আসছে ২০২০ সালে লাকপা’র আবারো এভারেস্ট জয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। তার বয়স এখন ৪৫ কিন্তু নেপালের মাকালু এলাকার নিচে বালাখারক গ্রামে ন’বার এভারেস্টের চুড়োয় যাওয়া লাকপা’র এখন সময় কাটে যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় ফুল বিক্রি করে।
গত ২০০০ সালে নেপাল সরকার আয়োজিত উইমেন মিলেনিয়াম এক্সপিডিশনে অংশ নেয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২৫ বছরের লাকপা বিভিন্ন দেশের আরও ৫ জন অভিযাত্রীর সঙ্গে শেরপা হিসেবে ছুঁয়ে ফেলেন এভারেস্ট। ৮৮৪৮ মিটার উঁচুতে নেপালের পতাকা উড়িয়েছিলেন। এভারেস্টই প্রেম এনে দেয় তার জীবনে। ২০০২ সালে মার্কিন পর্বতারোহী জর্জ দিজমার্সাকুকে বিয়ে করে পাড়ি জমান আমেরিকার কানেক্টিকাটে। কিন্তু ২০০৪ সালে এভারেস্ট অভিযানে গিয়ে, সেখানেও লাকপার গায়ে হাত তোলেন জর্জ। ২০০৮ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন জর্জ। তবু অত্যাচার চলে লাকপার ওপর। শেষমেশ ২০১২ সালে ডিভোর্স হয়ে যায় লাকপা-জর্জের। ২০২০-তে এভারেস্ট ছুঁতে আরও একবার অভিযানে অংশ নেওয়ার ইচ্ছে তাঁর। কিন্তু সে ইচ্ছেকে পরিহাস করে ছেঁড়া জুতো, পুরনো হয়ে যাওয়া জ্যাকেট, ভাঙা আইসঅ্যাক্স। নিজের ইকুইপমেন্টটুকু তো নিজেকে গুছিয়ে নিতে হবে!
সংসার যুদ্ধে ক্লান্ত হয়ে পড়া লাকপা বলেন, “জীবনটাই অগোছালো হয়ে গেল। তিন সন্তানকে নিয়ে বিদেশের মাটিতে দিন কাটাতে হবে, কখনও ভাবিনি। পাহাড়ে আর ফেরা হবে কিনা, জানি না।”
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন