চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের উপ-নির্বাচনে জমে উঠেছে বড় দুই দলের ভোটের প্রচার। আওয়ামী লীগ প্রার্থী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন সন্ত্রাস, রক্তপাত নয়, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে যেতে চান তিনি। অন্যদিকে ধানের শীষের প্রার্থী দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানের পক্ষে প্রচারকালে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী নির্বাচন কমিশনকে ইভিএমে স্বচ্ছতার প্রমাণ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। জাসদের মঈনুদ্দিন খান বাদলের ইন্তেকালে আসনটি শূন্য হয়। এ আসনে আগামী ১৩ জানুয়ারি উপ-নির্বাচনে ইভিএম মেশিনে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এ আসনের উপ-নির্বাচনে মর্যাদার লড়াইয়ে নেমেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। বড় দুই দলের হেভিওয়েট নেতারা নেমে পড়েছেন নৌকা ও ধানের শীষের প্রচারে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেও আরও ছয়জন ভোটের লড়াইয়ে আছেন।
নৌকার প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমেদ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কোনো সময় সন্ত্রাসের সাথে ছিলাম না, আমার হাতে কোনো রক্তের দাগ নেই। আমরা চাই সুন্দর নির্বাচন হোক। কোনো রক্তপাত হোক, এটা আমি চাই না। জনগণের ভোটেই নির্বাচিত হয়ে সংসদে যেতে চাই। এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ খুবই সুন্দর আছে জানিয়ে তিনি বলেন, কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি। সবার অংশগ্রহণে ভোট হোক। সব প্রার্থী ভোটে থাকুক। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের ওপর সরকার পরিবর্তন হবে না। নির্বাচিত হলে তিনি কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করারও প্রতিশ্রুতি দেন।
এ সময় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, নগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ধানের শীষের প্রার্থী আবু সুফিয়ানের পক্ষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন। এ সময় সমবেত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, জনগণ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবার জন্য। মৌলিক অধিকার, রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাবার জন্য। এখানে জোয়ার নেমেছে ধানের শীষের পক্ষে আবু সুফিয়ানের পক্ষে। মানুষ অপেক্ষা করছে উম্মুক্ত পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে ধানের শীষকে জয়ী করে খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য। বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ব্যালট পেপার চুরি করে দিনের ভোট রাতে নিয়েছিল। এ উপ-নির্বাচনেও ইভিএমের মাধ্যমে ভোট চুরির প্রক্রিয়া চালাচ্ছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। ইভিএমের উপর মানুষের কোন আস্থা নেই। এবার নির্বাচন কমিশনকে ইভিএমের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরো বলেন, ইভিএম বিষয়ে যারা জ্ঞান রাখেন তারা ইতিমধ্যেই এর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ইভিএমএ কোন পেপার ট্রেইল নাই। কারণ আওয়ামী লীগ সুুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। এবারও তারা ইভিএম মেশিনে ভোট চুরি করে জয়ী হতে চেষ্টা করবে। এসময় বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান, বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান শামীম, আবুল হাশেম বক্কর, এম এ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা, হারুণ জামান, এস এম সাইফুল আলম, ইসকান্দর মির্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, জিএম আইয়ুব খান, মো. বখতেয়ার উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন