বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সম্পর্ক জোরদারের অঙ্গিকারে শেষ হলো যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সংলাপ

প্রকাশের সময় : ২৬ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কূটনৈতিক সংবাদদাতা 

আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করা এবং ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক জোরদারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে দুই দেশের অংশীদারত্ব সংলাপ গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে শেষ হয়েছে। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক বাংলাদেশের এবং মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি টমাস শেনন তাঁর দেশের নেতৃত্ব দেন।
মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি টমাস শেনন বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের জন্য যুক্তরাষ্ট্র গর্ববোধ করে। আর পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক মন্তব্য করেন, সাহায্য নির্ভরতা থেকে কৌশলগত পর্যায়ে গিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও পরিপক্ব হয়ে উঠেছে।
২০১২ সালে অংশীদারত্ব সংলাপ শুরুর পর থেকে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয়ে অভিন্ন লক্ষ্য ও সুযোগ কাজে লাগিয়ে সহযোগিতার নীতিগত বিষয় নিয়ে দুই দেশ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া দুই দিনের ওই আলোচনায় দুই দেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
নিরাপত্তা সহযোগিতা, উন্নয়ন ও সুশাসন এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এই তিনটি ভাগে অংশীদারত্ব সংলাপে দুই পক্ষ আলোচনা করেছে। এবারের আলোচনায় দুই দেশ অভিবাসন, জলবায়ুু পরিবর্তন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য, উচ্চশিক্ষা, কৃষি, প্রবাসী বাংলাদেশি, আঞ্চলিক সহযোগিতা, শান্তিরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা, সন্ত্রাস ও সহিংস উগ্রবাদ দমন নিয়ে আলোচনা করেছে। শুক্রবারের আলোচনায় দুই প্রতিনিধিদলের নেতারা তিন কর্মদলের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন।
পররাষ্ট্রসচিব গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা ও বহুমতের অন্তর্নিহিত মূল্যবোধ ধারণ করে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার আকাঙ্খা ও কর্মকৌশলের ওপর গুরুত্ব দেন। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, বছরের পর বছর দুই দেশের সম্পর্ক সাহায্য নির্ভরশীলতা থেকে কৌশলগত পর্যায়ে গিয়ে পরিপক্ক হয়ে উঠেছে।
আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির উল্লেখ করে টমাস শেনন বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের জন্য যুক্তরাষ্ট্র গর্ব করে এবং ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী।
দুই দেশের প্রতিনিধিদলের নেতারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পাশাপাশি সার্ক, বিসিআইএম, বিমসটেক, আসেম, আইপেকসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।
এদিকে অংশীদারত্ব সংলাপের ফাঁকে পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশাদেশাই বিসওয়াল, জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক সহকারীমন্ত্রী অ্যান রিচার্ড, আন্তর্জাতিক সংস্থা বিষয়ক সহকারীমন্ত্রী বাথশেবা ক্রোকার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রমবিষয়ক সহকারীমন্ত্রী টম ম্যালিনাউস্কি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিশেষ সহকারী পিটার ল্যাভয় এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের চিফ অব স্টাফ জনাথন ফিনারের সঙ্গে দেখা করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন