মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

পোশাকের সঙ্গে বেঈমানি করবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৭:০০ পিএম

জনগণের পয়সায় পোশাক পড়ে দায়িত্ব পালনে কোনো বেঈমানি করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) কাকরাইলের আইডিইবি ভবনে কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের নতুন ইউনিফর্মের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কাস্টমস ও ভ্যাট কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এসব বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান।

পোশাকের নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ইউনিফর্মধারী ব্যক্তিদের যে নিয়ম শৃঙ্খলা আছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। কমান্ড এবং প্রত্যেক বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। পোশাকের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। জনগণের পয়সায় পোশাক এবং জনগণের জন্য আমরা রাজস্ব আহরণ করি। কাজেই পোশাকের সাথে যেন আমরা বেঈমানি না করি। এটা খেয়াল রাখতে হবে। একটা ব্রত থাকতে হবে, আমরা দেশের রাজস্ব বাড়াব। ট্যাক্স জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি করব। এছাড়া কাস্টমসের বড় দায়িত্ব দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

মোশাররফ হোসেন বলেন, কাস্টমস ও ভ্যাট কর্মকর্তাদের ইউনিফর্মের গেজেট বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ হয়েছে চলতি বছরের ৩ সেপ্টেম্বর। পুরোপুরিভাবে ইউনিফর্মের বিষয়টি কিছুটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কারণ যেনতেনভাবে যেখানে সেখানে এই ইউনিফর্ম তৈরি করলে হবে না। এছাড়া বাজেট বরাদ্দও একটি বিষয়। এই পোশাক এখন সকলের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কমিশনার পর্যন্ত সকলেরই এই পোশাক পরতে হবে। কাস্টমসে সাড়ে ৪ হাজার কর্মকর্তা আছেন আর অন্যান্য সবমিলে ১২-১৩ হাজার পোশাক তৈরি করতে একটু সময় লাগবে। সেজন্য আমরা আরও ২ মাস সময় নিয়ে নিচ্ছি। অর্থাৎ আগামী বছরের মার্চের প্রথম দিন থেকে ইউনিফর্ম পরা বাধ্যতামূলক হবে। এ ব্যাপারে আমরা একটি আদেশ জারি করে দিচ্ছি।

ভ্যাটের জন্য ইএফডি মেশিন স্থাপন করতে যাচ্ছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইএফডি মেশিনের প্রথম চালান দেশে এসে গেছে। আমরা আশা করছি এই মাসের শেষের দিকে বা বছরের প্রথম দিকে বিভিন্ন দোকানে আমরা স্থাপন করতে যাব। প্রাথমিক পর্যায়ে যাদেরকে দেওয়া হবে সেটি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল উদ্বোধন করবেন। এটা হলে ভ্যাটে একটা নিয়মশৃঙ্খলা আসবে। একই সাথে সমস্ত সমুদ্রবন্দর, স্থলবন্দর, বিমানবন্দরে স্ক্যানার স্থাপন করছি। কিছু স্ক্যানার এখনি আছে তবে যেসব জায়গা এখনো অরক্ষিত সেসব জায়গায় যেন শতভাগ স্ক্যানিং করা যায় সেজন্য আমরা এরইমধ্যে টেন্ডার করেছি। একই সাথে মানিলন্ডারিং, ওভারইনভয়েসিং, আন্ডারইনভয়েসিং এগুলো প্রতিরোধ করার দায়িত্ব কাস্টমসের। এটা আমাদের মনে রাখতে হবে।

মোশাররফ হোসেন বলেন, ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে শিগগিরই ইলেকট্রনিক সিল লক চালু করা হবে। ভারত, নেপাল, ভুটানের কাছে আমাদের বন্দর উন্মুক্ত করেছি। কাজেই আমাদের বন্দর বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর তারা ব্যবহার করবে। সেক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক সিলের প্রয়োজন হবে। যদি আমরা এটি ব্যবহার না করি তাহলে ইলেকট্রনিক সিল লকের যে কাজটি সেটা পুরোই ভারতীয় বা অন্যান্যদের কাছে চলে যাবে। সেজন্য এটি আমাদের করতে হবে। অপরদিকে এক্সপোর্ট, ইমপোর্টে স্বচ্ছতা আসে তাহলে বিদেশেও ভাবমূর্তি বাড়বে। উন্নয়নের দিক দিয়ে সারাবিশ্বে আমাদের ভাল অবস্থান আছে। এই উন্নয়নের ধারা যদি অব্যাহত রাখতে না পারি তাহলে আমাদের সকল কর্মপ্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।

অনুষ্ঠানে এনবিআর সদস্য (শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসন) মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, এনবিআর সদস্য গ্রেড ১ (শুল্ক নিরীক্ষা, আধুনিকায়ন ও আন্তজার্তিক বানিজ্য) খন্দকার আমিনুর রহমানসহ সকল সদস্য ও কর্মকর্তারা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
** হতদরিদ্র দীনমজুর কহে ** ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৭:৩৩ পিএম says : 0
পোশাকের মর্যাদা বুকে লালন করে দ্বায়ীত্ব পালন করলে জনগন শ্রোদ্ধাভরে স্বরন করবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন