মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

লাদাখে টানেল, চীন-ভারত মুখোমুখি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৪:৩৯ পিএম

লাদাখ নিয়ে কি ফের শুরু হতে চলেছে ভারত-চীন অচলাবস্থা? ভারত-নিয়ন্ত্রিত সাবেক কাশ্মিরের লাদাখে চীন টানেল নির্মাণ করছে বলে ভারতীয় মিডিয়ায় খবর প্রকাশ করেছে।
ভারতের মিডিয়া বর্তমান জানায়, প্যাংগং লেকের কাছে সামরিক পরিকাঠামো গড়ার কাজ শুরু করেছে চীনের সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। সূত্রের খবর, লাদাখ সীমান্তে তাঁবু খাটিয়ে মাটির নিচে টানেল কেটেছে তারা। এবং প্যাংগং টিএসও অঞ্চল সংলগ্ন বিতর্কিত ফিঙ্গার ৮ পাহাড় কেটেও টানেল বানাচ্ছে চীনা সেনাবাহিনী। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি লাদাখ অঞ্চলে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে চীন। সেইসঙ্গে বাড়িয়েছে টহলদারিও। এমনকী, ওই এলাকার কাছাকাছি ভারতীয় সেনাসদস্যদের যেতেও দিচ্ছে না তারা।
লাদাখ অঞ্চলের যে বিতর্কিত এলাকায় পিএলএ-কে টহলদারি চালাতে দেখা যায়, সেখানে এখন পর্যন্ত কোনো সামরিক পরিকাঠামো নেই। কিন্তু, প্যাংগং টিএসও অঞ্চলে তাঁবু বানানোর ফলে এখন থেকে স্থায়ীভাবে সেখানে থেকে যেতে পারে লালফৌজ। যা নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ভারতের। উদ্বেগ দেখা দিয়েছে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থায়।
প্যাংগং লেকের ১৩৪ কিমি দীর্ঘ উত্তরাংশে নিরাপত্তা নিয়ে প্রায়ই ভারত-চীন দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে অচলাবস্থা লেগেই থাকে। ভারত ও চীনের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে থাকা ভুল ধারণার জন্যই দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে এই ঘটনা ঘটে থাকে। তখন উত্তেজনা কমাতে দু’দেশের ব্রিগেডিয়ার স্তরে বৈঠক হয়। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে প্যাংগং লেকের একটি অংশে ভারত-চীন সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছিল।
তিব্বত থেকে লাদাখ পর্যন্ত বিস্তৃত এই লেকের দুই-তৃতীয়াংশ চীনের নিয়ন্ত্রণে। এই অঞ্চলে আগেও একাধিকবার ভারত-চীন সেনার মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। গত বছর নরেন্দ্র মোদী-শি চীনপিং ওয়াহান বৈঠকের আগে অন্তত ২৮ বার চীনা সেনা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়েছে। তার আগে ২০১৭ সালে এই অঞ্চলেই ভারত ও চীন সেনার মুখোমুখি হওয়ার একটা ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছিল, দুই দেশেরই সেনা একে অপরের দিকে পাথর ছুড়ছে, এমনকি মারামারিতেও লিপ্ত হয়েছিল দু’পক্ষ।
জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে ভেঙে লাদাখ এবং কাশ্মীর নামে দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই চীন আপত্তি জানিয়ে আসছে। লাদাখে ভারতের সঙ্গে চীনের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা রয়েছে। ভারতের এই ঘোষণা করার পরদিনই এর বিরোধিতা করে চিনের বিদেশমন্ত্রক কড়া বার্তা দিয়েছিল। চীনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনাইং জানিয়েছিলেন ‘ভারত তার অভ্যন্তরীণ আইনে একতরফা পরিবর্তন করে চিনের ভূখন্ডের সার্বভৌমত্বে আঘাত করেছে। সেটা কার্যকরী হবে না। চীন এটা মানবেও না।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
Jamal hossain Sarkar ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৫:৫৯ পিএম says : 0
Pakistaner moto a bapara amader montrira kichu comments korcha na keno
Total Reply(0)
Jamal hossain Sarkar ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৫:৫৯ পিএম says : 0
Pakistaner moto a bapara amader montrira kichu comments korcha na keno
Total Reply(0)
ash ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ২:৫৮ এএম says : 0
ASHOLE CHINA AKTA VITU RASHTRO !
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন