‘ভোট ডাকাত সরকার টিকে থাকার জন্য একের পর এক ছাত্র-শ্রমিক-জনতার উপর এরূপ পৈশাচিক ঘটনা ঘটাচ্ছে। এই গণবিরোধী ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর জন্য ঐক্যফ্রন্ট মনে করে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদেরকে প্রতিহত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা অপরিহার্য।’- জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেছেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা দেশবাসীকে দ্ব্যর্থহীন জানাতে চাই, তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ যে জঘন্য ও বর্বর হামলা করেছে তা লক্ষ শহীদের প্রতি চরম অবমাননা।
ভিপি নুরুল হক নুরসহ ডাকসু ভবনে অর্ধশত ছাত্র নেতৃবৃন্দের উপর হামালার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক ড. কামাল এসব কথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, বছরের শেষে একদলীয় শাসনের পূর্ন ক্ষমতা ব্যবহার করে ছাত্রসমাজের উপর মুক্তিযোদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগের হামলার আমরা নিন্দা জানাই।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামধারী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় ডাকসু ভিপি নুরুল হক, এবিএম সোহেল, হাসান আল মামুন, রাশেদ খান ফারুক সহ প্রায় অর্ধশতাধিক ছাত্র গুরুতর আহত হয়। কেউ কেউ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তাদেরকে হত্যা করার জন্য পরিকল্পিতভাবে ডাকসু ভবনে আলো নিভিয়ে বর্বরোচিত নির্মম হামলা চালায়। তুহিন ফারাবী লাইফ সাপোর্টে আছে।
বৈঠকে ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রব, বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডক্টর জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরাম নেতা অধ্যাপক আবু সাঈদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ, দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন