা দাড়ায়।
Total Reply(0)
মশিউর ইসলাম ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৩৯ এএম says : 0
নালিশের জায়গা তৈরি করতে হবে সরকারকে।
Total Reply(0)
মোঃ তোফায়েল হোসেন ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪০ এএম says : 0
মামলার জট না কমালো গেলে মানুষ হয়রানি বন্ধ হবে না।
Total Reply(0)
নীল আকাশ ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪০ এএম says : 0
যুগোপোযোগী প্রতিবেদন..
Total Reply(0)
** হতদরিদ্র দিনমজুর কহে ** ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৯:৪২ এএম says : 0
এ লেখার জন্য সাঈদ আহম্মেদ সাহেব কে ধন্যবাদ।ভূমি বিরোধ বাংলাদেশের একটি বড় সমাস্যা, ইহা নিরসনে উপযুক্ত কোন ব্যাবস্থা চোখে পড়েনা।কাগজ আছে দখল নাই,দখল আছে কাগজ নাই।সত্বের মোকাদ্দমায় রায়/ডিগ্রী পেয়ে ও জমির দখলে যেতে পারছেনা।নালিশের যায়গা নাই, সালিশ করার মানুষ নাই,যারা আছে তাদের কোন ভিত্তিনাই।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন