শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

দেশের ব্লু-ইকোনোমিতে গুরত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে সি-উইড

বাকৃবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৩:০৫ পিএম

একুশ শতকে বাংলাদেশের একটি বড় অর্জন বিশাল সমুদ্রসীমা জয়। ভারত এবং মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিস্পত্তি হওয়ায় বাংলাদেশ মোট ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশী সমুদ্র এলাকার সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে। যা বাংলাদেশের ব্লু-ইকোনোমির (সমুদ্র অর্থনীতি) জন্য গুরত্বপূর্ণ । এ বিশাল সমুদ্রসীমায় যেমন রয়েছে নানা খনিজ সম্পদ তেমনি রয়েছে বিশাল মৎস্যসম্পদ। আর এই বিশাল মৎসসম্পদকে বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থার মধ্যে আনতে পারলে তা দেশের ব্লু-ইকোনোমিকে সমৃদ্ধ করবে। এর মধ্যে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সমুদ্র সীমায় সি উইড (সমুদ্র শৈবাল) চাষ খুবই সম্ভাবনাময়।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ফিশারিজ সোসাইটি অফ বাংলাদেশের প্রথম দ্বি-বার্ষিক দুইদিনব্যাপী বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সম্মেলনের সম্মানিত অতিথি বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ। বিশ^বিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ ও ফিসারিজ সোসাইটি অব বাংলাদেশ (এফএসবি) এর যৌথ আয়োজনে ওই বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ আরও বলেন, বিশাল এই সমুদ্রসীমাকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে হলে লোনা পানিতে বিভিন্ন মাছের চাষ পদ্ধতি এবং পোনা উৎপাদন পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে হবে। কিন্তু উন্নত পদ্ধতি উদ্ভাবনে আমাদের সক্ষমতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তবে এসব অঞ্চলে সি উইড চাষ একটি সম্ভাবনাময় খাত। আমরা সি-উইডের ১০টি বাণিজ্যিক প্রজাতির মধ্যে তিনটি সি-উইড চাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছি। যা লোনা পানিতে চাষ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

সম্মেলনে বাংলাদেশের মৎস্য সেক্টরের পথিকৃৎ মৎস্য শিক্ষার প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক ড. এ. কে. এম আমিনুল হককে ফাদার অফ ফিসারিজ হিসেবে সম্মাননা প্রদান করা হয় । এছাড়া বাকৃবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুর রহমান এবং অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম এবং অধ্যাপক ড. সোমেন দেওয়ানকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এফএসবির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহীদুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, বাকৃবির এমিরেটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মন্ডল, ময়মনসিংহের মৎস্য অধিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর আব্দুল মজিদ । অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আহসান বিন হাবিব । সম্মেলনে দেশি বিদেশি প্রায় ৩০০জন বৈজ্ঞানিক অংশগ্রহণ করেন। দুইদিনব্যাপী সম্মেলনে ১৩০ টি মৌখিক গবেষণা নিবন্ধ ও ৯৫ টি পোস্টার উপস্থাপন করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন