শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সাহিত্য

সময়ের কবিতা

| প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৭:৪০ পিএম

সুপান্থ মিজান
ব্যর্থ ভ্রমর

একদিন প্রেয়সীর হাত ধরে
নির্বিঘ্নে চলে যেতাম দূরে বহুদূর,
স্বপ্ন পরীর ডানায় ভর করে উড়ে যেতাম তেপান্তর।
আকাশের পানে চেয়ে চেয়ে পাড়ি দিতাম
সাতসমুদ্র তের নদী।
অপলক দৃষ্টিতে জয করতাম হিমালয়
যখন দুজনার অভিন্ন আত্মা ছিলো
দুজনার গন্তব্য হয মিলন মোহনা,
হৃদয়ের সংশয়, রক্তচোখ, নাগিনীর বিষাক্ত নিঃশ্বাস
কোনো কিছুই পরাভূত করতে পারে না।
আজ ফুলের আবাস শক্তবৃন্তে
ভ্রমরও খুঁজে পায় নতুন ঠিকানা
তাই নিজের ঠিকানা ভুলে শক্তবৃন্তে দোলে
চাঁদের ঐ স্বর্গভূমে কাবাবের হাড্ডি হতে পারব না।

রাজু ইসলাম
বৃক্ষের কাছে

তাবৎ দুনিয়ার স্থপতিকে জানিয়ে দাও
বৃক্ষের চেয়ে নান্দনিক কোনো অট্রালিকা নেই
রাশিরাশি ভালোবাসা তার উপকরণ
সেখানে অক্সিজেন ও সজীবতা
গ্লাসে ভর্তি করে রাখা হয় না
না রাখা হয় ধুলোমাখা প্লাস্টিক ফুল
পাখিদের শাবকেরা সেখানে বসে বসে
নয়ন জুড়িয়ে নেয় মনোরম নদীর ঘ্রাণে
এখানে আরও কত কত আধুনিকতা বিরাজমান।
এমন অট্রালিকায় বাস করবো ভেবে
কতো কতো রাতের ঘুম ইজারা দিয়েছে স্বপ্নের কাছে
কত না পাখির ভাষা চেষ্টা করেছি বোঝার কতবার
রঙিন প্রজাপতি আর ঘাসফড়িঙের পিছু নিয়েছি
এই নদী এই সবুজ প্রকৃতি আমার আত্মার আত্মীয়
এইসব ভেবে ভেবেই হয়তো একদিন
ফুল পাখি প্রজাপতি হয়ে ঘুমিয়ে পড়বো
মায়াময় পরম প্রকৃতির কোলে।

বাদল বিহারী চক্রবর্তী
প্রত্যাশার দু’হাজার কুড়ি

আবারো বহিয়া যায়- উনিশ বিলীন প্রায়
বার্ষিক গতির অনিরুদ্ধ তোড়ে।
তবু কাটিয়ে ওঠতে হবে জানি চলমান বছরের
পাতায় পাতায় রেখে যাওয়া মনীষীদের পর্যায়ক্রমিক
শেষ নিঃশ^াসের শোকাবহ দিনগুলোর কথা।
আমরা কাটিয়ে ওঠতে চাই-শিক্ষক নাট্যকার
মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, কবি আল মাহমুদ-
কাটিয়ে ওঠতে চাই সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলহারা
শোক সম্বলিত বেদনাবিধুরতার কথা।
ভুলতে চাই চকবাজার বনানী এফ আর টাওয়ার আর
কেরানীগঞ্জ প্লাস্টিক কারখানার আগুনে ভষ্মীভূত হয়ে
প্রাণের স্পন্দন থেমে যাওয়া সেই সব ভাগ্য হত হওয়া
মৃত্যুর মিছিলের শোক।
প্রেরণার উৎস হয়ে থাক আলোকিত অধ্যায় যা ছিল
এই বছরের শুরু থেকে শেষ- শুধু একবুক প্রত্যাশা-
স্বাগত হে দু’হাজার কুড়ি, ইতিহাসসিদ্ধ হয়ে রয় যেনো
নুসরাত-আবরার হন্তারকদের সর্বোচ্চ সাজায়।
হেপি হে নতুন বছর-
রোখো বেকারত্ব দ্রব্যের মূল্যকে আনো আয়ত্তের ঘরে,
শূন্যকে পাশে রেখো দুই তুমি- অশূন্য করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন