‘ইন্টারনেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হতে হবে। ইন্টারনেট বন্ধ করা কোনো সমাধান নয়। ইন্টারনেট বন্ধ করলে লোকে গালিগালাজ করে। সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে ইন্টারনেট একদিক থেকে যে পরিমাণ সুফল বয়ে আনে অপরদিক থেকে বিপদও ডেকে আনে। তাই এটা ব্যবহারে আমাদের সর্বচ্চো সতর্ক থাকতে হবে।’- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেছেন।
আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সেলিব্রেটি হলে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল সুরক্ষা’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন মোস্তাফা জব্বার।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, সাইবার থ্রেড ডিটেকশন অ্যান্ড রেসপন্স প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশকে ডিজিটাল সুরক্ষা দিতে পারছি। এর আগে ২০১৮ সালে অনেক লড়াই করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছি যার সুফল এখন আমরা পাচ্ছি। সে সময় আমাকে অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল এই আইন নিয়ে।
এ সময় নিজ মন্ত্রনালয়ের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আমরা ২২ হাজার পর্ন সাইট বন্ধ করেছি, ২ হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করেছি। তাছাড়াও যখনই দেখি কোথাও জঙ্গিবাদ প্রশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে অথবা গুজব রটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে তখনি আমরা তা বন্ধ করার চেষ্টা করি। যদিও সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের কথাবার্তা ঠিকঠাক শোনে না। তারপরও আমাদের লোকজন পরিশ্রম করে এসব দমানোর চেষ্টা করছেন।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করার একবছর পরে ব্রিটেন ঘোষণা করে ডিজিটাল ব্রিটেন। আমাদের ৬ বছর পরে ডিজিটাল ইন্ডিয়া ঘোষণা করে, আমাদের ৭ বছর পরে মালদ্বীপ ডিজিটাল মালদ্বীপ ঘোষণা করে এবং আমাদের ১১ বছর পরে ২০১৯ সালে ডিজিটাল পাকিস্তান ঘোষণা করে।
টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মহসিনুল আলমের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. নূর উর রহমান, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতউল্লাহ, বিটিসিএল-এর মহাপরিচালক ড. মো. রফিকুল মতিন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন