মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

শহিদুলে ম্লান মুস্তাফিজ

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

বিপিএল ফিরেছে ঢাকায়। কিন্তু বাজে আবহাওয়ার জন্য ম্যাচ গড়ানো নিয়েই ছিল সংশয়। তবে সেসব শঙ্কাকে উড়িয়ে মিরপুরে ঠিকই ছুটেছে চার-ছক্কার ফুলঝুরি, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন দর্শক সামগমও ছিল চোখে পড়ার মতো।
সকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে রাজধানী, জেঁকে বসে শীতও। আগের রাতের বৃষ্টিই বলতে গেলে আশঙ্কা জাগিয়েছিল শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের ম্যাচ গড়ানো নিয়ে। তবে শীতকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে খেলা দেখতে আসা গ্যালারিভর্তি দর্শকরা বাড়ি ফিরেছেন রোমাঞ্চ উপভোগ করেই।

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে দুর্দান্ত শুরুর পর চট্টগ্রামে শেষ দুটি ম্যাচ হেরে ঢাকায় পা রেখেছিল খুলনা টাইগার্স। একটি ‘ট্রিগারের’ তাগিদে মুশফিকুর রহিম আর নাজিবউল্লাহ জাদরান খেললেন দুর্দান্ত ব্যাটিং। শহিদুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম, তনভির ইসলামরা বল হাতে দিলেন তার যোগ্য সমর্থন। দুর্দান্ত কিছু ক্যাচ আর রানচেকে ফিল্ডারারও দিলেন সর্বোচ্চ আত্মনিয়োগ। মুস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও রংপুর রেঞ্জার্সকে ৫২ রানে উড়িয়ে উষ্ণতা ছড়ানো এক জয়ই পেল খুলনা।

দুপুরে যে উইকেটে ধুঁকেছে ঢাকা প্লাটুন ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ব্যাটিং সন্ধ্যায় সেই উইকেটেই রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮২ রান তুলে খুলনা। জবাবে ১৩০ রানেই থামে ৯ উইকেট হারানো রংপুর।

আগের রাতে ঢাকায় এসে শেন ওয়াটসন মাঠে নেমে যান রংপুরের অধিনায়ক হিসেবে। টস জিতে খুলনাকে পাঠান ব্যাটিংয়ে। খুলনার শুরুটাও ছিল চমকপ্রদ। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে মেহেদি হাসান মিরাজকে ওপেনিংয়ে পাঠায় তারা। সঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের ব্যাটে প্রথম ওভারেই আসে চারটি চার। মুকিদুল ইসলামের করা ইনিংসের প্রথম দুটি বল ছিল লেগ স্টাম্পে। দুটিই কাজে লাগান শান্ত। একই ওভারে দুটি দৃষ্টিনন্দন চার মারেন মিরাজ। পরের ওভারে মুস্তাফিজকেও দারুণ এক শটে চার মারেন মিরাজ। কিন্তু এই ওভারেই খুলনাকে কাঁপিয়ে দেন কাটার মাস্টার। পরপর দুটি দারুণ ডেলিভারিতে বিদায় করেন মিরাজ ও রাইলি রুশোকে। মিরাজের ডেলিভারিটি ছিল গতিময়, অ্যাঙ্গেলে বেরিয়ে ব্যাট ছুঁয়ে আশ্রয় নেয় কিপারের গ্লাভসে। রুশোর বলটি ছিল আরও দুর্দান্ত। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের অফ স্টাম্পের একটু বাইরে পিচ করে বল বেরিয়ে যায় সুইং করে। সিøপে রিফ্লেক্স ক্যাচ নেন ওয়াটসন।

চারে নামা শামসুর রহমান দারুণ এক ছক্কার পর আউট হয়ে যান ১৩ রানে। ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারানো খুলনাকে এরপর এগিয়ে নেন শান্ত ও মুশফিক। শান্ত এদিন খেলছিলেন দারুণ। কিন্তু বড় কিছু করতে ব্যর্থ আবারও। ২২ বলে ৩০ করে আউট হয়েছেন মোহাম্মদ নবিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে। মুশফিক আর নাজিবউল্লাহর জুটি এরপরই। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৮২ রান যোগ করেছেন দুজন ৫১ বলে। শেষের আগের ওভারে আউট হয়েছেন নাজিবউল্লাহ। শেষ ওভারে মুশফিক। ততক্ষণে দল পেয়ে যায় বড় পুঁজি।

জবাবে ব্যাট হাতে শুরুতে ঝড় তোলার চেষ্টা করেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তরুণ নাঈম শেখ (৯ বলে ২০)। মাঝে কিছুটা লড়াই করেছেন লুইস গ্রেগরি (২৬ বলে ৩৪)। সাদমান ইসলামও (১৩ বলে ১৬) এদিন পারেননি ছন্দ ধরে রাখতে। শেষটায় মুস্তাফিজুর রহমানের (১১ বলে এক চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ২১) ক্যামিও শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে, লজ্জার হার এড়াতে পারেনি রংপুর। রেঞ্জার্স শিবিরে সবচেয়ে বড় আঘাতটি হানেন শহিদুল। খুলনার তরুন এই পেসার শেষ ওভারে মুস্তাফিজের হাতে মার খাওয়ার আগ পর্যন্ত ১৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন